ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

মেলায় স্বাস্থ্য চত্বর করার দাবি ডা. অরূপরতনের

নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
মেলায় স্বাস্থ্য চত্বর করার দাবি ডা. অরূপরতনের ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে: গ্রন্থমেলায় অন্য চত্বরের পাশাপাশি একটি ‘স্বাস্থ্য চত্বর’ করার দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসক প্রফেসর ডা. অরূপরতন চৌধুরী। তিনি বলেন, সুবিশাল গ্রন্থমেলায় শিশু চত্বর, লিটল ম্যাগ চত্বরসহ বিভিন্ন চত্বর থাকলেও নেই কোনো স্বাস্থ্য বিষয়ক চত্বর।



বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন। অরূপরতন চৌধুরী বলেন, যারা মেলায় আসছেন তারা ধ‍ূলা খাচ্ছেন। মেলা যতটা পরিষ্কার হওয়ার কথা ততটা নয়। যা নিয়ে কর্তৃপক্ষের অনেক কিছু করার আছে বলে মনে করি।

মেলায় আগতদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে আয়োজক সংস্থা বাংলা একাডেমির খানিক উদাসীনতা আছে বলেও মত তার।

আন্দোলনের মাধ্যমে গ্রন্থমেলায় ধূমপান বন্ধ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন আর মেলার ত্রিসীমানায় ধূমপান হয় না। আমার উদ্যোগেই এমন কাজ করা গেছে। এখন ধ‍ূলা-বালু, সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টিতে আমাদের তেমনই আন্দোলন চলছে। বিষয়টিতে বাংলা একাডেমি নজর দিলেই কাজ হয়ে যাবে।

অরূপরতন চৌধুরী বলেন, মেলা ঘিরে বরাদ্দের অর্থ তো কম আসে না। তা দিয়ে মাটিতে কার্পেটিং কিংবা ঘাস লাগানোর মতো কাজ করা যেতেই পারে। কেন ধ‍ূলা খেতে হবে মানুষকে মেলায় এসে!

রোগ বালাইয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধ‍ূলাতে হাঁপানি, কাশি, শ্বাসকষ্টজনিত নানা রোগ, হুপিং কাশি হতে পারে। শিশুরা এই ঝুঁকিতে বেশি।

তিনি বলেন, এছাড়া মেলায় নারীদের জন্য পর্যাপ্ত টয়লেট নেই, পুরুষ টয়লেটও অস্বাস্থ্যকর- এমন জটিলতা গ্রন্থমেলার মতো জায়গায় আশা করা যায় না। শুধু তাই নয়, মেলায় এসে হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্যও আমি ভালো কোনো স্থান দেখছি না। এ নিয়ে অন্তত তথ্যকেন্দ্র থেকে প্রচারণা তো চালানো যায়।

মেলায় স্বাস্থ্যের বই কোথায়, প্রশ্ন রেখে তিনি আরও বলেন, এতো বড় পরিসর করা হলো। এতোগুলো চত্বর হলো। কিন্তু একটা স্বাস্থ্য বিষয়ক চত্বর কি হতে পারে না! এতে স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা যেমন বাড়বে, তেমনি এ সংশ্লিষ্ট প্রকাশনাগুলোও এগিয়ে যাবে।

মেলার বাংলা একাডেমি অংশে ৭৪ নম্বর স্টল মানস’র। এই প্রকাশনীর প্রতিষ্ঠাতা অরূপরতন চৌধুরী।

মেলায় স্বাস্থ্য চত্বর ও স্বাস্থ্য বিষয়ের অভিযোগগুলো নিয়ে প্রশ্ন ছিল মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদের কাছে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এতোগুলো চত্বর তো আর করা সম্ভব নয়। তখন খাদ্য-বৃক্ষের জন্যও চত্বর চাইবে অন্যরা। বইমেলা শুধুই বইয়ের মধ্যেই থাক।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
আইএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।