ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

আবারও সুপার ওভারের বলি নিউজিল্যান্ড 

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২০
আবারও সুপার ওভারের বলি নিউজিল্যান্ড  ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের দৃশ্য: ছবি-সংগৃহীত

২০০৮ সালে টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো সুপার ওভারে নামতে হয়েছিল নিউজিল্যান্ডকে। ম্যাচটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হেরেছিল তারা। সেই থেকে শুরু। এই নিয়ে আটটি সুপার ওভারের মধ্যে সাতটিতে হারলো কিউইরা। ব্ল্যাক-ক্যাপরা সুপার ওভারে একমাত্র ম্যাচটি জিতেছে ২০১০ সালে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। 

নিউজিল্যান্ড সুপার ওভারে গেলে ম্যাচ হারবে তা যেন অলিখিত নিয়ম হয়ে গেছে। ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শিরোপা স্বপ্ন বিসর্জন দিয়েছিল তারা।

এবার ভারতের বিপক্ষে পাঁচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে টানা দুইবার সুপার ওভারে গড়ানো ম্যাচে হারলো নিউজিল্যান্ড।

জসপ্রীত বুমরাহর করা সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করে ১ উইকেটে ১৪ রানের লক্ষ্য দেয় নিউজিল্যান্ড। জবাবে লোকেশ রাহুলের প্রথম দুই বলেই ছক্কা ও চারে জয়ের কাছাকাছি চলে যায় ভারত। তবে টিম সাউদির করা তৃতীয় বলে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন রাহুল। জয়ের শেষ কাজটা সারেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ১ উইকেটে ১৬ রান করে ভারত।  

এর আগে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৫ রান করে ভারত। ১৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ডও ৭ উইকেটে করে ১৬৫ রান।  

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ভারতের বিপক্ষে ওয়েলিংটনে সিরিজে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি খেলতে নামে নিউজিল্যান্ড। কাঁধে চোট পাওয়ায় দলে ছিলেন না নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তার পরিবর্তে কিউইদের নেতৃত্ব দেন টিম সাউদি।

টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। বোলিংয়ে এসেই শুরুতে তারা ধাক্কা দেয় টিম ইন্ডিয়াকে। দলীয় ১৪ রানে ওপেনার সঞ্জু স্যামসনকে (৮) হারায় ভারত। এরপর বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি কোহলি (১১), শ্রেয়াস আয়ার (১) ও শিভম দুবে (১২)। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রাখেন ওপেনার রাহুল। তবে তিনিও ব্যক্তিগত ৩৯ ও দলীয় ৭৫ রানে সাজঘরে ফিরেন।  

ভারতকে লড়াকু ইনিংস এনে দেন মনীষ পাণ্ডে। ওয়াশিংটন সুন্দর রানের খাতা খোলার আগে আউট হওয়ার পর শার্দুল ঠাকুর (২০), যুজবেন্দ্র চাহাল (১) ও নভদীপ সায়নির (১১) সঙ্গে ছোট ছোট জুটি গড়ে ভারতকে ১৬৫ রানের পুঁজি এনে দেন পাণ্ডে। তার ৩৬ বলে অপরাজিত ৫০ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩ চারে।  

জবাব দিতে নেমে শুরুতে মার্টিন গাপটিলকে (৪) হারালেও ভারতীয় বোলারদের উপর ঝড় তুলেন কলিন মুনরো ও টিম সেইফার্ট। দুজনে ৭৪ রানের জুটি ভাঙে মুনরো রান আউট হওয়ার পর। কিউই ওপেনার ৪৭ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৬৪ রান। এরপর কিউইদের স্কোরবোর্ডে আর এক রান যোগ হতেই ডাক মেরে ফেরেন টম ব্রুস।

রান আউট হোন সেইফার্টও। স্বাগতিকদের উইকেটরক্ষক ৩৯ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৫৭ রান। এরপর রস টেইলরের (২০) হাত ধরে জয়ের প্রায় কাছাকাছি চলে আসে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু ম্যাচের প্লট পাল্টে যায় শেষ ওভারে। শার্দুল ঠাকুর ইনিংসের শেষ ওভার করতে এসে তুলে নেন কিউইদের ৪ উইকেট। নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেট হারিয়ে থামে ১৬৫ রানে। টানা দ্বিতীয়বারের মতো ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১ম ২০২০
ইউবি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।