ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

বাতিঘরের মাসব্যাপী একুশে বই উৎসব শুরু

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২১
বাতিঘরের মাসব্যাপী একুশে বই উৎসব শুরু ছবি: বাদল

ঢাকা: করোনা মহামারির কারণে সবার কাঙ্ক্ষিত অমর একুশে বইমেলা এবার শুরু হচ্ছে মার্চে। তাই বলে কি বই নিয়ে আয়োজন থেমে থাকবে! থাকছেও না।

প্রকাশকরা নিজেদের মতো করেই আয়োজন করছেন বইমেলা। স্বনামধন্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বাতিঘর তাদের সবক’টি বিক্রয় কেন্দ্রে শুরু করেছে মাসব্যাপী বই উৎসব।

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বাতিঘরে এ বই উৎসব উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর এবং কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাতিঘরের সত্ত্বাধিকারী দীপঙ্কর দাশ।

উদ্বোধন শেষে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ফেব্রুয়ারি মাস এলে বইমেলা তো বটেই, আমার ছেলেবেলার স্মৃতিও মনে পড়ে। যত বড় হয়েছি, একুশ তত নতুন নতুন রূপ নিয়ে সামনে এসেছে। বই শুধু পড়া নয়, বই কেনাটাও গুরুত্বপূর্ণ। কেননা প্রকাশনার একটি বড় অর্থনৈতিক দিক রয়েছে। ভালো বই প্রকাশ হওয়াটা খুব জরুরি।

তিনি বলেন, করোনার মধ্যেও আমরা এবার অমর একুশে বইমেলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বইয়ের মেলা বা বইয়ের উৎসব হলে সেখানে তরুণ প্রজন্ম আসছে, বই নাড়াচাড়া করছে, এটাও বড় দিক। এই অভ্যাস গড়ে তোলাটাই সবচেয়ে জরুরি। অভিভাবকদেরও সেই আহ্বান জানাবো।

আনিসুল হক বলেন, ফেব্রুয়ারির এই দিনে আমরা বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দীতে বইমেলা দেখি, সেখানে আড্ডা জমাই। তবে এবার ব্যতিক্রম ঘটেছে। মহামারির কারণে বইমেলা ফেব্রুয়ারির প্রথমে শুরু হয়নি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগামী ১৮ মার্চ হবে বইমেলা। তাই বলে কি ফেব্রুয়ারিতে বইয়ের উৎসব হবে না, আড্ডা বসবে না? এমন পরিস্থিতিতে বাতিঘরের একুশে বই উৎসব একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

তিনি বলেন, এই উৎসবের মাধ্যমে আমরা ফেব্রুয়ারির বইমেলা কিছুটা হলেও উপলব্ধি করতে পারি। ফেব্রুয়ারি আমাদের ভাষার সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই ভাষাকে বাঁচিয়ে রেখেছে বাংলার কৃষক-শ্রমিক, সাধারণ মানুষ। তারাসহ বাংলার অসংখ্য তরুণ বাংলা ভাষাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে, এই প্রত্যাশা করি।

‘বাতিঘর একুশে বই উৎসব’ একযোগে বাতিঘরের চারটি শাখা ঢাকা, বাংলাবাজার, চট্টগ্রাম ও সিলেটে শুরু হচ্ছে। এই উৎসবে ছুটির দিনসহ প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ ছাড়ে দেশের বিভিন্ন প্রকাশনার বই বিক্রি করা হবে। উৎসব চলবে পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।