ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে কক্সবাজারে সন্ধ্যায় ভারী বর্ষণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৪
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে কক্সবাজারে সন্ধ্যায় ভারী বর্ষণ ফাইল ছবি

কক্সবাজার: বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল উত্তাল রয়েছে। এর প্রভাবে সন্ধ্যার দিকে ভারী বর্ষণ হয়েছে।

যে কারণে কিছুক্ষণের জন্য সাগর ফাঁকা হয়ে যায়। পরে বৃষ্টি থেমে গেলে পুনরায় সাগরে নামতে শুরু করেন পর্যটকেরা।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৫ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে কক্সবাজারে সারাদিন গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। আবহাওয়‍া অধিদপ্তর সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান জানান, বুধবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ঘণিভূত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম এবং ভারতের উড়িষ্যা  উপকূল দিয়ে অতিক্রম করতে পারে।

তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার; যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।  

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকলেও কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে খুব একটা প্রভাব পড়েনি। বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে কক্সবাজার শহর ও আশপাশের এলাক‍ায় বৃষ্টি হচ্ছে। দমকা হাওয়‍া বইয়ে যাচ্ছিল। জেলা প্রশাসন সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সাগরে গোসলে নামতে সতর্ক করে বালিয়াড়িতে লাল পতাকা উচিয়ে দিয়েছে। সৈকতের জেলা প্রশাসনের বিচকর্মী ও লাইফ গার্ড সদস্যরা পর্যটকদের সতর্কতা সংকেত জারির কথা জানিয়ে প্রচার চালাচ্ছে।  

সকাল থেকে কক্সবাজার, হিমছড়ি, ইনানী,পাটুয়ারটেক ও টেকনাফ সৈকত পর্যন্ত ঘুরে আসার তথ্য জানিয়ে জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মীদের সহকারী সুপারভাইজার বেলাল হোসেন বলেন, সবখানেই পর্যটকের পদচারণায় মুখর। এখনও পর্যন্ত কোনো প্রভাব পড়েনি।  

জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে,সমুদ্র বন্দরে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি হলে উপকূলের বাসিন্দাদের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে আনার প্রস্তুতি শুরু হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩,২০২৪
এসবি/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।