ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

কারা থাকছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির বৈঠকে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৮
কারা থাকছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির বৈঠকে

ঢাকা: কমিটি গঠনের ২২ মাস পর ডাকা বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রথম বৈঠক নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ। বিশেষ করে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলার রায়ের ধার্য তারিখের (৮ ফেব্রুয়ারি) মাত্র ৪ দিন আগে হওয়ায় উত্তেজনার মাত্রা খানিকটা বাড়িয়ে দিয়েছে বলে রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

কয়েক দফায় ভেন্যু পরিবর্তনের পর শেষ পর্যন্ত হোটেল লা মেরিডিয়ানে হতে যাচ্ছে এ বৈঠক। কারা থাকছেন বৈঠকে, আর তাদের উদ্দেশ্যে কি বার্তা দিতে চায় দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি।

সে বিষয়েও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাহী কমিটির ৫০২ জন সদস্যসহ সভায় সাত শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেবেন। নির্বাহী কমিটির বাইরে স্থায়ী কমিটির সদস্য, উপদেষ্টামণ্ডলী সদস্য এবং জেলা ও মহানগর কমিটির সভাপতিদের উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মামলার রায় ও সহায়ক সরকার ইস্যু নিয়ে আলোচনা প্রাধান্য পাবে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে ঘোষণা যাই থাকুক খালেদা জিয়ার মামলার রায় ইস্যু যে বিশেষ গুরুত্ব পাবে তা নেতাদের সঙ্গে কথা বলেও আভাস পাওয়া গেছে।

সিনিয়র নেতারা কয়েকদিন ধরেই রায়ের তারিখকে কেন্দ্র করে প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি রায়ে খালেদা জিয়ার সাজা হলে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের আগাম হুমকি দিয়ে রেখেছে বিএনপি। আবার কখনও সরকারের ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে কঠোর জবাব দেওয়ার কথা জানান দিচ্ছেন।

এসব কারণে নির্বাহী কমিটির বৈঠক নিয়ে দেশের রাজনীতি অঙ্গনে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। হঠাৎ পুলিশের উপর হামলা ও প্রিজন ভ্যান ভাংচুরের কারণে পুলিশও কঠোর অবস্থানে থাকার কথা জানিয়েছে। যাতে হাইকোর্টের সামনে সেদিনের সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটাতে পারে।

নির্বাহী কমিটির বৈঠকের আড়ালে খানিকটা শোডাউনের প্রস্তুতির আভাস মিলেছে নেতাদের সঙ্গে কথা বলে। এ জন্যই ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটকে (আইইবি) ভেন্যু করতে চেয়েছিলো বিএনপি। যাতে সভাকে কেন্দ্র করে ঢাকা নগরীকে অচল করে দেওয়া যায়। ভেতরে বল রুমে যখন সভা চলবে, ঠিক সেই সময়ে বাইরে কয়েক হাজার কর্মীর জমায়েত রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এজন্য ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী জেলা, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী ও কুমিল্লা থেকে কর্মী জমায়েত করার জন্য গোপন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ডিএমপি কমিশনার তাদের (বিএনপি) ইনডোর প্রোগ্রামের অনুমতি দিয়েছে। আমরা আশা করছি তারা শৃঙ্খলা মেনেই চলবে। কোনো অবস্থাতেই রাস্তায় অবস্থান করতে দেওয়া হবে না। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করা হলো কঠোর হাতে দমন করা হবে।

সবশেষ ২০১৬ সালের ১৯ মার্চে বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে চেয়ারপারসনকে নির্বাহী কমিটি গঠনের ক্ষমতা দেওয়া হয়। এরপর দফায় দফায় কমিটির নাম ঘোষণা দেওয়া হয়। সাড়ে ৪ মাসের মাথায় (কয়েকটি পদ শূন্য রেখে) কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এতে সম্পাদকমণ্ডলীতে ২০৯ জন, আর ২৯৩ জনকে রাখা হয়েছে নির্বাহী সদস্য হিসেবে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি ৬ মাস পরপর নির্বাহী কমিটির বৈঠক করার বিধান থাকলেও বিএনপির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এ নির্বাহী কমিটির মেয়াদ দু’বছর হতে চললেও কোনো বৈঠকই করা হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৮
এসআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।