ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আদালত

‘বইমেলার মধ্য দিয়ে প্রকাশনা শিল্প ও লেখক অনুপ্রাণিত হয়’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০১৬
‘বইমেলার মধ্য দিয়ে প্রকাশনা শিল্প ও লেখক অনুপ্রাণিত হয়’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: বইমেলার মধ্য দিয়ে পাঠকের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং প্রকাশনা শিল্প ও লেখক অনুপ্রাণিত হয় বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

সোমবার চসিক আয়োজিত ১৩ দিনব্যাপী বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ মন্তব্য করেন।



আগামীতে মাসব্যাপী বইমেলা আয়োজনের বিষয়টি বিবেচনায় জানিয়ে মেয়র বলেন, অমর একুশে বাঙালির চেতনাকে শাণিত করে, অন্যায়, অসত্য ও অসুন্দরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে প্রেরণা দেয়। বই পড়ে জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করা যায়, অজানাকে জানা যায় বই পড়ে। জ্ঞানের আলোতে আলোকিত হয়ে দেশ সমাজকে আলোকিত করতে সহায়তা করে বই।

মেয়র বলেন, জীবনের শেষমুহূর্ত পর্যন্ত বই পড়ার অভ্যাস অব্যাহত রাখতে হবে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ছাড়াও আমাদের  বই পড়া প্রয়োজন। বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষা আয়ত্ত করে বিশ্ব জয় করতে হবে।  

চসিক আয়োজিত সাংস্কৃতিক ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ ও অমর একুশের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ৪১ নম্বর দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছালেহ আহমেদ চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চিটাগাং ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির (চুয়েট) উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ, ৪০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজি মো. জয়নাল আবদীন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফরোজা কালাম ও লুৎফুন্নেছা দোভাষ বেবী।

মেয়র সাংস্কৃতিক ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১৯৫ জনসহ বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশক বাতিঘর (প্রথম), অ্যাডর্ন পাবলিকেশন (দ্বিতীয়), শব্দশিল্প প্রকাশন (তৃতীয়) এবং বুক স্টল আবির প্রকাশন (প্রথম), বলাকা প্রকাশন (দ্বিতীয়) এবং মাইজভাণ্ডারী প্রকাশনী (তৃতীয়) স্থান অর্জনকারী এবং বইমেলায় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অপর্ণাচরণ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ (প্রথম), পাঠানটুলী খান সাহেব সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং আইয়ুব বিবি সিটি করপোরেশন স্কুল ও কলেজ যৌথভাবে (দ্বিতীয়), ফতেয়াবাদ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ (তৃতীয়) এবং কুয়াইশ বুড়িশ্চর শেখ মোহাম্মদ সিটি করপোরেশন কলেজ (প্রথম), কুলগাঁও সিটি করপোরেশন কলেজ (দ্বিতীয়) ও কাপাসগোলা সিটি করপোরেশন মহিলা কলেজকে (তৃতীয়)পুরস্কার তুলে দেন।

অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবদুর রহিম। উপস্থিত ছিলেন বইমেলা কমিটির আহ্বায়ক কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, মোহাম্মদ ইসমাইল বালি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, চসিকের সচিব রশিদ আহমদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা নাজিয়া শিরিন, শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান, প্রিমিয়ার কলেজের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক, কাপাসগোলা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ জারেকা বেগম, জরিনা মফজল কলেজের সহকারী অধ্যাপক রেহানা আক্তার খানম, পোস্তারপাড় আছমা খাতুন কলেজের প্রভাষক আবু তালেব, সরাইপাড়া কলেজের প্রভাষক সাহেদুল কবির চৌধুরী, কাপাসগোলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোবাশ্বরা বেগম, সংগীত শিক্ষক অশোক সেনগুপ্ত, মাদ্রাসা পরিদর্শক মাওলানা হারুনুর রশিদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে লেখক মো. আবু তাহের মির্জার ‘বঙ্গবন্ধুর বাণী ও ভাষণ’ বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০১৬
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।