ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আদালত

রাজশাহীতে ননদ হত্যার দায়ে ভাবির যাবজ্জীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৬
রাজশাহীতে ননদ হত্যার দায়ে ভাবির যাবজ্জীবন

রাজশাহীতে জমিজমার লোভে বাক প্রতিবন্ধী ননদকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে ভাবি সেবী আরা খাতুনকে (৩৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রাজশাহী: রাজশাহীতে জমিজমার লোভে বাক প্রতিবন্ধী ননদকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে ভাবি সেবী আরা খাতুনকে (৩৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবনের পাশাপাশি দশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের কারাদণ্ডাদেশ পেয়েছেন তিনি।

 

বুধবার (০৯ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে রাজশাহী জেলা বিশেষ দায়রা জজ (১) জাকিয়া পারভিনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।  

দণ্ডপ্রাপ্ত সেবী আরা খাতুন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রসুলপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের স্ত্রী।

রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, বাক প্রতিবন্ধী রুশনে আরা তার বড় ভাই মনিরুল ইসলামের বাড়িতে থাকতেন। গত বছরের ৬ মে রাত ১০টার দিকে জমি-জমার লোভে পূর্বপরিকল্পিতভাবে রুশনে আরাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে তার ভাই মনিরুল ইসলাম বড় ভাই নিসারুল ইসলামকে জানান যে, রুশনে আরা মারা গেছে। কিন্তু মরদেহ দেখে বড় ভাইয়ের সন্দেহ হয়।

তিনি গোদাগাড়ী থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ সময় ওই দম্পতিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

এ ঘটনায় নিসারুল বাদী হয়ে পরদিন গোদাগাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন।  

তদন্ত শেষে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ ওই বছরের ১৮ আগস্ট রুশনে আরার ভাবি সেবী আরাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এতে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ভাই মনিরুল ইসলামকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে আদালতে আবেদন করা হয়।

পরে চার্জশিট গ্রহণ করে আদালত মনিরুল ইসলামকে অব্যাহতি দেন। মামলায় ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৬
এসএস/জিপি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।