ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিবেশ ক্লাব গঠনের দাবি

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৫ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৭
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিবেশ ক্লাব গঠনের দাবি বক্তব্য রাখছেন পাখি আলোকচিত্রী ও পর্যবেক্ষক জালাল আহমেদ। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: আমাদের বিপন্ন পরিবেশ-প্রতিবেশের কথা চিন্তা করে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিবেশ ক্লাব গঠনের সময় এসেছে। এটি গঠন করা হলে দেশের মূল্যবান জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা কিছুটা ধারণা অন্তত অর্জন করতে পারবে।

বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস-২০১৭ উপলক্ষে বুধবার (১০ মে) দুপুরে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয় অডিটরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং পাখি আলোকচিত্রী ও পর্যবেক্ষক জালাল আহমেদ।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্কাউট যেভাবে বাধ্যতামূলক সেভাবে এটিকেও সমগুরুত্ব দিয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পরিবেশ ও প্রকৃতিপ্রেমী হিসেবে গড়ে তোলা প্রয়োজন।

‘পরিবেশ ক্লাব’ বিষয়টি নিয়ে আমি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো।

বক্তব্য রাখছেন প্রখ্যাত পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক, ছবি: বাংলানিউজ   শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জালাল আহমেদ বলেন, আরও কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো আমাদের শিক্ষার্থীদের জানা প্রয়োজন। তার মধ্যে পরিবেশ নিঃসন্দেহে গুরুত্ববহ। রাজধানীর অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ন্যাচার স্ট্যাডি ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব, ফটোগ্রাফি ক্লাবসহ বিভিন্ন ধরনের ক্লাব রয়েছে। যেখানে শিক্ষার্থীরা ওই ক্লাবের সদস্য হয়ে অনেক কিছুই জানাতে পারছে। একইভাবে যদি আমাদের বিদ্যালয় বা কলেজগুলোতে পরিবেশ ক্লাব গঠন করা যায় তাহলে সব দিক থেকেই উপকারে আসবে।

তিনি বলেন, শীত মৌসুমে টাংগুয়ার হাওর, হাকালুকি হাওরসহ বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ লাখের মতো পরিযায়ী পাখি আসতো। এখন তা দুই লাখে নেমে এসেছে। পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কমে যাওয়া আমাদের জন্য অ্যালার্মিং। পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কমে যাওয়া পুরোপুরি আমাদেরই

বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস-২০১৭ উপলক্ষে পাখিপ্রেমীদের অংশগ্রহণে মুখর হয়ে উঠেছিল মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় অডিটরিয়াম। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার পর শুরু হয় আলোচনা সভা।  

জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসিম উদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ন্যাচার কনজারভেশন সোসাইটির প্রধান নির্বাহী পরিচালক এবং অবসরপ্রাপ্ত উপ-প্রধান বন সংরক্ষক ড. তপন কুমার দে।

‘বাংলাদেশে পরিযায়ী পাখি’ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রখ্যাত পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক। ‘হাওর এলাকায় জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ’ বিষয়ে আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়ামুল নাসের।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. সেলিম, বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ)  মো. জাহিদুল কবির, বন সংরক্ষক (সিএফ) অসিত রঞ্জন পাল,  বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মিহির কুমার দো প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৭
বিবিবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।