ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ইতিহাস গড়ে যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২০
ইতিহাস গড়ে যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশ কিউইদের বিপক্ষে শট খেলার পথে জয়: ছবি-সংগৃহীত

২০১৬ সালের অতৃপ্তি বাংলাদেশ মেটালো ২০২০ সালে। নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে যুবা টাইগাররা। দক্ষিণ আফ্রিকায় চলমান অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মাহমুদুল হাসান জয়ের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে কিউই যুবাদের ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২১২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৩৫ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় আকবর আলীর দল। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ‍ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২১১ রান করে কিউইরা।

জবাবে ৪৪.১ ওভারে  ৪ উইকেটে ২১৫ রান করে জয়ের আনন্দে মেতে ওঠে বাংলাদেশ।  

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে এর আগে কখনো ফাইনাল খেলেনি বাংলাদেশ। চার বছর আগে প্রথমবার ঘরের মাটিতে যুব বিশ্বকাপের সেমিতে খেলার স্বাদ পেয়েছিল টাইগার যুবারা। এবার তারা স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে শেষ চার নিশ্চিত করেছিল।  

কিউইদের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ৩২ রানের মাথায় দুই ওপেনার তানজিদ হাসান (৩) ও পারভেজ হোসেন ইমনকে (১৪) হারায় বাংলাদেশ। এরপরই ৬৮ রানের জুটি গড়েন মাহমুদুল হাসান জয় ও তৌহিদ হৃদয়। দুর্দান্ত খেলতে থাকা হৃদয় আউট হন ব্যক্তিগত ৪০ রানে।  

এরপর মাহমুদুল আরেকটি বড় জুটি গড়েন শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে। দুজনের ১০১ রানের জুটি ভাঙে মাহমুদুলের সেঞ্চুরির পরপরই। অবশ্য ততক্ষণে জয়ের নিঃশ্বাস দূরতে চলে আসে বাংলাদেশ। ১২৭ বলে ১০০ রান করে টাসকফের বলে আউট হন মাহমুদুল। তার অনবদ্য ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৩ চারে।  

এরপর বাংলাদেশকে জয়ের ফিনিংশটা দেন শাহাদাত (৪০) ও শামিম হোসেন (১)।  বাংলাদেশকে ফাইনালে তুলে দেওয়া সেঞ্চুরিতে  ম্যাচ সেরা হয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়।

এর আগে  বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে পচেফস্ট্রুমে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলী। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করে দারুণ শুরু এনে দেন বোলাররা।  

নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের ৫ রানেই ওপেনার রাইস মারিউকে বিদায় করেন শামিম। এরপর যুবাদের বোলিং তোপে একের পর এক উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে যায় কিউই যুবারা। এক সময় ৭৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। এর মধ্যে ওপেনার ওলি হোয়াইট ৪৩ বলে করেন ১৮ রান আর ফার্গাস লেলমান ৫০ বলে করেন ২৪ রান।

বাংলাদেশের পেসার ও স্পিনারদের তোপে রান তুলতে হিমশিম খায় কিউইরা। এমনকি ১৪২ রানে যখন ষষ্ঠ উইকেট পড়ল, ততক্ষণে ৪২তম ওভারের ৪ বল শেষ। এরপর ৪২ রান যোগ হতেই যায় আরও ২ উইকেট। এর মাঝে কিউইদের হয়ে ৪৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন নিকোলাস লিডস্টোন। তবে এজন্য ৭৪ বল খেলতে হয়েছে তাকে।

শেষদিকে কিছুটা ঝড় তুলে কিউইদের রান ২০০ পার করতে বড় ভূমিকা রাখেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হুইলার-গ্রিনাল। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা এই ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে আসে ৮৩ বলে ৭৫ রানের ইনিংস। এর মধ্যে আছে ৫টি চার ও ২টি ছক্কার মার।  

বল হাতে বাংলাদেশের যুবাদের মধ্যে ৩ উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। ২টি করে উইকেট গেছে শামিম হোসেন ও হাসান মুরাদের ঝুলিতে। বাকি উইকেট রাকিবুল হাসানের।  

প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে ০৯ ফেব্রুয়ারি একই ভেন্যুত ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ভারতীয় যুবারা ফাইনালের মঞ্চে ওঠেছে পাকিস্তানকে হারিয়ে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২০
ইউবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।