ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

‘মেলাজুড়ে থাকবেন বঙ্গবন্ধু’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
‘মেলাজুড়ে থাকবেন বঙ্গবন্ধু’ ২০২০ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলার সংবাদ সম্মেলন। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেছেন, এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলাজুড়ে উদ্ভাসিত হবেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমাদের চেতনা, স্বপ্ন ও আগামী দিনের কার্যক্রম প্রতিভাত করতে এবারের মেলা উৎসর্গ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ২০২০ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, এবারের মেলায় বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত ২৫টি গ্রন্থ নিয়ে মাসজুড়ে আলোচনা করা হবে।

সে সঙ্গে ২ ফেব্রুয়ারি মেলার উদ্বোধনী দিনে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর তৃতীয় গ্রন্থ ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবেন। যার প্রকাশক বাংলা একাডেমি।

তিনি বলেন, ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিন বছরের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলা একাডেমি। যার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তী রয়েছে। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ওপর নানা বিষয়ে একশ’ গ্রন্থ প্রকাশ করবে বাংলা একাডেমি।

মেলার সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, গত বছর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন এক হাজার পুলিশ সদস্য। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দেড় হাজারে। সে সঙ্গে আনসার সদস্যের সংখ্যাও বেড়েছে। সংবাদ সম্মেলনে মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. জালাল আহমেদ বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে এবারের মেলা ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে। আর শেষ হবে ২৯ ফেব্রুয়ারি। একদিন পিছিয়ে শুরু হলেও মেলার সময়সীমা বাড়ানোর কোন সুযোগ নেই। কারণ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের আয়োজনের কারণে সোহরওয়ার্দী উদ্যান ৩ তারিখে ছেড়ে দিতে হবে।

এর আগে লিখিত বক্তব্যে মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক জালাল আহমেদ বলেন, এবারের মেলায় সৃজনশীল প্রকাশনা সংস্থাগুলো থাকবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে। যেখানে ৪৩৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৬৯৮টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি অংশে ১২৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৯টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ৫৬০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৭৩টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বাংলা একাডেমিসহ ৩৩টি প্রকাশনা সংস্থাকে ৩৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এবারই প্রথম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লিটল ম্যাগ চত্বর রয়েছে। সে একই স্থানে শিশু চত্বর তৈরি করা হয়েছে। মেলা চলাকালীন শিশু প্রহর ঘোষণা হবে। সে সঙ্গে এবারের মেলায় বাংলা একাডেমিসহ অংশগ্রহণকারী সব প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে।

তিনি আরও বলেন, এবারের মেলায় প্রবেশের জন্য বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তিনটি পথ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য ছয়টি পথ থাকবে। সে সঙ্গে থাকছে লেখক বলছি, গ্রন্থ উন্মোচনের আয়োজন।

করোনা ভাইরাস প্রসঙ্গে জালাল আহমেদ বলেন, করোনা ভাইরাসের বিষয়ে এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। আমাদের বৈঠকগুলোতে এ বিষয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা হয়েছে। আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন। এর জন্য ঢাকার সিভিল সার্জনের কার্যালয় আমাদের সাহায্য করবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মেলার পৃষ্ঠপোষক বিকাশ লিমিটেডের সিএমও মীর নওবত আলী ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ক্রসওয়ার্ক কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মারুফ। সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা পিয়াজ মজিদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
ডিএন/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।