ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৪ মার্চ ২০২৫, ০৩ রমজান ১৪৪৬

ক্রিকেট

নিষ্প্রাণ ড্র দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৬
নিষ্প্রাণ ড্র দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ

ঢাকা: বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) চতুর্থ আসরের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচগুলো নিষ্প্রাণ ড্র হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) দেশের দুই ভেন্যুতে চারটি দল নিয়ে শুরু হয় বিসিএলের ম্যাচগুলো।



বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে মাঠে নামে নর্থ ও ইস্ট জোন। আর রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় সাউথ ও সেন্ট্রাল জোন।

বগুড়ায় টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা ইস্ট জোন নিজেদের প্রথম ইনিংসে সবক’টি উইকেট হারিয়ে তোলে ২১৪ রান। ৮৩.১ ওভারে তারা এ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ১৯ ওভার ব্যাট করে তিন উইকেট হারানো নর্থ জোন আগের দিনের ৫৯ রান করে চতুর্থ দিন ইনিংস ঘোষণা করলে দুই দলের অধিনায়ক ড্র মেনে নেয়।

ওপেনিংয়ে সাদমান ইসলাম আর লিটন দাস মিলে তোলেন ৭৩ রান। সাদমান ৩৩ ও লিটন ৪৩ রান করে বিদায় নেন।

তিন নম্বরে নামা ইস্টের দলপতি মুমিনুল হক খেলেন ৩১ রানের ইনিংস। এছাড়া চার নম্বরে নেমে তাসামুল হক করেন ৪৫ রান। মিডল অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতায় অলোক কাপালি ৪, আসিফ আহমেদ ৪ আর ইরফান শুকুর ৫, কামরুল ইসলাম রাব্বি ১২ রান করেন। এছাড়া আবুল হাসান ২৪ রান করেন।

নর্থ জোনের হয়ে তিনটি উইকেট নেন সাঞ্জামুল ইসলাম। এছাড়া দুটি করে উইকেট দখল করেন নাসির হোসেন, সুবাশিষ রায় ও মাহামুদুল হাসান। একটি উইকেট পান তাইজুল ইসলাম।

প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে নর্থ জোন তৃতীয় দিন শেষে তিন উইকেট হারিয়ে তোলে ৫৯ রান। ওপেনার মাহমুদুল হাসান কোনো রান না করেই ফিরে যান। আরেক ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী ২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। ১৯ রানে বিদায় নেন ফরহাদ হোসেন। দলপতি নাঈম ইসলামের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৮ রান। তবে, চতুর্থ দিন কোনো বল মাঠে না গড়ালে ড্র হয় ম্যাচটি।

এদিকে, রাজশাহীতে শামসুর রহমানের অনবদ্য শতক আর শুভাগত-শরীফুল্লাহর অর্ধশতকে প্রথম ইনিংসে সেন্ট্রাল জোন সবক’টি উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ৩৮১ রান। জবাবে ২৪৬ রান তোলে সাউথ জোন। দ্বিতীয় ইনিংসে এক উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান করে সেন্ট্রাল জোন। ফলে, চতুর্থ দিনে এসে ম্যাচটি ড্র’র মুখ দেখে।

ব্যাটিংয়ে নেমে সেন্ট্রাল জোনের ওপেনার রনি তালুকদার কোনো রান না করেই বিদায় নেন। তবে, ওপেনার শামসুর রহমান ১৭৭ বলে ৯টি চার আর একটি ছক্কায় ১০৩ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন। মার্শাল আইয়ুব ৫ রান করে বিদায় নিলেও চার নম্বরে নামা শুভাগত ৮৩ রানের ইনিংস খেলেন। তার ১০০ বলে সাজানো ইনিংসে ছিল ৯টি বাউন্ডারির সঙ্গে একটি ওভার বাউন্ডারি।

তানভীর হায়দার ২৩ রান করেন। সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯১ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেন শরীফুল্লাহ। ৯৪ বলে সাজানো তার ইনিংসে ছিল ১০টি বাউন্ডারি আর একটি ওভার বাউন্ডারি। শহীদুল ইসলাম ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন।

আব্দুর রাজ্জাকের সাউথ জোনের হয়ে দুটি উইকেট নেন রবিউল ইসলাম ও আসিফ হাসান। এছাড়া দলপতি রাজ্জাক সর্বোচ্চ ৫টি উইকেট দখল করেন। একটি উইকেট নেন সোহাগ গাজী।

সাউথ জোন ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় দিন দলীয় ১৭ রানের মাথায় ওপেনার শাহরিয়ার নাফিসকে হারায়। ১৩ রান করে বিদায় নেন নাফিস। আরেক ওপেনার ফজলে মাহমুদ ৩২ রান করে বিদায় নেন। তিন নম্বরে নামা তুষার ইমরান খেলেন ৩৩ রানের ইনিংস। তৃতীয় দিন শেষে ২৮ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে সাউথ জোন ৮১ রান তোলে।

চতুর্থ দিন দারুণ ব্যাটিং করেন চার নম্বরে নামা মোহাম্মদ মিঠুন। ১৭৪ বলে ৭৮ রান করেন তিনি। ফরহাদ রেজা খেলেন ৪৫ রানের ইনিংস। সোহাগ গাজীর ব্যাট থেকে আসে ২৭ রান। ২৪৬ রানে থামে সাউথ জোনের ব্যাটিং।

শরীফুল্লাহ সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট তুলে নেন। এছাড়া শুভাগত হোম ও শাহিদুল ইসলাম তিনটি করে উইকেট দখল করেন।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার শামসুর রহমানের (২০) উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান তোলে সেন্ট্রাল জোন। ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন রনি তালুকদার আর ৮ রান করে অপরাজিত থাকেন মার্শাল আইয়ুব। শামসুর রহমানের উইকেটটি নেন আব্দুর রাজ্জাক।

পরে দুই দলের অধিনায়ক ড্র মেনে নেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, ২২ জানুয়ারি ২০১৬
এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।