ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

‘সেঞ্জের লেখা নাটকের খানিক আভাস আছে বাকিটুকু মৌলিক সৃষ্টি’

শিল্প-সাহিত্য প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫
‘সেঞ্জের লেখা নাটকের খানিক আভাস আছে বাকিটুকু মৌলিক সৃষ্টি’

বইমেলা থেকে: অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫-য় ভাষাচিত্র থেকে প্রকাশিত হয়েছে রুবাইয়াৎ আহমেদের নাটক ‘রঙমহাল’। প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী সব্যসাচী হাজরা।

৪৮ পৃষ্ঠার এ বইটির বিনিময় মূল্য ১৩৫ টাকা।

নাটক রঙমহাল কিভাবে লিখিত হলো জানতে চাইলে রুবাইয়াৎ আহমেদ বলেন, ‘গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে নাট্য নির্দেশক সুদীপ চক্রবর্তী এবং নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনাসম্বলের সম্পাদক চঞ্চল সৈকত আইরিশ নাট্যকার এডমন্ড জন মিলিংটন সেঞ্জ রচিত ‘দ্য ওয়েল অব দ্য সেইন্টস’ নাটকের পাণ্ডুলিপিটি নিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের দাবি আমি যেন এই নাটকটির অনুবাদ করে দেই যা নাগরিক নাট্যাঙ্গনের পরবর্তী প্রযোজনা হিসেবে মঞ্চে আসবে।

প্রিয় দুই নাট্যবন্ধুর এই দাবি প্রত্যাখ্যানের শক্তি আমার ছিল না। আর আসলে আমি তো লিখতেই চাই। এ কারণে তাঁদের সেই প্রস্তাবে সম্মানিত বোধ করি এবং জানাই, অনুবাদ নয় এর কিছু সার নিয়ে আমি আমার মত করে একটি নাটক লিখে দেব। তাতে তাঁরা দুজনেই সানন্দে সম্মতি দেন। সিঞ্জের নাটকটি পাঠ করার পর মনে হলো, দুই প্রধান চরিত্র অন্ধ ভিক্ষুক দম্পতিকে নিয়ে মৌলিক একটি নাটকই তো লেখা সম্ভব। আমার ভেতরে তখন রঙমহালের কাহিনি দানা বাঁধতে শুরু করে। ’

তিনি বলেন, নেত্রকোণার আঞ্চলিক ভাষার সঙ্গে মান বাংলার একটি মিশ্রণে শেষ পর্যন্ত “রঙমহাল” দাঁড়িয়ে যায় দুই মাসে। তারপর নানা পরিমার্জনার মধ্যদিয়ে ২০১৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি এটি চূড়ান্ত রূপ পায়। ’

নাটক লিখবার অভিজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে রুবাইয়াৎ বলেন, ‘এটা লিখতে গিয়ে টের পাই দেখার জগৎ অর্থাৎ রূপ এবং অদেখার জগৎ অর্থাৎ অরূপের মাঝে এক দ্বন্দ্ব। আমার মনে হতে থাকে চাক্ষুস সবকিছুকে যেমন মূল্যায়নের পাল্লায় আমরা তুলি এবং বিচার করি তাতে এক ধরনের ভ্রান্তি থেকে যেতে পারে কখনও কখনও। অরূপ, মানে না দেখা বিষয় যা শুধু অনুভবের তা এই বস্তুবাদী, পুঁজিতান্ত্রিক, ভোগবাদী বিশ্বে আজ তেমন কোনও মূল্য বহন করে না।

তিনি বলেণ, আমরা বাইরের চাকচিক্য আর সৌন্দর্য্যরে পূজারি। ভেতরকার নির্মলতাকে দুর্বল আর অপ্রচল বিবেচনা করতে শিখে যাচ্ছি। এই দ্বন্দ্বই ‘রঙমহাল’ আখ্যানের মূলে। দুই অন্ধ ভিক্ষুকের দৃষ্টি ফিরে পাওয়া এবং নানা সংকটের মধ্যদিয়ে পুনর্বার অন্ধত্ব বরণই রঙমহালকে চালিত করেছে। তাতে সেঞ্জের লেখা নাট্যকাহিনির খানিক আভাস আছে। বাকিটুকু মৌলিক সৃষ্টি। ’

ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখ থেকে মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ভাষাচিত্রের স্টলে বইটি পাওয়া যাচ্ছে। স্টল নং ২৮৭-২৮৮।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।