ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

শৈত্যপ্রবাহের দাপটে চাহিদা বেড়েছে শীতবস্ত্রের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
শৈত্যপ্রবাহের দাপটে চাহিদা বেড়েছে শীতবস্ত্রের শীতবস্ত্র কিনছেন ক্রেতারা। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: পৌষের শুরুতেই দেশজুড়ে শৈত্যপ্রবাহের দাপটে ঢাকাসহ সারাদেশে শীতের কামড় বেশ টের পাওয়া যাচ্ছে। শীতের তীব্রতা থেকে রেহাই পেতে মানুষ ছুটছেন গরম পোশাকের দিকে। শীতের সঙ্গে গরম পোশাকের চাহিদা বাড়ায় দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে, দামের চেয়ে পছন্দের পোশাককে প্রাধান্য দিচ্ছেন ক্রেতারা।

শীতবস্ত্রের দাম কিছুটা বাড়লেও বেশ সানন্দেই কিনতে দেখা গেছে ক্রেতাদের। বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে ফুলহাতা গেঞ্জি, দেশি-বিদেশি জ্যাকেট, ব্লেজার, লেগিংস ও শাল, মাফলার ইত্যাদি।

শীতবস্ত্র কিনছেন ক্রেতারা।  ছবি: ডিএইচ বাদলবৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর নিউমার্কেট, নুরজাহান মার্কেট, চন্দ্রিমা সুপারমার্কেট, এলিফেন্ট রোডের আলপনা মার্কেট, গাউসিয়াসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার ফুটপাত ও মার্কেটগুলোতে ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নিম্ন-মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে সব শ্রেণির ক্রেতার উপস্থিতি রয়েছে ফুটপাতে। এসব এলাকায় ক্রেতার চাহিদার শীর্ষে রয়েছে রেক্সিনের জ্যাকেট, সুতার তৈরি লেডিজ্যাকেট, কটন জ্যাকেটসহ দেশ-বিদেশের (পুরাতন) নানা ধরনের জ্যাকেট, ফুলহাতা গেঞ্জি। এসব পোশাকের দামও রয়েছে ক্রেতার সাধ্যের মধ্যে। ২০০ থেকে ৭৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে জ্যাকেট, ১০০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের গেঞ্জি। হাতের কাজ করা বিভিন্ন চাদর ও শাল পাওয়া যাচ্ছে ২৫০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে, জিন্স কোট (এক ধরনের জ্যাকেট) ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে।

অন্যদিকে বাচ্চাদের বিভিন্ন সোয়েটার পাওয়া যাচ্ছে ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা, নানা রঙের লেগিংস ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, ফুলহাত গেঞ্জি সেট ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, জ্যাকেট ২৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। শীতবস্ত্র কিনছেন ক্রেতারা।  ছবি: ডিএইচ বাদলসাহেলা সুলতানা বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজছাত্রী। প্রতিবছরের মতো তিনি এবারও নিউ মার্কেটে এসেছেন শীতের পোশাক কিনতে।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছর শীত মৌসুমে হালকা ঠাণ্ডা পড়লে গরম কাপড় কেনা হয়, এবার সময় পাইনি। তাই একটু দেরিতে এলাম। এর মধ্যে শীতবস্ত্রের দামও বেড়েছে কিছুটা। তবে, দাম যেমনি হোক শীত থেকে বাঁচতে হলে তো কিনতেই হবে।

নাদিম নামে নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাত বিক্রেতা বলেন, আমাদের বিক্রি অনেক আগেই শুরু হয়েছে। তবে, গত দু’দিন ধরে শীতের তীব্রতা বাড়ায় ক্রেতাদের চাহিদাও বেড়েছে।

শীতবস্ত্রের বাড়তি দাম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাদিম বলেন, প্রতিবছর শীতে পোশাকের দাম কিছুটা বেড়ে যায়। এবারও বেড়েছে তবে, অন্যবছরের একই সময়ের তুলনায় খুব বেশি বাড়তি না বলে যোগ করেন ওই বিক্রেতা। শীতবস্ত্র কিনছেন ক্রেতারা।  ছবি: ডিএইচ বাদলনিউমার্কেট, নুরজাহান মার্কেট, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, এলিফেন্ট রোডের আলপনা মার্কেট, গাউসিয়া মার্কেটে ক্রেতার ভিড় দেখা গেছে। অন্যদিনের তুলনায় ক্রেতার ভিড় বাড়লেও তা ফুটপাত তুলনায় অনেক কম। এসব মার্কেটে ১২০০ টাকা থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে নানা রঙের কোট, ব্লেজার, জ্যাকেট পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে নানা ধরনের ফুলহাতা গেঞ্জি পাওয়া যাচ্ছে ৩০০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে। বিভিন্ন চাদর ও শাল পাওয়া যাচ্ছে ৫০০ থেকে পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে।

শিশুদের বিভিন্ন সোয়েটার পাওয়া যাচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, নানা রঙের লেগিংস ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, ফুলহাত গেঞ্জি সেট ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, জ্যাকেট ৩৫০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে।

গাউসিয়া মার্কেটের ফ্যাশন হাউজের বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, এখন গরম পোশাকের চাহিদা বেশি তাই দাম কিছুটা বেড়েছে। প্রতিবছর এ সময়টাতে দাম বাড়তি থাকে। তবে, দামের চেয়ে ক্রেতারা কেনাটাকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
ইএআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।