ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

গণহত্যা-বধ্যভূমি-গণকবর নিয়ে সাহাদাত পারভেজের বই

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০
গণহত্যা-বধ্যভূমি-গণকবর নিয়ে সাহাদাত পারভেজের বই

ঢাকা: অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২০ এ প্রকাশিত হয়েছে খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ও শেকড়সন্ধানী লেখক সাহাদাত পারভেজের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘গণহত্যা, বধ্যভূমি ও গণকবর জরিপ: মুন্সিগঞ্জ জেলা’।

বইটি প্রকাশ করেছে ‘গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র, ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট’।

বইটি সম্পর্কে লেখক জানান, প্রচলিত ধারণা মতে মুন্সিগঞ্জ জেলায় ১৩টি গণহত্যার কথা জানা যায়।

কিন্তু মুন্সিগঞ্জের প্রায় প্রতিটি গ্রাম ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে অনেক নতুন তথ্য। এই গবেষণার মাধ্যমে ১৪৫টি গণহত্যা, ৬৫টি গণকবর, ৭টি বধ্যভূমি, ১৭টি নির্যাতন কেন্দ্রসহ মোট ২৩৪টি গণহত্যার নিদর্শন তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে।

তিনি জানান, মুন্সিগঞ্জের গণহত্যার বেশির ভাগই পূর্বপরিকল্পিত। এখানে মে মাসের শুরুতে ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রেজিমেন্টের সৈন্যদের পাঠানো হয় মূলত গণহত্যা পরিচালনার জন্য। মুসলমানদের পাশাপাশি দূরদূরান্তের হিন্দুরা যে বাড়িতে আশ্রয় নেয়; সেগুলো টার্গেট করে গণহত্যা চালানো হয়। এছাড়া নির্মমতার দিক থেকেও এখানকার গণহত্যাগুলোর একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। কাতারে কাতারে মানুষ হত্যার মধ্য দিয়ে এখানে শুধু মানবতাই লঙ্ঘন করা হয়নি; হত্যাযজ্ঞের পর হানাদার বাহিনী রাজাকার পাহারা বসিয়ে ঘটনাস্থল ঘিরে রাখে। তাই সৎকার তো দূরের কথা, কেউ মরদেহের কাছেও আসতে সাহস পাননি। ফলে কারও পক্ষে মরদেহ শনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। এই গবেষণার মাধ্যমে সময়ের অতলে চাপা পড়া এমন অনেক অজানা লোমহর্ষক ঘটনার তথ্য উঠে এসেছে।

মুন্সিগঞ্জের গণহত্যা, গণকবর ও বধ্যভূমি নিয়ে সাহাদাত পারভেজের এই বইটি অমর একুশে বইমেলায় সুবর্ণ প্রকাশনীর ১৫৭-১৬০ নম্বর স্টলে পাওয়া যাবে। মুন্সিগঞ্জের জরিপটি লেখকের অষ্টম গ্রন্থ।

লেখক সাহাদাত পারভেজ বর্তমানে দৈনিক দেশ রূপান্তরের ফটো এডিটর ও স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর জার্নালিজম, কমিউনিকেশন ও মিডিয়া স্ট্যাডিজ বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক। তিনি ১৯৭৭ সালের ৮ অক্টোবর মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
এইচএমএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।