ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

মেরাজ ফকিরের মা’র ২০০তম প্রদর্শনী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৯
মেরাজ ফকিরের মা’র ২০০তম প্রদর্শনী

ঢাকা: প্রয়াত নাট্যকার আব্দুল্লাহ আল-মামুনের ৭৭তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এবং মহান এ নাট্যকারের জন্মদিনকে আরও স্মরণীয় করতে তার রচিত ও নির্দেশিত বিখ্যাত নাটক ‘মেরাজ ফকিরের মা’র নাটকের ২০০তম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় এ প্রদশর্নীর আয়োজন করা হয়।

আবদুল্লাহ আল-মামুনের জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল ৫টা এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ‘মেরাজ ফকিরের মা’র ১৯৮ এবং ১৯৯তম প্রদর্শনী হয়।


 
আবদুল্লাহ আল-মামুনের ‘মেরাজ ফকিরের মা’ ১৯৯৫ সালে প্রথম মঞ্চস্থ হয়, শনিবার সন্ধ্যায় ২৪ বছর পর নাটকটির ২০০তম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।  

এ নাটকের ২০০টি প্রদর্শনীতেই টানা অভিনয় করেছেন কিংবদন্তী অভিনেত্রী ফেরদৌসি মজুমদার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার এবং মারুফ কবির। যার ফলে ২০০তম প্রদর্শনী শেষে এ তিনজনকে সন্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।

এরআগে বিকেল সাড়ে ৪টায় সেমিনার হলে রামেন্দু মজুমদারের সভাপতিত্বে ‘বর্তমান প্রেক্ষিতে নাট্য প্রযোজনা ও অভিনয়’ শীর্ষক আব্দুল্লাহ আল-মামুন স্মারক বক্তৃতা করেন আরেক বিখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ।

আব্দুল্লাহ আল-মামুন স্মারক বক্তৃতায় মামুনুর রশীদ বলেন, একসময় মঞ্চ নাটকের ডিরেক্টারকেই জুতা সেলাই থেকে সব কাজ করতে হতো। তবে এখন পরিস্থিতি অনেকটা বদলেছে। এখন সেট ডিজাইনার আছে, লাইট ডিজাইনার এমনকি প্রপস ডিজাইনারও থাকে নাটকে। তবে বর্তমান নাটক থেকে মানবিকতা হারিয়ে গেছে। যে নাটক দেখে মানুষ হল থেকে বেরিয়ে কাঁদবে কিংবা কোনো অনুপ্রেরণা নিয়ে বের হবে, তেমন নাটক আর দেখা যায় না এখন।  

‘জাগো হুয়া সাবেরা’  ছবির প্রশংসা করে তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে আমরা নাটকের সেট নিয়ে আলোচনা করি, দৃশ্য নিয়ে আলোচনা করি, কিন্তু অভিনয় কেমন হল সেই বিষয়ে আলোচনা করি না। অভিনয় নিয়ে আমরা তেমন কিছু ভাবি না। অভিনেতারা ভাবেন অভিনয় করার বিষয়ে ভাববে পরিচালক। যার ফলে আমাদের মঞ্চ নাটক, টেলিভিশন নাটক এবং চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মান দিন দিন কমে যাচ্ছে। এ থেকে আমাদের বেড়িয়ে না আসতে হবে। অভিনয়ের দিকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।  

১৯৪২ সালের ১৩ জুলাই জামালপুরের আমড়াপাগায় জন্মগ্রহণ করেন আবদুল্লাহ আল-মামুনের। তার বাবা অধ্যক্ষ আব্দুল কুদ্দুস এবং মাতা ফাতেমা খাতুন। তিনি ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিষয়ে এম এ পাস করেন। আব্দুল্লাহ আল–মামুন তার পেশাগত জীবন শুরু করেন বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রযোজক হিসেবে। পরবর্তীকালে পরিচালক, ফিল্ম ও ভিডিও ইউনিট (১৯৬৬-১৯৯১), মহাপরিচালক, শিল্পকলা একাডেমি (২০০১) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

অসংখ্য নাটক রচনায় যেমন নিজের প্রতিভা আর শক্তির পরিচয় দিয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন, তেমনি নিজের অপরিমেয় ক্ষমতার প্রমাণ রেখেছেন তার নির্দেশনায় ও অভিনয়েও৷ তার রচিত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘সুবচন নির্বাসনে’, ‘এখন দুঃসময়’, ‘সেনাপতি’, ‘এখনো ক্রীতদাস’, ‘কোকিলারা’, ‘দ্যাশের মানুষ’, ‘মেহেরজান আরেকবার’ ও ‘মেরাজ ফকিরের মা’ ইত্যাদি।

বাংলাদেশ সময়: ০২৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৯
আরকেআর/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।