ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আদালত

দুর্নীতির মামলায় জামিন পাননি লায়ন আসলাম চৌধুরী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
দুর্নীতির মামলায় জামিন পাননি লায়ন আসলাম চৌধুরী

ঢাকা: বেসরকারি একটি ব্যাংকের সোয়া তিনশ কোটি টাকা ঋণ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী জামিন বিষয়ে জারি করা রুল উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

আসলাম চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী।

পরে খুরশীদ আলম খান জানান, এ মামলায় তার জামিনে হাইকোর্ট এর আগে রুল জারি করেছিলো। আজ রুল শুনানি শেষে হাইকোর্ট জামিন দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তার আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রুল উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ দেন। এখন তারা এ আবেদন নিয়ে অন্য কোর্টে যেতে পারবে।

এবি ব্যাংকের চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখা থেকে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাইজিং স্টিল লিমিটেডের নামে ৩২৫ কোটি ৭৫ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই মামলাটি দায়ের করেছিলেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মানিকলাল দাশ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসলাম চৌধুরীর পারিবারিক মালিকানাধীন রাইজিং স্টিল লিমিটেড পুরাতন জাহাজ কেনার জন্য ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তিনটি ঋণপত্রের (এলসি) বিপরীতে এবি ব্যাংক চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৩২৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ৯৫৫ টাকা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করেননি।

রাইজিং স্টার লিমিটেড ওই শাখায় প্রথম এলসি খোলে ২০০৮ সালে। দুই বছর পর প্রতিষ্ঠানটি ৪০ কোটি ৯৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা দামে পুরনো জাহাজ আমদানি করে তা বিক্রি করলেও ব্যাংকের ঋণ পুরোটা পরিশোধ করেনি।

প্রতিষ্ঠানটির কাছে ব্যাংক ২০ কোটি ৮২ লাখ ৯৩ হাজার টাকা পাওনা থাকার পরেও ২০১১ সালে আরও একটি এলসির মাধ্যমে একটি জাহাজ আমদানির সুযোগ দেওয়া হয়। এই এলসির বিপরীতেও প্রতিষ্ঠানটি ২৬ কোটি ৪৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকার ঋণ পরিশোধ করেনি।

এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি ২০১২ সালে ১৬৫ কোটি ৫২ লাখ ৬০ হাজার ৬০০ টাকা ও ২০১৩ সালে ১৩৪ কোটি ৩৪ লাখ ১৬ হাজার টাকার দু’টি এলসির বিপরীতে আরও দু’টি জাহাজ আমদানি করে তা বাজারে বিক্রি করলেও কোনো টাকা পরিশোধ করেনি।

বিপুল পরিমাণ ঋণের বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটি ১৭ কোটি ৪০ লাখ ৮৮ হাজার টাকা মূল্যের সম্পত্তির দু’টি দলিল ও তিনটি চেক জামানত হিসেবে দেয়। জামিনদার ছিলেন আসলাম চৌধুরী নিজেই।

আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় দণ্ডিবিধির ৪০৯, ৪২০, ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় মামলাটি করা হয়।

ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে সরকার উৎখাতের অভিযোগে ২০১৬ সালের ১৫ মে ঢাকায় গ্রেফতার হয়ে এখন কারাগারে রয়েছেন আসলাম চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
ইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।