ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘হয় টিকিট দেন না হয় গুলি করেন’

মহিবুর রহমান, স্পেশাল করেসপনডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮
‘হয় টিকিট দেন না হয় গুলি করেন’ ছবি: বাংলানিউজ

সিলেট থেকে: একটি টিকিটের জন্য সমর্থকরা কতটা মরিয়া তা শিরোনামেই স্পস্ট। তবে ভয়ের কারণ নেই। এরা কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠি কিংবা বিচ্ছিন্নতাবাদী দলের অন্তুর্ভুক্ত নন। সবাই লাল-সবুজের ক্রিকেটের একনিষ্ঠ ভক্ত। তবে তারা টিকেট বঞ্চিতদের দলে। 

তারা সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলমান বাংলাদেশ ও উইন্ডিজের মধ্যকার সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচের টিকিট পাননি। শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও ব্যর্থ হওয়ার পর ভীড় জমিয়েছেন স্টেডিয়ামের পশ্চিম পার্শ্বের টিলার পেছনে।

যেখানে পাহাড় তার নিচে ঠিক স্টেডিয়ামের সীমানা শেষ হয়েছে।

একদল তরুণ। মলিন মুখ। দেয়ালের ওপাশে অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে। এপারে স্টেডিয়াম থেকে ভেসে আসছে মাশরাফিদের ম্যাচের গগন বিদারী চিৎকার। যেখানে সামিল হতে উতলা হয়ে আছে তাদের মন। কিন্তু সেখানে বাধ সেধেছে দেয়ালের পাশে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে প্রহরায় থাকা বাংলাদেশ পুলিশ। তাদের ভয়েই টিকিট বঞ্চিত এই ক্রিকেট প্রেমীরা দেয়ালের এপাশে আসতে সাহস পাচ্ছেন না।

ছবি: বাংলানিউজ

তাই অভিযোগ ভরে প্রতিবেদককে দেখেই বলতে লাগলেন, ‘টিকিট নেই কেন? সকাল ৬টা থেকে টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। পাইনি। এখন খেলা দেখবো কি করে? আমাদের মাঠে নিয়ে যান। ’ 

প্রতিবেদককে নিরুত্তর দেখে সুযোগটি নিলেন কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা। ধমকের সুরে বললেন, ‘চলে যাও এখান থেকে। বাসায় গিয়ে খেলা দেখ। ’

তাদের মন আরো খারাপ হয়। এবার অভিযোগের সুর দিক পাল্টে ধাবিত হয় সেই পুলিশ কর্মকর্তার দিকে। বেশ জোর গলায় বলেন, ‘হয় টিকিট দেন না হয় গুলি করেন। ’

ছবি: শোয়েব মিথুন/বাংলানিউজ

বাস্তবতা হলো ক্রিকেট ম্যাচের টিকিটের জন্য এমন হাহাকার এদেশে নতুন কোন বিষয় নয়। তবে একেবারেই ব্যতিক্রমী। একটি টিকিটের জন্য গুলি খেতেও প্রস্তুত! এমন ভক্ত কে কবে দেখেছে? এদেশে ক্রিকেটের জন্য এমন উন্মাদনা নতুন কিছু নয়। তা মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামেও বরাবরই দেখা যায়।

কিন্তু এদের জন্য বিসিবির কিছুই যে করার নেই। সিলেটে স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা মাত্র ১৮ হাজার।

বাংলাদেশ সময়ঃ ১৬০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮ 
এইচএল/এমকেএম   

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।