ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

‘মোখার তাণ্ডবে সেন্টমার্টিনে ৮০ শতাংশ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৮ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
‘মোখার তাণ্ডবে সেন্টমার্টিনে ৮০ শতাংশ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত’ সংগৃহীত ছবি।

ঢাকা: অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে সেন্টমার্টিনে প্রায় ৮০ শতাংশ ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রোববার (১৪ মে) সেন্টমার্টিনের জেটিঘাটের মুদি দোকানি আমির রানা এমন দাবি করেছেন।



তিনি বলেন, যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসেননি, তারা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন।

মোবাইলের নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে তিনি আর বেশি তথ্য দিতে পারেননি। তবে বাতাস এখন কিছুটা কমেছে বলে দাবি তার।

আসমা শুঁটকি বিতান ও রহিমা কটেজের স্বত্বাধিকারী মো. জয়নাল বাংলানিউজকে বলেন, মোখার তাণ্ডবে সবারই বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমার দোকানও বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। সবারই কম-বেশি ক্ষতি হয়েছে।

ভিডিওটি টেকনাফে ধারণ করা

তিনি বলেন, এখানে প্রায় সাড়ে ১০ হাজারের মানুষের বসবাস। মোখার কারণে এর মধ্যে আড়াই হাজার টেকনাফে চলে গেছে। বাকিরা সেন্টমার্টিনেই আছে।

টেকনাফের ছবি

বাতাসের কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এবার জলোচ্ছ্বাসের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেনি। পানি প্রবেশ করলে হতাহতের মতো ঘটনা ঘটতো।

গবাদিপশুর নিয়ে তিনি বলেন, যার যতগুলো পশু ছিল, অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে গেছে। আর অনেকে বলছেন বেঁচে থাকলে ঝোপ ও জঙ্গলে পাওয়া যাবে গবাদিপশু।

টেকনাফের ছবি

সেন্টমার্টিনের মতো টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ উপকূলে জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে। টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ের তীব্রতায় উড়ে গেছে ঘরবাড়ির চালাও বেড়া। এছাড়া ভেঙে গেছে গাছপালা। ঘূর্ণিঝড় মোখায় কুতুবদিয়া ও মহেশখালীতে বড় কোন প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ওই দুই উপজেলায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।

সেন্টমার্টিনের ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, তুলনাবিহীনভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়েও এত ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে আল্লাহর রহমত যে, এবার জলোচ্ছ্বাসের পানি ঢুকেনি। তবে ঘরবাড়ি, গাছগাছালির প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা আগেই জানিয়েছিলেন সেন্টমার্টিন অপেক্ষাকৃত বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। কেননা, মোখার কেন্দ্রের প্রভাব ওই দ্বীপটির ওপরে পড়ছে।


টেকনাফের ছবি


আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানান, সন্ধ্যা নাগাদ মোখার কেন্দ্র উপকূলে ওঠে আসবে সম্পূর্ণভাবে। মোখা এখন উপকূলে তাণ্ডব চালাচ্ছে।


টেকনাফের ছবি


মোখার কেন্দ্র মূলত মিয়ানমানের রাখাইন রাজ্য, সেখানেও তাণ্ডব চালাচ্ছে। রাজ্যের সিটুই জেলার লোকালয় ইতোমধ্যে ৮ থেকে ১০ ফিটের মতো জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে।

আরও পড়ুন>>>

মোখার কেন্দ্রের গতি ১৮০ কি.মি., তাণ্ডব চালাচ্ছে উপকূলে

মোখার ব্যাস ৪৫০ কিলোমিটার, প্রথমে আঘাত হানবে মিয়ানমারে

প্রায় ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে ৬ অঞ্চলে

ঘূর্ণিঝড় মোখা: রোহিঙ্গাদের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সতর্কতা 

ঘূর্ণিঝড় মোখা: জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতির শঙ্কা কম

কক্সবাজার-কিয়াকপিউ বন্দরের মাঝ দিয়ে উপকূলে উঠতে পারে ‘মোখা’

ঘূর্ণিঝড় মোখা: ঝুঁকিতে কক্সবাজার

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে মোখা

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
ইইউডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।