ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আদালত

কচুয়ার গৌরাঙ্গ হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১
কচুয়ার গৌরাঙ্গ হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

চাঁদপুর: চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পলাশপুরে সম্পত্তিগত বিরোধে গৌরাঙ্গ দেবনাথ (৬০) নামে ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে জীবন দেবনাথ (৪৩) ও হারাধন দেবনাথ (৩৮) নামে দুই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ এসএম জিয়াউর রহমান এ রায় দেন।

হত্যার শিকার গৌরাঙ্গ দেবনাথ কচুয়া উপজেলার পলাশপুর গ্রামের দেবনাথ বাড়ির বাসিন্দা। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত জীবন দেবনাথ ও হারাধন দেবনাথ একই বাড়ির জগদিশ দেবনাথের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট দুপুর দেড়টার দিকে দেবনাথ বাড়িতে জীবন দেবনাথ, হারাধন দেবনাথসহ তাদের পরিবারের লোকজন চলাচলের রাস্তায় বেড়া দিতে যায়। এ সময় হত্যার শিকার গৌরাঙ্গ দেবনাথ, সংকর দেবনাথ ও জোসনা বাধা দিতে গেলে তাদের সঙ্গে তর্ক বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ জীবন দেবনাথ ও হারাধন দেবনাথ তাদের হাতে থাকা লোহার শাবল ও বাঁশের লাঠি দিয়ে গৌরাঙ্গ দেবনাথসহ ৩ জনকে আক্রমণ করে। তিনজনই গুরুতর আহত হন। এর মধ্যে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত ও রক্তাক্ত জখম হন গৌরাঙ্গ দেবনাথ। তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে প্রথমে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে চিকিৎসক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এরপর ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই গৌরাঙ্গ দেবনাথের ছেলে দুলাল দেবনাথ কচুয়া থানায় জীবন দেবনাথ, হারাধন দেবনাথ, শীতল দেবনাথ, জগদিশ দেবনাথ, পুতুল, শিখা রানী দেবনাথকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন কচুয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ছাদেকুর রহমান মামলাটি তদন্ত শেষে ওই বছরের ৫ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজিৎ রায় চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, মামলাটি প্রায় ৮ বছর চলাকালীন সময়ে ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করে আদালত। সাক্ষ্য গ্রহণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে আসামি জীবন ও হারাধনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন। বাকি ৪ আসামি শীতল দেবনাথ, জগদিশ দেবনাথ, পুতুল, শিখা রানী দেবনাথের অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। রায়ের সময় আসামি জীবন দেবনাথ পলাতক ও হারাধন উপস্থিত ছিলেন।

মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. শফিকুর রহমান শফিক।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।