ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৪ মার্চ ২০২৫, ০৩ রমজান ১৪৪৬

ক্রিকেট

যুব বিশ্বকাপে কঠোর নিরাপত্তা বলয়

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৬
যুব বিশ্বকাপে কঠোর নিরাপত্তা বলয় ছবি: জি এম মুুজিবুর/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ক্রিকেটের বেশকিছু বড় ইভেন্ট আয়োজিত হয়েছে বাংলাদেশে। এর মধ্যে রয়েছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজনের অভিজ্ঞতাও।

২০১১ সালে ভারত ও শ্রীলংকার সঙ্গে যৌথভাবে ওই বিশ্বকাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ। সফল আয়োজক হিসেবে বিশ্ববাসীর প্রশংসাও ক্রিকেটপ্রেমী দেশটি। এরই ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ (যুব বিশ্বকাপ) ক্রিকেট বিশ্বকাপের একাদশতম আসর।

যুব বিশ্বকাপ সফলভাবে আয়োজনের নতুন চ্যালেঞ্জের সামনে এখন বাংলাদেশ। বিশ্ববাসীর আস্থা ধরে রাখা ও আয়োজক হিসেবে সফলতার মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত করাই বর্তমান চ্যালেঞ্জ।   
 
বড় কোনো ইভেন্ট আয়োজনের ক্ষেত্রে সবার আগে ওঠে নিরাপত্তা প্রশ্ন। বিশ্বের ১৬ দেশের ক্রিকেটার, কোচ, টিম ম্যানেজমেন্ট ও ম্যাচ অফিসিয়ালদের নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত হবে সেই পরিকল্পনার কথা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া সাংবাদিকদের ‍সামনে তুলে ধরেছেন।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিরাপত্তা বাহিনীর সোয়াত ইউনিটের মহড়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা ডিএমপি কমিশনার।

তিনি বলেন, ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের সঙ্গে ইতিমধ্যে সমন্বয় করেছি। বিসিবি ও অন্যান্য স্টেক হোল্ডার যারা আছেন তাদের সঙ্গেও কথা বলে কয়েক স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক যে সিকিউরিটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) রয়েছে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সেই এসওপি অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্ন ও সুদৃঢ় নিরাপত্তা বলয় থাকবে। ম্যাচ অফিসিয়াল, খেলোয়াড় ও বিদেশি দলগুলোর অফিসিয়ালদের নিরাপত্তার জন্য ইতিমধ্যেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি।

আছাদুজ্জামান মিয়া আরও বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দর কেন্দ্রিক একটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। ক্রিকেটাররা যে হোটেলে থাকবেন (লা মেরিডিয়ান ও রেডিসন) সেখানেও আমাদের একটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। বিমানবন্দর থেকে হোটেল ও হোটেল থেকে স্টেডিয়াম ভেন্যুতে যাওয়ার সময় রুটগুলোতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
 
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ফোর্স থাকবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। ফায়ার ব্রিগেড ও পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও থাকবে। আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো আমরা। টুর্নামেন্টকে ঘিরে যে বলয়ে ও ধাপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি এতে চমৎকারভাবে নিরাপত্তার সঙ্গে টুর্নামেন্টটি সম্পন্ন হবে- যোগ করেন ডিএমপি কমিশনার।

অস্ট্রেলিয়ার যুব দল বিশ্বকাপ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করায় টুর্নামেন্টে বাড়তি নজরদারি থাকছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা যারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করি তারা প্রত্যেকটা জিনিসকে সমান গুরুত্বের সঙ্গে দেখি। আমাদের কাছে নির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই। আমাদের ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির কাছে কোনোরকম হুমকির খবর নেই। তবে টুর্নামেন্টটি যাতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে করা যায়, কেউ যাতে কোনো ধরনের  নাশকতা অথবা অপরাধজনক কর্মকাণ্ড করতে না পারে সেজন্য আমরা সতর্ক থাকবো। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে, আমরা চতুর্দিকে নজর রাখছি। টুর্নামেন্ট শুরুর আগ থেকেই আমাদের কিছু প্রিভেন্টিভ পুলিশি ব্যবস্থা থাকবে পুরো ঢাকা শহরজুড়ে। রাস্তাঘাটেও আমাদের গোয়েন্দারা কাজ করছে। ডিমপি কমিশনার হিসেবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বলতে পারি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে টুর্নামেন্টকে উৎসবমুখর ও নিরাপদ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে।
 
ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া যেভাবে নিরাপত্তা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরলেন তাতে আশ্বস্ত হতে পারে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও! বাংলাদেশে নিরাপত্তা-শঙ্কার অজুহাত দেখিয়ে যুব বিশ্বকাপ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় দলটি। টুর্নামেন্টে অংশ না নেওয়ায় শেষমেষ দীর্ঘশ্বাস সঙ্গী হবে না তো অজিদের? 

বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৬
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।