ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

গ্রন্থমেলায় ‘মমতাজউদদীন আহমদ আমার শিক্ষক’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০
গ্রন্থমেলায় ‘মমতাজউদদীন আহমদ আমার শিক্ষক’

ঢাকা: অমর একুশে গ্রন্থমেলায় একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত নাট্যকার, অভিনেতা, ভাষাসৈনিক এবং মুক্তিযোদ্ধা মমতাজউদদীন আহমদকে নিয়ে লেখা ‘মমতাজউদদীন আহমদ আমার শিক্ষক’ বই প্রকাশিত হয়েছে।   

প্রকাশনী সংস্থা মনন প্রকাশ থেকে বইটি প্রকাশ করেছেন প্রকাশক শাহ আল মামুন।

বইটি সম্পাদনা করেছেন মমতাজউদদীন আহমদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে মোহন হাসান, ইলা ভৌমিক, মিলন রায় এবং শামসুদ্দিন দিদার।

 

সম্পাদনা পরিষদের সদস্য মোহন হাসান বাংলানিউজকে বলেন, মমতাজউদদীন আহমদ দেশে-বিদেশে বাংলা ভাষার একজন অন্যতম প্রধান নাট্য নির্মাতা। মঞ্চনাটকেও তিনি এদেশের একজন অন্যতম নির্দেশক। অনেকেই তাকে শিক্ষক হিসেবে জানলেও উনি যে একজন ব্যতিক্রম ধারার শিক্ষক ছিলেন সেটা জানেন না।  

তিনি আরো বলেন, স্যার জগন্নাথ কলেজে শিক্ষার্থীদের পড়ানোর যে কৌশল শুরু করেছিলেন, তা বাংলাদেশের আর কোথাও আছে বলে আমরা মনে হয় না। উনি আমাদেরকে আনন্দের মধ্য দিয়ে শিক্ষাদান করাতেন। উনি পাঠ্যবই থেকে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করতেন। সেই প্রতিযোগিতায় পুরস্কারও দিতেন। যার ফলে আমরা সবাই আনন্দের মধ্য দিয়ে পুরো বইটাই পড়ে ফেলতাম। ওনার যেকোনো ক্লাস আমরা সবাই মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনতাম। শিক্ষক মমতাজউদদীনের বিভিন্ন গুণাগুণ এই বইটিতে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। বইটি পাঠ করলে বর্তমান সময়ের শিক্ষকরাও অনেক উপকৃত হবেন বলে আমার বিশ্বাস।

সম্পাদনা পরিষদের আরেক সদস্য এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বাংলানিউজকে বলেন,  ‘মমতাজউদদীন আহমেদ আমার শিক্ষক’ নামে আমরা যে বইটি প্রকাশ করেছি, এই বইটিতে স্যারের ৫০ জন শিক্ষার্থীর লেখা রয়েছে। আমাদের প্রত্যেকের লেখায় স্যারের পাঠদান, আবেগ অনুভূতি, স্যারের সঙ্গে আমাদের ক্লাসের ভেতরে ও বাইরে যে নিবিড় সম্পর্ক এবং স্যার সম্পর্কে অনেক অজানা বিষয় লেখা হয়েছে। আমার বিশ্বাস বইটি পাঠক মহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত এবং সাড়া পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০
আরকেআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।