ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

নন-ফিকশন বইমেলা ঢাবির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি: উপাচার্য

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২
নন-ফিকশন বইমেলা ঢাবির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি: উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ও বণিক বার্তার যৌথ উদ্যোগে অনুষদ প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ৬ষ্ঠ নন-ফিকশন বইমেলা-২০২২।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ বইমেলার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বিজনেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অধ্যাপক আব্দুল মঈন। সঞ্চালনা করেন বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, এই নন-ফিকশন বইমেলাকে ঢাবির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির একটি অংশ হিসেবে আমরা গণ্য করি। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা অনুষদ ও বণিক বার্তা এই আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের আয়োজন দ্বিতীয়টি পাওয়া যাবে না। এই নন-ফিকশন বইমেলা ইতোমধ্যে ইউনিক একটা আয়োজনে পরিণত হয়েছে এবং এটির অংশীদার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি বণিক বার্তাকে এ ধরনের মহতি উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, নন-ফিকশন হচ্ছে বাস্তব তথ্যমূলক বই। অন্যদিকে ফিকশন হচ্ছে নানা ধরনের কল্পনাপ্রসূত বই। কল্পনাপ্রসূত বই নিঃসন্দেহে মানুষের সৃষ্টিশীলতা বিকাশে ভূমিকা রাখে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তথ্যবহুল নন-ফিকশন বই অধিক গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণে আমরা এই বই পড়তে উৎসাহ দেই শিক্ষার্থীদের। এখন হলের রিডিংরুম বলেন বা কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি বলেন আমরা শিক্ষার্থীদের জায়গা দিতে পারছি না, এর মানে হচ্ছে তারা সেখানে বসে বই পড়ছে। আগেকার দিনের সেই বংশ পরম্পরায় নোট নির্ভরতা কমে গিয়েছে। লাইব্রেরিতে কী ধরনের বই তারা পড়ছে, তা নিয়ে হয়তো সমালোচনা থাকবে। তবে এটি সত্য তারা সেখানে লাইব্রেরির বই এবং টেক্সট বই ব্যবহার করছে।  টেক্সট বই ও রিকমন্ডেড বইগুলো তথ্যবহুল নন-ফিকশন বই। আমরা শিক্ষার্থীদের ফিকশনাল বই পড়তে উৎসাহিত করি কারণ সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গের সাথে পরিচয় ঘটানোর জন্য নানা ধরনের বই পড়া খুবই জরুরি। পাশাপাশি টেক্সট এবং রিকমেন্ডেড বই সব সময় তথ্যবহুল। এ দুটি বিষয়ের ওপর বিশ্ববিদ্যালয় যদি নজর দিতে পারে তবে সৃজনশীল ও একাডেমিক কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করার সুযোগ হবে।  

উপাচার্য আরও বলেন, আজকের এই নন-ফিকশন বইমেলা শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের একেবারে দোরগোড়ায় বই নিয়ে যাওয়ার একটি উদ্যোগ। এটি একটি ব্র্যান্ডে রূপান্তরিত হয়েছে এখন। আস্তে আস্তে এটা জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং নানা শ্রেণিপেশার মানুষকে উপকৃত করবে। এই নন-ফিকশন বইমেলা যখন শুরু হয়েছিল তখন সবাই বলেছিল এটি আবার কী? এখন এটি একটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান হিসেবে ব্র্যান্ডিং হয়ে গেছে এবং সামনের দিনগুলোতে হয়তো এটি আমাদের ক্যালেন্ডার ইভেন্টে পরিণত হতে পারে। কিছুদিন আগে আমরা গবেষণা-প্রকাশনা মেলার আয়োজন করেছি। নন-ফিকশন বইমেলা গবেষণা প্রকাশনা মেলার সাথে গভীরভাবে জড়িত। কারণ গবেষণার পূর্বশর্ত হলো এই ধরনের তথ্যভিত্তিক বই পর্যালোচনা করা। সে কারণে গবেষণা প্রকাশনা মেলা অর্থবহ করতেই এই ধরনের নন-ফিকশন বইমেলা আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২
এসকেবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।