ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

মনে হয় যেন এটা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৮
মনে হয় যেন এটা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি: ফখরুল জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: এই সরকার জনগণের সরকার নয়, নির্বাচিতও নয় উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এরা সম্পূর্ণ জোর করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে ক্ষমতায় টিকে আছে। 

তিনি বলেন, নিজেদের মতো করে সংবিধান কেটেকুটে এ পর্যায়ে নিয়ে এসে এখন বলছে সংবিধানের বাইরে যাওয়া যাবে না, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, কেউ আসলে আসবে, না আসলে না আসবে। তাদের এ কথা শুনলে মনে হয়, এটা যেন তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি।

মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক গৌতম চক্রবর্তী।

মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে ছলচাতুরি করে আটকে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ তারা ভয় পাচ্ছেন, খালেদা জিয়া যদি বের হয়ে যান তাহলে তাদের মসনদ জনগণের জোয়ারে ভেসে চলে যাবে।

একটি পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, সেখানে লেখা হয়েছে আমরা নাকি ৫টি সমঝোতার বিষয়ে আলাপ করতে কারাগারে গিয়েছি। এটা তারা কোথায় পেলেন তা জানি না।  

১/১১ সরকারের সময়ে দায়ের করা মিথ্যা একটি সাজানো মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সেই সময় আজকের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও ১৫টি মামলা দেওয়া হয়েছিলো। আর আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে দিয়েছিলো ৪টি মামলা। দুঃখ হচ্ছে যে ধরণের কাজ কোনো সামরিক জান্তা করে বা ফখরুদ্দিন মইন উদ্দিনের মতো সেনাবাহিনী সমর্থিত কোনো অবৈধ সরকার করে, সেটা একটা কথা। কিন্তু যখন একটা রাজনৈতিক দল, যাদের গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামের গৌরবউজ্জল ইতিহাস রয়েছে, তারা যখন এই কাজ করেন, তখন যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে তাদের পক্ষে এটা মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে যায়।

তিনি বলেন, সোমবার (১২ মার্চ) ছাত্রদলের নেতা জাকির হোসেন মিলনকে নির্যাতন নিপীড়ন করে জেল খানায় পাঠিয়েছে। পরে বলেছে সে জেলখানায় মারা গেছে। এ হত্যার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ ছেলেটি তার জীবন দিয়েছে শুধুমাত্র গণতন্ত্রের রাজনীতি করার জন্য। শুধু একা মিলন নয়, এভাবে গত কয়েক বছরে আমাদের অনেক মিলন চলে গেছে।

জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের মুক্তি দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি কার কাছে দাবি করবো। আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে মুক্ত করব। জনগণকে সঙ্গে নিয়েই সব সমস্যার সমাধান করব।

আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ঢাবির অধ্যাপক ড. সুকমোল বড়ুয়া, বিএনপির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক জন গমেজ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক অপর্ণা রায় দাস, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য দেবাশীষ রায়, সুশীল বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৮
এমএইচ/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।