ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

নদীটার নাম জানা নেই রাহিকের!

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
নদীটার নাম জানা নেই রাহিকের! শিশু রাহিক ও সম্প্রিতি। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সুন্দর একটা গ্রামের ছবি এঁকেছে সানিডেইল স্কুলের কেজি টু এর শিক্ষার্থী সম্প্রিতি। সে ছবিতে আছে বড় একটা খেলার মাঠ, একটা বড় গাছের নিচে ঘর আর অনকেগুলো ফুলের গাছ। কিন্তু সেই ফুলগুলোর নাম জানে না সে। তবে সেগুলো সম্প্রিতি দেখেছে তার বাসার ছাদে।

প্রায় একই রকমের ঝামেলায় পড়েছে অন্য আঁকিয়ে রাহিক। সেও প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

রাহিক এঁকেছে একটা নদীর মতো বড় পুকুর। না, পুকুর না, নদীই। তবে সে নদীর নাম জানা নেই রাহিকের। কিন্তু নদীতে তার একটা নৌকা আছে আর আছে নদীর পাড়ে ছোট্ট ঘর।

তবে এসব ঝামেলার কোনটিতেই নেই সপ্তপদী তরফদার। গ্রিন হেরাল্ড স্কুলের কেজি ওয়ানের শিক্ষার্থী এই ছোট্ট সোনামণিটা এঁকেছে বাড়িসহ একটা মস্তবড় খেলার মাঠ আর সুবিশাল আকাশ। আছে গাছপালাও। তবে তার ছবিতে কিন্তু একটু অন্যরকম ধাঁচও আছে, মানে একটা শিল্পের খেলা। সেই খেলাটা সে খেলেছে তার ছবির চাঁদ আর সূর্যের মাঝে।

মস্তবড় আকাশে চাঁদ বা সূর্য মামাটা এমন করে আঁকা, তাতে একই সঙ্গে যেমন মিলবে চাঁদের কোমলতা, মিলবে সূর্যের উঞ্চতাও। সপ্তপদীর ভাষায়, ‘এটা তো রাতও, আবার দিনও। তুমি যেটা ভাবো। ’

সপ্তপদী তরফদার ও তার আাঁকা ছবি।  ছবি: বাংলানিউজ

শুধু সম্প্রিতি, রাহিক বা সপ্তপদী নয়, তাদের মতো প্রায় ১০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো এক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। আর সে প্রতিযোগিতায় সবাই এঁকেছে বিভিন্ন গ্রাম, পতাকা, ফুল, পাখি, নদী, প্রকৃতি, খেলার মাঠ, বাড়িসহ বিভিন্ন মনোরম দৃশ্য।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় রাজধানীর রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের উদ্যোগে সেন্টারের মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজন করা হয় এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সেমিনারের। এতে বিভিন্ন স্কুলের এবং রুশ সংস্কৃতি কেন্দ্রের অঙ্গ সংগঠন সেরোভ একাডেমি অব ফাইন আর্টসের প্রায় ১০০ জন প্রতিযোগি অংশ নেয়।

চিত্রাঙ্কন শেষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের ঢাকা শাখার পরিচালক ম্যাক্সিম দোবরোখোতভ এবং মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. আবুল আজাদ। আয়োজন পরিচালনা করেন ঢাকাস্থ রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিভাগের প্রধান প্রশান্ত কুমার বর্মন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
এইচএমএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।