শুরুর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু প্রথমার্ধেই আলভারেজের গোলে সমতায় ফেরে আতলেতিকো মাদ্রিদ।
গত রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে শেষ ষোলোর প্রথমে লেগে ২-১ গোলে জিতেছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
খেলা শুরুর চতুর্থ মিনিটেই রদ্রিগোর চোখধাঁধানো গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। মাঝমাঠ থেকে ফেদে ভালভার্দের বাড়ানো বল ধরে ডি বক্সে ঢুকে যান ব্রাজিলিয়ান তারকা। এরপর দুই ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে বাঁ পায়ের দারুণ শটে দূরের পোস্টে বল পাঠিয়ে দেন তিনি। চ্যাম্পিয়নস লিগে রদ্রিগোর এটি ২৫তম গোল, ব্রাজিলিয়ানদের মধ্যে যা পঞ্চম সর্বোচ্চ।
রিয়ালের এগিয়ে যাওয়ার স্বস্তি কেড়ে নিয়ে ৩২তম মিনিটে সমতা ফেরান আতলেতিকোর হুলিয়ান আলভারেজ। এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গাকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে বাঁ দিক থেকে দূরের পোস্টে শট নেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। রিয়ালের গোলকিপার থিবো কুর্তোয়া ঝাঁপ দিয়েও বলের লাগাল পাননি। এই আসরে এখন পর্যন্ত এটি আলভারেজের সপ্তম ও সবমিলিয়ে ২২তম গোল।
দ্বিতীয়ার্ধে রিয়ালের খেলার গতি কিছুটা কমে যায়। বিপরীতে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে আতলেতিকো। কিন্তু উল্টো গোল খেয়ে বসে তারা। ৫৫তম মিনিটে দিয়াজের একক নৈপুণ্যে পাওয়া গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। মেন্দির ছোট পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে দুজনকে কাটিয়ে প্রতিপক্ষের পাঁচ জনের মাঝ দিয়ে ডান পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন দিয়াজ। শেষ পর্যন্ত ওই গোলেই জয় নিশ্চিত হয় রিয়ালের।
শেষ ষোলোর অন্য ম্যাচে পিএসভিকে রীতিমতো বিধ্বস্ত করেছে আর্সেনাল। পিএসভির মাঠ ফিলিপস স্টেডিয়নে মঙ্গলবার রাতে প্রথম লেগে ৭-১ গোলে জিতেছে মিকেল আরতেতার দল। চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে নকআউট পর্বে প্রতিপক্ষের মাঠে ৭ গোলের ঘটনা এটিই প্রথম।
প্রথমার্ধেই তিন গোল করে এগিয়ে থাকে গানাররা। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে আরও চার গোল করে তারা। অথচ চোটের কারণে দলে ছিলেন না বুকায়ো সাকা, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লিরা। তাছাড়া প্রিমিয়ার লিগে টানা দুই ম্যাচে জয়হীন থাকার হতাশা তো আছেই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো কিছুই ঠেকাতে পারেনি আর্সেনালের বিশাল জয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫২ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২৫
এমএইচএম