ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

বইমেলায় হুমায়ূন আহমেদের ‘একাত্তর এবং আমার বাবা’

আল-আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৪
বইমেলায় হুমায়ূন আহমেদের ‘একাত্তর এবং আমার বাবা’

বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে মৃত্যুবরণকারী বাবা ফয়জুর রহমানে শেষ সময়টুকু ধরে রাখতে এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘একাত্তর এবং আমার বাবা’।

১৭৫ পৃষ্ঠার এ বইটি প্রকাশ করেছে সময় প্রকাশনী।

মূল্য রাখা হয়েছে ৩২৫ টাকা।

বইটিতে হুমায়ূন আহমেদের পাশাপাশি তার ছোট ভাই জনপ্রিয় লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা থাকলেও প্রচ্ছদে শুধুমাত্র হুমায়ূন আহমেদের নামই ব্যবহার করা হয়েছে। বইটির ভূমিকাও লিখেছেন জাফর ইকবাল। এছাড়া বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন হুমায়ূন আহমেদের আরেক ছোট ভাই জনপ্রিয় কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব।

বইটির প্রকাশ প্রসঙ্গে সময় প্রকাশনীর প্রকাশক ফরিদ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, হুমায়ূন আহমেদ ও মুহম্মদ জাফর ইকবালের একত্রে লেখা এটিই প্রথম বই। ১৯৭১ সালে অনেকটা ব্যক্তিগত ডায়েরির মতো করে লেখা হুমায়ূন আহমেদের এই অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপি হঠাৎ করেই আবিষ্কৃত হয়েছে। পাণ্ডুলিপিটি তার মায়ের কাছে ছিল এবং পরিবারের পক্ষ থেকে এটিকে বই আকারে প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

তিনি বলেন, বাবার শেষ সময়ের স্মৃতিটুকু ধরে রাখতে হুমায়ূন আহমেদ সম্ভবত অনুজ মুহম্মদ জাফর ইকবালকে দিয়ে তাদের পরিবারের বিপর্যয়ের শেষ অংশটুকু লিখিয়ে নিয়েছিলেন। বইটির ৮০ ভাগ লেখা হুমায়ূন আহমেদের এবং ২০ ভাগ জাফর ইকবালের।

বইটি দু’জন লিখলেও প্রচ্ছদে শুধু হুমায়ূন আহমেদের নাম ব্যবহার সম্পর্কে তিনি বলেন, এ সম্পর্কে জাফর ইকবালই সবচেয়ে ভালো বলতে পারবেন। কারণ এটি করা হয়েছে তার  ইচ্ছাতেই। হয়তো বড় ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, বইটি এমন সময় লেখা হয়েছে যখন হুমায়ূন আহমেদ বা জাফর ইকবাল কেউই কথাসাহিত্যিক হিসাবে গড়ে ওঠেননি। সেই হিসেবে এ বইটি একটি ঐতিহাসিক দলিল।

বইটি প্রকাশ করার সময় পাঠকদের আগ্রহ এবং কৌতুহলের কথা বিবেচনা করে দুই ভাইয়ের মূল হাতের লেখার প্রতিচ্ছবিও বইয়ে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।