ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

‘রোহিঙ্গাদের ত্রাণের নামে রাজনীতি করতে গেছে বিএনপি’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৭
‘রোহিঙ্গাদের ত্রাণের নামে রাজনীতি করতে গেছে বিএনপি’

ঢাকা: বিএনপি নিয়ম মেনে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিতে যায়নি। তারা সেখানে রাজনীতি করতে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির বৈঠকে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রোহিঙ্গাদের জন্য বিএনপির ত্রাণ কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তো ত্রাণ দিতে যায় না, তারা যায় কয়েকটা নিউজ আর ছবির জন্য।

এরপর দলীয় কার্যালয়ে এসে সংবাদ সম্মেলন করে।

‘কতগুলো ট্রাক সাজিয়েছে, ওখানে যাবে। এর ভিতরে কী আছে, না আছে! অনেক কথা আছে, সেগুলো বলতে চাই না। সেখানে আদৌ ত্রাণ ছিল কিনা, অনেক কিছু থাকলেও থাকতে পারে। এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। একটা রুলস অ্যান্ড রেগুলেশন (আইন-কানুন) আছে। নিয়ম আছে। আমি যে ত্রাণ দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী যে ত্রাণ দিয়েছেন। সব ত্রাণ সেখানে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি কমিটির কাছে দিতে হয়, সেই কমিটির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে পাঠাতে হয়। সেটাই সবাই করে আসছে। আমরা জাস্ট ওখানে দাঁড়িয়ে ত্রাণ বিতরণ করেছি। এটা হচ্ছে নিয়ম, কিন্তু বিএনপি নিয়ম মানতে চায় না। ’

বিএনপির ত্রাণ কার্যক্রমকে দায়সারা গোছের লোক দেখানো প্রতারণা বলে উল্লেখ করে কাদের বলেন, তারা যদি কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এগুলো জমা দিতো, তাহলে ওখানে পৌঁছে যেতো। এটা তো মানবিক সাহায্যের বিষয়, এখানে আমরা রাজনীতি করবো কেন? 

রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের জন্য বিরাট একটি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা একা এটা মোকাবেলা করবো, এটা তো আমরা কখনো ভাবিনি। আর বিএনপি ওখানে মানবিক সাহায্য নিয়ে গেলে, কেন আমরা বাধা দেবো? এই অমানবিক ব্যবহার আমরা কেন করবো? কিন্তু তারা তো এখানে রাজনীতির জন্য গেছে। তা না হলে তারা নিয়ম মানতো।  

‘আপনারা কি ভাবতে পেরেছেন? ওখানে কী ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। কতো লোক না খাওয়া। প্রতিনিয়ত লোক আসছে। এই ট্রাকগুলো সব লুটপাট হয়ে যেতো এবং যারা নিয়ে যেতো তারাই বিপদে পড়ে যেতো। সেখানে এমন পরিবেশ, সেই পরিবেশে ২০-২৫টি ট্রাক গেলে কী অবস্থা হতো?’

ওবায়দুল কাদের সবার উদ্দেশে হুঁশিয়ারি বলেন, রোহিঙ্গাদের সাহায্যের নামে চাঁদাবাজির মহোৎসব যেন না হয়। চাঁদাবাজি বা জোর-জবরদস্তি সহ্য করা হবে না। এটি তো মানবিক ব্যাপার, যারা স্বেচ্ছায় সাহায্য করবে, সেটিই কেবল আমরা গ্রহণ করবো। আমাদের ওপর এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আসলো রোহিঙ্গাদের নিয়ে। আমরা চ্যালেঞ্জগুলো ঠাণ্ডা মাথায় মোকাবেলা করছি।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট কতো দীর্ঘায়িত হবে, আমরা তা জানি না। তবে আশার কথা হচ্ছে জাতিসংঘ, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভারতসহ বিশ্বজনমত আমাদের পক্ষে, আশা করছি চীনকেও পাশে পাবো।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশীদ প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৭ 
এসকে/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আওয়ামী লীগ এর সর্বশেষ