ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ঘরবাড়ি-সম্পদ রক্ষার দুশ্চিন্তায় উপকূলবাসী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৪
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ঘরবাড়ি-সম্পদ রক্ষার দুশ্চিন্তায় উপকূলবাসী

ভোলা: ঘূর্ণিঝড় রিমাল আতঙ্কে উপকূলের মানুষ। বিশেষ করে নদীর তীরবর্তী মানুষের যেন আতঙ্কের শেষ নেই।

তবুও এ ঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।

ঝড় এলে তারা নিজেদের রক্ষা করবেন নাকি মালামাল রক্ষা করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তবে ঝড় মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

রাত থেকে সিপিপি, রেড ক্রিসেন্ট ও চিলেকোঠাসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন জনসচেতনতায় মাইকিং করেছে।

উপকূল ঘুরে জানা গেল, ঘূর্ণিঝড় রিমাল আসার খবরে উপকূলের বাসিন্দাদের উৎকণ্ঠার শেষ নেই। কোথায় আশ্রয় নেবেন, কীভাবে সম্পদ রক্ষা করবেন এমন চিন্তায় দিশেহারা তারা। কেউ কেউ ঝড়ের আগে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করার কথা জানালেও ক্ষয়-ক্ষতির চিন্তার ছাপ তাদের চোখ মুখে।  

উপকূলের বাসিন্দা রফিক, বেলায়েত ও সকিনা ও আব্বাস উদ্দিন বলেন, ঝড় আসছে শুনছি, তবে আমরা নিরাপদে গেলেও সম্পদ নিয়ে অনেকটা চিন্তায় আছি।  

তারা আরও বলেন, বিগত সময়ে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আজও আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারিনি, তাই এবারের ঝড় আমাদের ভয় বাড়িয়ে দিয়েছে।
ঝড় মোকাবিলায় তিন দাপের প্রস্তুতির কথা জানালেও আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করতে দেখা যায়নি কাউকে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তামিল আল ইয়ামিন বলেন, দুপুর পর্যন্ত ৩ হাজার মানুষকে আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে সক্ষম হয়েছি। তবে মূল ভূ-খণ্ডের বাইরের মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।  

জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, মূল ভূখণ্ডের মানুষকে নিরাপদে আনার কার্যক্রম সকাল থেকেই শুরু হয়েছে, আমাদের ৯২টি মেডিকেল টিম, ৭টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে কর্মকর্তাদের।
তবে মানুষকে সতর্ক করতে ও নিরাপদে আনতে প্রচারণা চালাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।