ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

প্রধানমন্ত্রীর ১৫ মামলা কোথায়, প্রশ্ন নজরুলের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫১ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৮
প্রধানমন্ত্রীর ১৫ মামলা কোথায়, প্রশ্ন নজরুলের প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন নজরুল ইসলাম/ছবি: শাকিল

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ১৫টি মামলা মাথায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ১৫ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির সেই মামলা আজ কোথায়। তা নিয়ে তো দুদক, অ্যাটর্নি জেনারেলকে কোনো তদবির করতে দেখা যায়নি। তাহলে খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে তারা কেন এত দৌড়-ঝাঁপ করছেন?

বুধবার (১৪ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার কনফারেন্স হলে মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত ‘চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট: কোন পথে বাংলাদেশ’-শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।
 
নজরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ৬টি মামলা রাজনৈতিক বিচেনায় প্রত্যাহার করা হয়েছে, তারমধ্যে একটা হলো লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যার মামলা।

আওয়ামী লীগের গোপালগঞ্জ জেলার সেক্রেটারি ও প্রেসিডেন্ট ছিলেন তাকে ২০০৯ সালে বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তার আদালতে ৫টা মামলা খারিজ হয়ে গেলো। আজকের দুদকের যিনি আইনজীবী মুহূর্তের মধ্যে আপিল বিভাগ চেম্বার জজের কাছে দৌড়ায়ে চলে যান, সেদিন তারা কোথায় ছিলেন।

তিনি বলেন, আরও ৪টা মামলা খারিজ করলেন ২০০৯ সালে নিয়োগ পাওয়া যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা শামসুদ্দিন চৌধুরীর কোর্টে। তার বিরুদ্ধে না অ্যাটর্নি জেনারেল, না দুদকের কোনো আইনজীবী আপিল করতে গেলেন। ১৫ হাজার কোটি টাকার সেই মামলা নিয়ে কোনো তদবির আপিল করা হলো না।

‘আর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যখন মামলা চলে সপ্তাহে ২/৩দিন তারিখ হয়। সাজা হয়ে গেলো হাইকোর্টে আসলাম। আড়াইটার সময় হাইকোর্টে জামিন হলো, তার একঘণ্টার মধ্যে পিপি কুমিল্লার কোর্টে গিয়ে আর একটা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেন। পরের দিন দুদকের আইনজীবী এবং অ্যাটর্নি জেনারেল চেম্বার জজের কাছে আপিল করলেন’।

‘আমি প্রশ্ন করতে চাই, অ্যাটর্নি জেনারেল ও দুদকের আইনীজীবী কি আওয়ামী লীগের আইনজীবী না রাষ্ট্রের। তাদের বেতন কি আওয়ামী লীগের ফান্ড থেকে হয়, না জনগণের টাকা থেকে হয়। হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির ব্যাপারে চুপ করে বসে থাকেন। আর খালেদা জিয়ার ব্যাপারে লাফ দিয়ে ওঠেন’।

নজরুল ইসলাম বলেন, কুমিল্লার যে পিপি তিনি কার নিয়োগপ্রাপ্ত, আইন মন্ত্রণালয়ের না? সেই পিপি যে দরখাস্ত করে ওখান থেকে অর্ডার ইস্যু করিয়ে নিয়ে আসলেন, এটাতে কি সরকারের ইনভলমেন্ট নাই? অ্যাটর্নি জেনারেল এবং দুদকের আইনজীবীর আচরণ সরকারের ইনভলমেন্ট না।

সরকারি দলের নেতাদের বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, এই সরকার চায় না, খালেদা জিয়া বাইরে থাকুক, জনগণের মধ্যে থাকুক এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। কারণ খালেদা জিয়াকে তারা ভয় পায়।

বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়ার সভাপতিত্বে ও মহানগর সদস্য সচিব মো. শহীদুননবী ডাবলু'র সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এলডিপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির সহ-গবেষণা সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা, কল্যাণ পার্টি যুগ্ম মহাসচিব আল আমিন ভুইয়া রিপন, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব স্বপন কুমার সাহা, সম্পাদক কামাল ভুইয়া, মঞ্জুরুল আলম, যুবনেতা আবদুল্লহ আল কাউছারী প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৮
এমএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।