ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

বিশ্বশান্তির যাত্রা অব্যাহত রাখতে তরুণদের প্রতি আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২
বিশ্বশান্তির যাত্রা অব্যাহত রাখতে তরুণদের প্রতি আহ্বান

ঢাকা: আমাদের নতুন প্রজন্মকেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত করতে হবে এবং আগামীর পথে বিশ্বশান্তির যাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনেরা।

রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: বিশ্বশান্তি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।

এতে এ আহ্বান জানান বক্তারা।

আয়োজনে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জিয়া রহমান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জালাল ফিরোজ এবং খান মাহবুব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্যামসুন্দর সিকদার।

প্রাবন্ধিক বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে সগৌরবে নিজের অবস্থান তৈরি করে চলেছে। এই পথ পাড়ি দিতে তাকে বহু বাধা পার করতে হয়েছে, সামনেও আরও অনেক দূর এগোতে হবে। একটি গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধ এবং শোষণমুক্ত সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যয় নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল যা প্রকৃতপক্ষে শান্তিমূলক বিশ্বসমাজ প্রতিষ্ঠারও প্রাণবিন্দু। ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, অন্যান্য বিশ্বনেতাদের সামনে বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বিশ্বশান্তির বাণী এভাবেই উচ্চারণ করেন, ‘মানবজাতির অস্তিত্ব বজায় রাখতে শান্তি ছাড়া পথ নেই। এটি হচ্ছে পৃথিবীব্যাপী মানব-মানবীর গভীরতম আকাঙ্ক্ষা। ’

আলোচকবৃন্দ বলেন, পূর্ববঙ্গের স্বাধিকার আন্দোলন থেকে ১৯৭১-এ স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠন পর্যন্ত সকল সংগ্রামেই প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে মুক্তি ও শান্তির আকাঙ্ক্ষা। অভ্যন্তরীণ ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারই বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনের চালিকাশক্তি ছিল। তাই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সঙ্কটে বাংলাদেশ সবসময় শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তবে আঞ্চলিক শান্তি ও বৈশ্বিক শান্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে হলে সমতাভিত্তিক, বৈষম্যহীন কল্যাণ-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।

সভাপতির বক্তব্যে শ্যামসুন্দর সিকদার বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তার আদর্শকে অনুসরণ করে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব কল্যাণকামী দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। আমাদের নতুন প্রজন্মকেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত করতে হবে এবং আগামীর পথে বিশ্বশান্তির যাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি জাহিদ হায়দার এবং কবি ইকবাল আজিজ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী মীর বরকত, অলোক কুমার বসু, ফয়জুল্লাহ সাঈদ এবং আবৃত্তি সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ’-এর বাচিকশিল্পীবৃন্দ।

রোববার ‘লেখক বলছি’ অনুষ্ঠানে নিজেদের বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি আসলাম সানী।

এদিকে অমর একুশে বইমেলা ২০২২ উপলক্ষে রোববার বিকেল ৩টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নির্মিত ভাষাশহিদ মুক্তমঞ্চের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। বক্তব্য প্রদান করেন অমর একুশে বইমেলা ২০২২-এর সদস্য-সচিব ড. জালাল আহমেদ। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি আসলাম সানী, হাসানাত লোকমান এবং শাহাদাৎ হোসেন নিপু।  

আগামীকাল ২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আগামীকাল অমর একুশে বইমেলার সপ্তম দিন। মেলা চলবে সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২
এইচএমএস/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।