শেয়ারবাজার একটি দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি। শুধু অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি নয় বরং বেকার সমস্যা সমাধানের এক মহান হাতিয়ার।
আর এর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে প্রায় দুই কোটি মানুষ। দীর্ঘ প্রায় এগার মাস ধরে একের পর এক পতন ঘটছে, তা ধরে রাখার জন্য যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা এ বাজারের জন্য যথেষ্ট নয়।
প্রথম কথা হল সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট রয়েছে। এ সংকট দূর করতে হলে স্থায়ী কার্যকারী পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকদের কাছ থেকে স্পষ্ট বাস্তবমুখী ঘোষণা আসতে হবে। গত কয়েকদিন ধরে শেয়ার বাজারে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা গোটা জাতিকে ভাবিয়ে তুলছে। কোনও উপায় না পেয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আজ রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন। বিগত সময়ের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি রিপোর্টে ইব্রাহিম খালেদ সাহেব যাদের নাম উল্লেখ করেছিলেন তাদের বিচারের আওতায় না এনে উল্টো তাদের শেয়ারবাজারের পলিসিমেকার হিসাবে ক্ষমতা দিয়ে মসনদে বসানো হয়েছে। রক্ষক যখন ভক্ষক হয় তখন যা হবার তাই হবে। আজ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যানার কিংবা কোনো প্রভাবশালীর দাপটে নয়, নিজেদের দাবি নিজেরাই আদায়ের চেষ্টা করছেন। না-খেয়ে, না-ঘুমিয়ে, রাস্তায় প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে দাবিদাওয়ার কথা তুলে ধরছেন সরকারের কাছে। তাদের দাবি, কোনো মন্ত্রী বা ব্যবসায়ীদের কাছে নয়, শেয়ারবাজারে সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপের কামনায় তারা আন্দোলন করে যাচ্ছেন।
বিনিয়োগকারীরা কয়েকদিন ধরে বলে আসছেন, প্রধানমন্ত্রী মা হয়ে যেন বিনিয়োগকারীদের পাশে এসে দাঁড়ান। কিন্তূ তিনি তা করেননি এমনকি লন্ডনে এক বিবৃতিতে বলেছেন, শেয়ারবাজার নিয়ে তার কোনও মাথাব্যথা নেই। এর থেকে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কি বুঝতে পারলন? তারা কার কাছে যাবেন,কি করবেন, কোন পথে এগোবেন-- এসব প্রশ্নের উত্তর দেবে কে?
কথা হয় একজন সাধারণ বিনিয়োগকারীর সঙ্গে। নাম মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি গত বছর ডিসেম্বর ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার ক্রয় করেছিলেন এখন মাত্র ১৪ লাখ টাকার শেয়ার রয়েছে তার কাছে। শেয়ার ব্যবসা-ই তার জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। তিনি আমাকে বলেন, ‘স্বপ্ন ছিল সৎভাবে ব্যবসা করে টাকা আয় করে বাবা-মায়ের, ছেলে-মেয়েদের মুখে হাসি ফোটাবো। তাই, কিছু টাকা পরিবারের কাছ থেকে, আর কিছু বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ধার করে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছি। কিন্তু, আজ আমার আর কিছুই নেই। পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন কারো কাছেই আর মুখ দেখানোর উপায় নেই। ’
তিনি আরও জানান, সব মিলিয়ে মোট ৪৭ লাখ টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে আরও ১৫ লাখ টাকা লোন নিয়েছেন মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে। তার কাছে যে পরিমাণ শেয়ার আছে তা বিক্রয় করে লোন পরিশোধ করলে তার কাছে কিছুই থাকবে না । কথাগুলো বলতে বলতে তিনি আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, ‘সব শেষ হয়ে গেছে একুল-ওকুল দুই কুলই হারালাম। ’
এদিকে, ফোর্সড সেলের মুখে পড়ে প্রতিদিনই নতুন করে নিঃস্ব হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। কখনো তারা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। এমনই একজন বিনিয়োগকারী রোকসানা পারভীন। পুঁজিবাজারে আছেন দীর্ঘদিন হলো। স্বামীর সারা জীবনের সঞ্চয় আর বাবার জমি বিক্রি করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছিলেন। সব মিলিয়ে নিজের মূলধন ছিল ৫০ লাখ টাকা। মূলধন বাড়াতে ব্রোকারেজ হাউজ থেকে ঋণ নিয়েছিলেন ৪২ লাখ টাকা। ভালোই চলছিল পুঁজি ব্যবসা। কিন্তু পুঁজিবাজার বিপর্যয়ে আজ মূলধন হারিয়ে সর্বস্বান্তের কাতারে নাম লেখাতে হয়েছে তাকে। আর এর জন্য দায়ী ফোর্সড সেল। কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন বারবার। চোখ থেকে কয়েক ফোঁটা অশ্রু ঝরে পড়েছিল হাতে থাকা পোর্টফোলিওটার ওপর। তার কান্না দেখে গণমাধ্যমকর্মীরাও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
‘গত ১০ মাসে শুধু মার্জিন ঋণের সুদ বাবদ জিএমএফ সিকিউরিটিজ আমার কাছ থেকে আয় করেছে পাঁচ লাখ টাকার বেশি। কিন্তু বাজার বিপর্যয়ে আমি যখন বিপদগ্রস্ত, তখন আমার পাশে দাঁড়াল না তারা। ঋণ আদায়ের জন্য তারা আমার ৯২ লাখ টাকার শেয়ার ফোর্সড সেল করে দিল। আমার নিজের পুঁজি ৫০ লাখ টাকা তো গেছেই, উল্টো ব্রোকারেজ হাউজের পাওনা রয়েছে ৩৮ হাজার টাকা। ’ বলছিলেন রোকসানা।
তিনি জানান, ৯২ লাখ টাকার পোর্টফোলিওতে থাকা শেয়ারের মূল্য প্রান্তিক ঋণের চেয়ে মাত্র ৩৮ হাজার টাকা নিচে নেমে যাওয়ায় তার সব শেয়ার ফোর্সড সেল করে দিয়েছে জিএমএফ সিকিউরিটিজ। সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজের এই অমানবিক পদক্ষেপের প্রতিকার চেয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।
শুধু রোকসানাই নন, তার মতো এমন অনেক বিনিয়োগকারী আছেন, যারা ফোর্সড সেলের মুখে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছেন। আবার অনেকেই মার্জিন ঋণের বোঝা নিয়ে ভুগছেন আতঙ্কে। কখন মূলধন প্রান্তসীমার নিচে চলে যায়। আর ঋণের টাকা শোধ করতে গিয়ে হারাতে হয় নিজের সর্বস্ব। এভাবে প্রায় ২০ জন বিনিয়োগকারীর সঙ্গে আমার একান্ত কথা হয়েছে। তাদের করুণ কাহিনি শুনে আমি নিজেও আবেগ ধরে রাখতে পারিনি।
তাদের একজন বললেন, ‘বাবা চাকরি করে সারাজীবন যা আয় করছেন সে টাকা এনে বিনিয়োগ করেছি শেয়ার বাজারে। আজ বাবা হাসপাতালে ভর্তি , ওষুধ কেনার টাকাটাও দিতে পারিনি। ’ রাস্তায় জীবন দেবেন তাও দাবি আদায় ছাড়া বাসায় ফিরবেন না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন (বিনিয়োগকারীদের) ‘আপনারা আসুন বিনিয়োগ করুন। ’ মানুষকে ঘর থেকে ডেকে এনে ফকির বানানো হয়েছে। স্বাধীনতাযুদ্ধে যদি ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়ে থাকে তাহলে শেয়ারবাজারে এসে ফকির হয়েছে দুই কোটি মানুষ। কে-ইবা ভাবত এমন হবে যে মানুষকে তার জীবনের শেষ সম্বলটুকুও এভাবে হারাতে হবে। এক কথায় দুই কোটি মানুষের কাছে ‘শেয়ারবাজার মরণ ফাঁদ’।
এখন বেশির ভাগ বিনিয়োগকারীর দাবি, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এসইসির চেয়ারম্যান এবং অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের পদত্যাগ। বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা সর্বস্ব হারাচ্ছি। কিন্তু, কেউ আমাদের সান্ত্বনা পর্যন্ত দিল না। উল্টো ধিক্কার দিয়ে বলছেন, এ মার্কেটে না বুঝে এবং অশিক্ষিত লোকেরা নাকি ব্যবসা করতে আসে। আমাদের নাকি চাওয়ার শেষ নেই। শেয়ার মার্কেট নাকি আমাদের অনেক দিয়েছে। সত্যি বলতে কি শেয়ার মার্কেট দিলে দিয়েছে সালমান এফ রহমান, লোটাস কামালকে। ’
তাছাড়া অর্থমন্ত্রী বিনিয়োগকারীকে ফটকাবাজ, রাবিশ ও লুটেরা ইত্যাদি বলার কারণে বিনিয়োগকারীদের সম্মানবোধে আঘাত লাগে। তাই অনেক বিনিয়োগকারীর মন্তব্য করেন, এ কথার জন্য তাকে বিনিয়োগকারীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা আনতে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা তাদের আন্দোলনকে অরাজনৈতিক রাখতে চাইলেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের উপস্থিতি পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দিচ্ছে। দিনের শুরুতেই বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, জাতীয় পার্টি, জাসদ ও বিএনপির নেতাদের আগমনে উত্তাল হয়ে ওঠে বিক্ষোভকারীদের অনশন কর্মসূচি।
যদিও রাজনীতিবিদদের উপস্থিতি বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরানোর আন্দোলনে সংহতির বেশি কিছু নয় বলে দাবি বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের নেতাদের। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপকেই শেষ ভরসা মানছেন তারা। তার মুখ থেকে চূড়ান্ত কোনো আশ্বাস না পেলে এই অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণায় অটল থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। অব্যাহত দরপতনের প্রতিবাদে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবেই সেদিন আমরণ অনশন শুরু করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। লেনদেন শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ডিএসই ভবনের সামনে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ অনশন শুরু হয়। মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে বিভিন্ন স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড উঁচিয়ে শুরু হয় তাদের কর্মসূচি। একজন মানুষ কোন পর্যায়ে আসলে মাথায় কাফনের কাপড় পরে?
আজ সুশীল সমাজ, মানবধিকার কর্মী এবং সর্বোপরি সরকারের কাছে আমার প্রশ্ন কি হচ্ছে শেয়ার বাজার নিয়ে? পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। রাজনৈতিক দলের নেতারা একের পর এক এসে আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতি সংহতি জানান। গভীর রাত পর্যন্ত অব্যাহত ছিল এ ধারা। রাজনৈতিক নেতাদের হঠাৎ উপস্থিতিতে চাঙা হয়ে ওঠেন বিক্ষুব্ধ ক্ষুদ্র লগ্নিকারীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনে সংহতি জানাতে প্রথমেই আসেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা সাজ্জাদ জহির চন্দন। এ সময় তিনি অর্থমন্ত্রী ও গভর্নরের পদত্যাগ দাবি এবং প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এরপর একাত্মতা প্রকাশ করতে আসেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
সাবেক রাষ্ট্রপতি দাবি করেন, যারা কারসাজির সঙ্গে জড়িত, তাদের সবাইকে আমরা চিনি। তাদের খোঁজার জন্য দূরে কোথাও যেতে হবে না। প্রধানমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এরশাদ বলেন, `তারা আপনার আশপাশেই রয়েছে। তাদের শাস্তি দিন। `
সংক্ষিপ্ত উপস্থিতির এই বক্তব্যে এরশাদ যোগ করেন, `পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে যেসব বিনিয়োগকারী নিঃস্ব, এখনো সময় আছে পাশে দাঁড়ান। আপনি তাদের ‘মা’। মায়ের ভূমিকা নিয়ে আপনি তাদের জন্য কিছু করুন। আপনি সরাসরি পুঁজিবাজারে হস্তক্ষেপ করুন। আমরা বিশ্বাস করি, আপনি এগিয়ে আসবেন। ` তিনি বলেন, `পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে কেউ আত্মহত্যা করবে এটা কাম্য নয়। এ পর্যন্ত প্রায় আধা ডজন নিয়োগকারী আত্মহত্যা করেছেন। `
আর একজনও যেন আত্মহত্যা না করে, এ জন্য তিনি নিজে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দেন। বিনিয়োগকারীদের অনশন থেকে সরে আসতে আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানও বিনিয়োগকারীদের দাবির সঙ্গে দলের একাত্মতার জানান। তিনি বলেন, যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে, তখন শেয়ারবাজারসহ দেশের অর্থনীতিকে বিপদগ্রস্ত করে। আমরা ক্ষমতায় গেলে সর্বপ্রথম শেয়ারবাজার চাঙা করব। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। পুলিশি নির্যাতনেরও বিচার হবে বলে জানান তিনি। এরপর একে একে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ (রব) নেতা আবদুল মালেক রতন, জাসদ নেতা আ স ম আব্দুর রব, বিএনপির ঢাকা মহানগরীর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সালামও সেখানে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
এ অবস্থায় পুঁজিবাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রধানমন্ত্রী সাধারণ বিনিয়োগকারীদের দুর্দশার কথা ভেবে এগিয়ে আসবেন। একইসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের আহ্বানে প্রধানমন্ত্রী সাড়া না দেওয়ায় তিনি এর নিন্দা জানান। আজ গোটা দেশের মানুষ এক ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে। একটি স্বাধীন এবং গণতান্ত্রিক দেশে মানুষ মোটামুটি শান্তিতে থাকবে এটাই সাধারণ মানুষের আশা। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি, তিনি যেন এ শেয়ারবাজারকে তার হাতে নিয়ন্ত্রণ করেন এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নিশ্চিত মারা যাওয়ার হাত থেকে বাঁচান।
লেখক: সিনিয়র অফিসার, প্রিমিয়ার ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ওআর নিজাম রোড শাখা, চট্টগ্রাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১১