ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

রাজশাহীতে নামছে শীত, কমছে তাপমাত্রা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২১
রাজশাহীতে নামছে শীত, কমছে তাপমাত্রা

রাজশাহী: রাজশাহীতে পৌষের শুরুতেই শীত নামতে শুরু করেছে। কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রাও।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ধারণা করা হচ্ছে ২/৩ দিনের মধ্যে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমে এক অংকের ঘরে নামবে।

এর আগের দিন মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন সোমবার ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ফলে আজ সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও ঠাণ্ডা বাতাসের দাপটে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে রাজশাহীতে। অনেকটা দেরিতে হলেও নামতে শুরু করেছে শীত। সাধারণ মানুষের শরীরেও উঠেছে শীতের পোশাক। এরই মধ্যে ঠাণ্ডায় গুঁটিশুটি হয়ে পড়েছেন পথের ধারে থাকা ছিন্নমূল মানুষগুলো। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষরা শীতে কাতর হয়ে পড়েছেন এখনই। আর শীত নিবারণের জন্য কম দামে শীতবস্ত্র কিনতে তারা যাচ্ছেন ফুটপাতের দোকানগুলোতে।

তবে শুরুতেই শীত মোকাবিলার প্রস্তুতি শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ প্রস্তুত হচ্ছে শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর। সরকারি এই দফতরটি জানিয়েছে, শীতার্তদের মাঝে এবার প্রথমধাপে প্রায় ৬০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হবে।
 

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ছিন্নমূল মানুষগুলোকে পথের ধারে খড়-কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে৷ এরই মধ্যে বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে।  

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আরিফুল হক জানান, ঠাণ্ডা বাড়ছে। তাই হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যা বেশি। আক্রান্তদের বেশিরভাগই ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, হৃদরোগ, অ্যাজমা নিয়ে হাসপাতালে আসছেন বলেও জানান এই চিকিৎসক।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক শহীদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, কয়েকদিন থেকেই তাপমাত্রা নামছে। তবে রাজশাহীতে আজই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে মধ্য ডিসেম্বর জুড়ে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামেনি। পৌষের শুরুতেই মূলত তাপমাত্রা নামছে।

জানতে চাইলে আবহাওয়া কর্মকর্তা শহীদুল আরও বলেন, সাধারণত তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মাঝারি ও ৬ এর নিচে নামলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। সেই হিসেবে এখনও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়নি। তবে আগামী সপ্তাহে রাজশাহীতে গোটা উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে বলেও জানান এই আবহাওয়া কর্মকর্তা।

এদিকে আবহাওয়ার দীর্ঘ মেয়াদী পূর্বভাসে বলা হয়েছে, ডিসেম্বর মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। তাই এ মাসে রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকবে। এ মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ১ থেকে ২টি মৃদু (০৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ও মাঝারি (০৬-০৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে বলেও আবহাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।
    
বাংলাদেশ সময়: ১০১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২১
এসএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।