ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

জামায়াত-শিবিরের উপস্থিতি নেই, স্বস্তি বিএনপির জনসভায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮
জামায়াত-শিবিরের উপস্থিতি নেই, স্বস্তি বিএনপির জনসভায়

ঢাকা: দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজধানীর  সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসভা শুরু হয়েছে। রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে দলীয় সংগীত বাজিয়ে জনসভার কার্যক্রম শুরু করা হয়। তবে মূল কার্যক্রম শুরু হবে দুপুর ২টায়।

সমাবেশকে ঘিরে সকাল থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত হতে শুরু করলেও তাদের জোটের শরিক ও দীর্ঘদিনের মিত্র স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াত ও এর ছাত্রসংগঠন শিবিরের কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি। এ নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতা।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, জামায়াত-শিবির না অাসায় বিএনপির জন্য ভালো হয়েছে। বহির্বিশ্বের সমর্থন পেতে সুবিধা হবে।

নজরুল ইসলাম নামের এক কর্মী বলেন, তারা সরকারের সঙ্গে আঁতাত করেছে। তাই জোটনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির এই সমাবেশে অাসেনি। অাসলে জামায়াত একটি সুবিধাবাদী দল। তাদের বিশ্বাস করা কঠিন।  

এদিকে সকাল ৯টা থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মিছিল নিয়ে ঢুকছেন বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। জনসভায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে মামলা প্রত্যাহার দাবির প্ল্যাকার্ড-ব্যানার-ফেস্টুন বেশি শোভা পাচ্ছেে।  

দুই দফা পেছানোর পর রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করছে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সভাপতিত্ব করবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলের কেন্দ্রীয় নেতাসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা এতে বক্তব্য দেবেন।

সাংগঠনিক শক্তি দেখানোর জনসভা 
এদিকে এই জনসভায় বিএনপি বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ঘটিয়ে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন করতে চায় বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।  

ওই সূত্র বলছে, সোহরাওয়ার্দীর জনসভা থেকে সরকার, দেশবাসী ও দলের নেতাকর্মীদের কিছু বার্তা দেবে বিএনপি। ‘নিরপেক্ষ সরকারের’ অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের প্রতি কয়েক দফা দাবি ও দেশবাসীর প্রতি ১২টি লক্ষ্য (অঙ্গীকার) ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি আগামীদিনের পথচলা ও দাবি আদায়ের সম্ভাব্য আন্দোলন নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের দেওয়া হবে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনাও। জনসভা থেকে ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য’র ব্যাপারে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বিএনপি নিজেদের অবস্থানও তুলে ধরবে।  

রোববারের জনসভা হবে বিএনপির এ মাসের দ্বিতীয় আয়োজন। এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে নয়াপল্টনে জনসভা করেছিল দলটি।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮
টিএম/এইচএ/

** নেতাকর্মীদের জনসভায় অাসতে বাধা দেয়ার অভিযোগ বিএনপির
** সোহরাওয়ার্দীতে অাসতে শুরু করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা
** 
সোহরাওয়ার্দীতে শক্তি-সামর্থ্যের জানান দিতে চায় বিএনপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।