ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

রায় কি আপনারা লিখে দিয়েছেন, প্রশ্ন রিজভীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৮
রায় কি আপনারা লিখে দিয়েছেন, প্রশ্ন রিজভীর সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ৮ ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে  মিছিল, মিটিং, সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছেন ঢাকা মোট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। তাহলে কি রায় আপনারা লিখে দিয়েছেন? প্রশ্ন তোলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ডিএমপি একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, ৮ তারিখে ভোর থেকে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ।

কেন, কিসের জন্য। তাহলে নিশ্চয় আপনারা  আদালতের উপর এমন কিছু করেছেন যে তার প্রতিক্রিয়া হবে ভেবে আপনারা এ ধরনের একটা পদক্ষেপ নিয়েছেন। দেশকে জুলুমের বন্দিশালা তৈরি করেছেন।  

৮ ফেব্রুয়ারি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে সারাদেশে ১২শ’ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কেন এই গ্রেফতার? কিসের জন্য? কেন এই পুলিশি মহড়া? কেন এই পুলিশি তাণ্ডব? কেন দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ বিএনপির শতশত নেতাকর্মী আটক? তাহলে রায় কি আপনারা লিখে দিয়েছেন? 

বিএনপি চেয়ারপারসনের আকাশছোয়া জনপ্রিয়তা দেখে আপনি ইর্ষান্বিত হয়ে মিথ্যা মামলার জাল নথি তৈরি করে তাকে বন্দি করার পরিকল্পনা করছেন। তাকে বন্দি করে ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে দেশের গণতন্ত্রকে কঙ্কালসার করেছেন। যে কারণে বিরোধী দলকে ধূলার সঙ্গে মিশিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছেন।  

একের পর এক গ্রেফতার আবার গ্রেফতারের পর না বলা। মনে হচ্ছে, এদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিশিরাতের এক ভয়াল দুঃস্বপ্ন হয়ে আবির্ভূত হয়েছে। তিনি কত নিষ্ঠুর হতে পারেন। নিজের দেশের বিরোধীদলকে নিশ্চিহ্ন করতে সেই ২৫ মার্চের কালো রাতের মতো এবং ৯ মাসের যে গণহত্যার সেটার পুনরাবৃত্তি করছে সরকার। তারপরও কি শেষ রক্ষা হবে? জনগণের হৃদয়ে যে ক্ষোভ,  ঘৃণা দানা বেঁধেছে আপনি আইনের দ্বারা বন্ধ করতে পারবেন না। মানুষ তার প্রতিবাদ করবেই করবে।  

সোহেলের সন্ধান পেতে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ কামনা করে রিজভী বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতি, পুলিশের ডিজি, র‌্যাব ও বিজিবির ডিজির কাছে আবেদন জানাচ্ছি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিন।  

তিনি আরও বলেন, সকালে যখন পুলিশের সঙ্গে বলেছিলাম তখন তারা নিজেই স্বীকার করেছেন। আবার এখন তারা বলছেন না। আবার তারা সোহেলের বাসায় গিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে। সোহেলের বাচ্চা মেয়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে। কিন্তু কেন। তার মা চাকরি করে। চাকরি শেষে আমাকে টেলিফোন করেছেন। বাচ্চা মেয়েসহ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে। আমরা জানি না, কোথায় আছেন, কেমন আছেন, কি তার অবস্থা। আমরা রাষ্ট্রপতি, ডিআইজি, ডিজির কাছে আবেদন জানাচ্ছি, তার সন্ধান দিন। আপনারা তো দস্যুবাহিনীর প্রধান নন। আপনারা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে জনগণের সেবক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন।  

রিজভী বলেন, দেশের জাতীয় পর্যায়ের একজন নেতা অদৃশ্য হয়ে যাবেন আপনারা কিছুই বলতে পারবেন না। আপনারা অস্বীকার করবেন, হদিস দিবেন না এটা কোনো সভ্য দেশের কাজ হতে পারে না।  

সোহেলের অবস্থান পরিস্কার করার আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের সব গোয়েন্দা সংস্থা, মানবাধিকার সংস্থার কাছে আবেদন আপনারা সোহেলর অবস্থান পরিস্কার করুন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৮
এএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।