ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

আস্থা ফেরানোর অঙ্গীকার এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
আস্থা ফেরানোর অঙ্গীকার এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন এনআরবি কর্মাসিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান

ঢাকা: এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান তমাল এসএম পারভেজ বলেছেন, বিদ্যমান সকল অসামঞ্জস্য দূর করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের আস্থা ফিরিয়ে আনা হবে।

বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার (১০ ডিসেম্বর) এনআরবি কর্মাসিয়াল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এসেছে।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) নতুন দায়িত্ব নেওয়া চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তিন ডেপুটি গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠক শেষে ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান তমাল এসএম পারভেজ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক নিয়ে যে সমস্যা ধরেছে, তা আমাদের নজরে আসেনি। পর্ষদ সদস্য হয়েও আমাদের কেউ তা জানতে পারিনি। এখন জেনে বিষয়গুলোর সমাধান করা হবে।

রোববার ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে এক জরুরি পর্ষদ সভায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে পরিবর্তন আনা হয়। এ ছাড়া ব্যাংকটির সব কমিটির চেয়ারম্যানও পদত্যাগ করেছেন। ওই সভায় পদত্যাগ করা পর্ষদ ও নতুন পর্ষদের বেশির ভাগ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার নতুন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পর্ষদের পাঁচ সদস্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যান। তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের তিন ডেপুটি গভর্নরের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠকে ব্যাংকের সার্বিক পরিস্থিতি জানিয়ে নিজেদের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন।

এর আগে চলতি বছরের ২০ মার্চ ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ও এমডির কাছে পাঠানো পৃথক নোটিশে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, আমানতকারীদের স্বার্থে ও জনস্বার্থে এনআরবিসি ব্যাংক চালাতে ব্যর্থ হয়েছে ফরাছত আলীর নেতৃত্বাধীন পরিচালনা পর্ষদ। ব্যাংকটিতে যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে এমডি ব্যর্থ হয়েছেন।

ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ধারা অনুযায়ী ৬ ডিসেম্বর গভর্নর ফজলে কবির এনআরবিসি ব্যাংকের এমডি দেওয়ান মুজিবর রহমানকে অপসারণ করেন। পরের দিন উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করে আদালতের নির্দেশে স্বপদে ফেরেন তিনি। তবে ব্যাংকটির পর্ষদ তাঁকে ছুটিতে পাঠিয়েছে।

প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান ফরাছত আলী পদত্যাগ করলে নতুন দায়িত্ব পান তমাল এস এম পারভেজ। সভায় পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে তৌফিক রহমান চৌধুরী পদত্যাগ করলে ওই পদে নির্বাচিত হয়েছেন কুয়েত প্রবাসী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শহীদ ইসলাম (পাপুল)।

নির্বাহী কমিটির (ইসি) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আবু বকর চৌধুরী। ওই পদে ছিলেন মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম। নুরুন নবী অডিট কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করায় সেখানে নির্বাচিত হয়েছেন রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু।

এছাড়া রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন আদনান ইমাম। ওই পদে ছিলেন সৈয়দ মুন্সেফ আলী। এমডি দেওয়ান মুজিবর রহমানকে তিন মাসের ছুটিতে পাঠানো হয়। এ পদে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিএমডি কাজী মো. তালহাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
এসই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।