ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

রাতে বইমেলার ঢিলেঢালা নিরাপত্তা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৪
রাতে বইমেলার ঢিলেঢালা নিরাপত্তা

ঢাকা: এবার ভিন্ন আমেজে শুরু হলো অমর একুশে বইমেলা। বাংলা একাডেমির সেই চিরায়ত চত্বর ঘিরে নয়, মেলা এবার গিয়ে ঠেকেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত।

কয়েক বছর ধরে নানা আলোচনা সমালোচনার পর বই মেলার এই বিস্তৃতি।

একাডেমির মূল গেটের বিপরীত পাশে প্রায় ২০০ মিটার দূরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রমনা কালী মন্দিরের পাশে বসানো হয়েছে অধিকাংশ প্রকাশনীর স্টল। চারিদিকে বাঁশের বেষ্টনী, টিনের বেড়া ঘেরা। তবে বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণ শূন্য নেই। এখানে মূলমঞ্চ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বইয়ের স্টল রয়েছে। শিশুদের স্টলগুলোও প্রায় সব এখানে।

বই মেলার স্থান সম্প্রসারণকে সময়ের দাবি উল্লেখ করে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকশামসুজ্জামান খান বলেন, এবার ভিন্ন আঙ্গিকে, ভিন্ন পরিবেশে বই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলা একাডেমির ভিতর ঘিঞ্জি পরিবেশ থেকে মেলাকে আরো সম্প্রসারিত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । যা ছিলো সময়ের একটি দাবি।

৩১ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির সচিব ও বইমেলার নিরাপত্তা বিষয়ক কমকর্তা আলতাফ হোসেন জানান, বইমেলার ভিতর গোটা এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ, ৠাব আনসার ও গোয়েন্দা সংস্থা।

মেলায় সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা থাকলেও শনিবার রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে সেরকম কোনো কিছুই চোখে পড়ে নি।
ৠাব, পুলিশ আনসার বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি একাডেমির নিজস্ব একটি পর্যবেক্ষক দল নিরাপত্তা তদারকির দায়িত্বে থাকার কথা থাকলেও সরেজমিনে গিয়ে তার অনেক কিছুই দেখা যায় নি।

র‍াত দেড়টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলার নিরাপত্তা সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুলিশ ও আনসার সদস্যের কয়েকজন সদস্য পাহারা দিচ্ছেন। টহল ডিউটিতে থাকা শাহব‍াগ থানার এসআই  মোহাম্মদ আলী হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা চারজন এসআই এবং তিনজন এএসআই সহ কয়েকজন কনস্টেবল রয়েছি। মেলার সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য আমরা সদা প্রস্তুত। মেলার আশেপাশে কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে তাকে আমরা সেখান থেকে সরিয়ে দিচ্ছি। দায়িত্বরত পুলিশ সার্বক্ষনিক সজাগ রয়েছে।

আনসার সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রমনা কালী মন্দিরের প্রবেশ পথে তারা মোট ১২জন নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। তবে সেখানে মাত্র দু’জনকে দেখা গেলো। দায়িত্বরত কর্মকর্তার কথা জিজ্ঞেস করলে সিপাহী কাউয়ুম বলেন, পিসি আতিকুর রহমান এখানেই ছিলেন, কিছুক্ষণ আগে আশেপাশের অবস্থা দেখতে বাইরে গেছেন। পুলিশ ক্যাম্পের পাশেই  ৠাবের ক্যাম্প। কিন্তু সেখানে কোনো ৠাব সদস্যকে দেখা যায় নি।

শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মতিউল বলেন, রাত ১০টার পরে ৠাবের কোনো সদস্যকে আমি দেখিনি। কোথায় গেছে, আদৌও তারা রাতে আসবেন কিনা সেটা আমি বলতে পারছি না। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি।

এবারের বইমেলায় ২৯৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৩৪টি ইউনিট বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২৩২টি মূল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৪৩২টি ইউনিট বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকেলে ফিতা কেটে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বইমেলা খোলা থাকবে।   এবারের বইমেলা সদ্যপ্রয়াত লেখক-গবেষক, বাংলা একাডেমির ফেলো বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানকে উৎসর্গ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৫৩০ ঘণ্টা,জানুয়ারি ০২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।