ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

ইভিএম বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিতে বললেন আমির খসরু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
ইভিএম বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিতে বললেন আমির খসরু

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তীব্র সমালোচনা করে ভোটগ্রহণে ব্যবহৃত ইলেক্ট্রোনিক ভোটিং মেশিনগুলো (ইভিএম) বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির এ নেতা।

ইভিএম প্রসঙ্গে ইসিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কোনো অনুমোদন ছাড়া এলসি খুলে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ইভিএম মেশিন কিনেছে নির্বাচন কমিশন।

এতে দেশের জনগণের চার হাজার কোটি টাকা অপচয় হয়েছে।

‘কোনো গণতান্ত্রিক দেশে, যেখানে সামান্য পরিমাণ জবাবদিহিতা আছে, সেখানে যারা মূল স্টেকহোল্ডার, তাদের মতামত সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে নির্বাচন কমিশন এরকম কাজ করতে পারে না। আর সবচাইতে বড় কথা হলো, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ যেখানে ২১ হাজার টাকা করে একটি ইভিএম মেশিন কিনেছে, সেখানে আমাদের নির্বাচন কমিশন কিনেছে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা দামে। অর্থাৎ প্রায় ১১ গুণ বেশি দাম দিয়ে। আমি নির্বাচন কমিশনকে বলবো, এসব মেশিন ক্রয় করা হয়ে গেছে, দুর্নীতির টাকাও পকেটে ঢুকে গেছে। এখন আল্লাহর ওয়াস্তে বাংলাদেশের জনগণকে বাঁচান। তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার স্বার্থে, এদেশের গণতন্ত্রের স্বার্থে, এদেশের মানুষের অধিকারের স্বার্থে দয়া করে মেশিনগুলোকে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিন। ’

চট্টগ্রামের চলমান উপনির্বাচন প্রসঙ্গে আমির খসরু বলেন, ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের উপনির্বাচনে প্রায় সব কেন্দ্র ক্ষমতাসীনরা দখল করে নিয়েছে। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভয়ভীতির মাধ্যমে তারা কেন্দ্র দখল করেছে। ভোটাররা ভোট দিক বা না দিক, তারা ইভিএমের মাধ্যমে সুন্দরভাবে ভোটগুলো তাদের পক্ষে নিয়ে নিচ্ছে। ঢাকাতেও একই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

ঢাকার আসন্ন দুই সিটি নির্বাচন উপলক্ষে ৩০ তারিখের আগ পর্যন্ত কোনো গ্রেফতার, হয়রানি বা অভিযান চলবে না বলে নির্বাচন কমিশন আশ্বস্ত করেছিল, এর উল্লেখ করে বিএনপির অন্যতম এ নীতিনির্ধারক বলেন, আমি নিজে গিয়েছিলাম। নির্বাচন কমিশনার আমাকে কথা দিয়েছেন, ৩০ তারিখ পর্যন্ত কোনো গ্রেফতার হবে না, অভিযান চলবে না। কিন্তু কী দেখা যাচ্ছে, গ্রেফতারও চলছে, অভিযানও চলছে। আক্রমণ চলছে, হামলা চলছে। হামলা-মামলার মাধ্যমে ভয়ভীতির সৃষ্টি করা হচ্ছে।  

নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের সহ-সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চলনায় মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, নির্বাহি কমিটির সাদস্য বিলকিস ইসলাম, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতউল্লাহ, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা সোয়াইব আহমেদ, মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নাসির হায়দার, তাঁতী দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
এমএইচ/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।