ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

বইমেলায় নীলিমা ইব্রাহিমকে স্মরণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২২
বইমেলায় নীলিমা ইব্রাহিমকে স্মরণ

ঢাকা: অমর একুশে বইমেলায় জন্মশতবার্ষিকীর শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজকর্মী ড. নীলিমা ইব্রাহিমকে স্মরণ করে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৬ মার্চ) বিকেলে বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘জন্মশতবার্ষিকী শ্রদ্ধাঞ্জলি: নীলিমা ইব্রাহিম’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।

এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিশাত জাহান রানা। আলোচনায় অংশ নেন আজিজুর রহমান আজিজ এবং আহমেদ মাওলা। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মনিরুজ্জামান।

নিশাত জাহান রানা বলেন, একাত্তর পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধের তথ্যভিত্তিক যে ন্যারেটিভসমূহ তৈরি হয়েছে, তারমধ্যে সবচেয়ে হৃদয়স্পর্শী রচনাগুলির অন্যতম আমি বীরাঙ্গনা বলছি। বস্তুনিষ্ঠ তথ্যভিত্তিক এই অসামান্য গ্রন্থটি রচনার ভেতর দিয়েই নীলিমা ইব্রাহিম ইতিহাসের পাতায় তার নাম খোদাই করেছেন নিশ্চিতভাবেই। তবে এই গ্রন্থ রচনার বহু পূর্ব থেকেই নীলিমা ইব্রাহিম তার জীবনকে উৎসর্গ করেছেন বৃহত্তর মানুষের জীবনের মুক্তির সংগ্রামে। আজ থেকে একশত বছর আগে জন্মগ্রহণকারী এই অসামান্য নারী একটি সুস্থ, সমৃদ্ধ, সংবেদনশীল এবং মানবিক সমাজ বিনির্মাণে একটার পর একটা মাইলফলক অর্জন করেছেন তার দীর্ঘ পথচলায়।

আলোচকরা বলেন, বাঙালি নারী-সমাজের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন নীলিমা ইব্রাহিম। নারীমুক্তি ও মানবপ্রগতির ব্যাপারে তিনি সারাজীবন সক্রিয় থেকেছেন। বিচিত্রমুখী প্রতিভা ও প্রবল উদ্যমের অধিকারী নীলিমা ইব্রাহিম শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও রাজনীতি সকলক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ছিলেন একাধারে শিক্ষাবিদ, গবেষক, সমাজকর্মী এবং সাহিত্যিক। বাংলা একাডেমির প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র নারী মহাপরিচালক হিসেবেও তিনি আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক ইতিহাসের সম্মানের স্থান করে নিয়েছেন।

সভাপতির বক্তব্যে মনিরুজ্জামান বলেন, অধ্যাপক নীলিমা ইব্রাহিম ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী এবং জ্ঞানপিপাসু। তার মাতৃবৎসলতার কারণে শিক্ষার্থীদের কাছে ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয়। সামাজিক সচেতনতা ও ও নারীমুক্তির সার্থক প্রকাশ ঘটেছিল তার মধ্যে। পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বর্বরতার শিকার বীরাঙ্গনাদের তথ্যভিত্তিক গ্রন্থ আমি বীরাঙ্গনা বলছি তাকে ইতিহাসে অমর করে রাখবে।

বিকেলে লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের বই নিয়ে আলোচনা করেন সালমা বাণী এবং সাইমন জাকারিয়া। অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি জাহিদ মুস্তাফা এবং নাসরীন নঈম। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী শাকিলা মতিন মৃদুলা এবং মো. মাহমুদুল হাকিম। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সংগীত ভবন’-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী খুরশিদ আলম, মুর্শিদ আনোয়ার, আঞ্জুমান আরা শিমুল, ফারহানা শিরিন, চম্পা বণিক, অনন্যা আচার্য্য, মো. রেজওয়ানুল হক, মেহেরুন আশরাফ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২২
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।