ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদ বাতিল, নতুন দায়িত্বে আব্দুল আউয়াল মিন্টু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২৪
ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদ বাতিল, নতুন দায়িত্বে আব্দুল আউয়াল মিন্টু

ঢাকা: সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে আবারও পর্ষদে নিয়ন্ত্রণ বিলোপ হলো বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংকের। খর্ব হলো এস আলমের স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের নিয়ন্ত্রণ।

ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। পুরাতন সব পরিচালকের পরিবর্তে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়োগ দিলো নতুন সাত পরিচালককে। এবার ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হচ্ছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতিআব্দুল আউয়াল মিন্টু।

সোমবার (২০ আগস্ট)  বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সম্পর্কিত এক আদেশ জারি করা হয়।

আদেশে বলা হয়, ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদের নীতি নির্ধারণী দুর্বলতার কারণে আর্থিক অবনতি, ব্যাংকিং সুশাসন ও শৃঙ্খলা বিঘ্ন করার মাধ্যমে ব্যাংক-কোম্পানি এবং আমানতকারীর স্বার্থের পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে পর্ষদ সম্পৃক্ত থাকায় ব্যাংক-কোম্পানি আইন অনুযায়ী পর্ষদ বাতিল করা হলো। পাশাপাশি নতুন সাত পরিচালককে নিয়োগ দেওয়া হলো।

নিয়োগ প্রাপ্ত সাত কর্মকর্তা হলেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার আব্দুল আউয়াল মিন্টু, মোয়াজ্জেম হোসেন ও জাকারিয়া তাহের। এর বাইরে অন্য চার স্বতন্ত্র পরিচালক হলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. জুলকার নায়েন, সীমান্ত ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মুখলেসুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর অধ্যাপক ড. মেলিতা মেহজাবিন ও চার্টার্ড অ্যাকাউট্যান্ট মো. আব্দুর সাত্তার সরকার।

ন্যাশনাল ব্যাংকের দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যান ছিলেন জয়নুল হক সিকদার। তিনি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মারা যাওয়ার পর কর্তৃত্ব নিয়ে সিকদার পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। প্রয়াত জয়নুল হক সিকদারের মেয়ে পারভীন হক সিকদার ছিলেন একদিকে, অন্যদিকে ছিলেন তার দুই ভাই রিক হক সিকদার ও রন হক সিকদার।  

পক্ষপাতদুষ্ট ভার্চ্যুয়াল এজিএমের মাধ্যমে পর্ষদ থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে– এমন আশঙ্কায় পারভীন হক সিকদারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর নির্ধারিত বার্ষিক এজিএমের ওপর স্থিতাবস্থা দেন আদালত। এরপর ব্যাংকটিতে চলতে থাকে পাল্টাপাল্টি মামলা।

নানা জটিলতা শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেন ব্যাংকটিতে নিয়োগ পাওয়া আরেক চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ ফরহাত আনোয়ার। পরে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে খলিলুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন পরিচালক নিয়োগ দেয়। এরপর ব্যাংকটি চলে যায় এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে।  

ড. ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে ব্যাংকটির পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করল বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমে শিকদার পরিবার এবং সর্বশেষ এস আলম গ্রুপের পর দায়িত্বে এলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২৪
জেডএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।