ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

অনেকেই বলতো কখনো স্টার হতে পারবো না: মনীষা কৈরালা

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৮
অনেকেই বলতো কখনো স্টার হতে পারবো না: মনীষা কৈরালা 'ব্রেকিং বাদ' সেশনে কথা বলছেন মনীষা কৈরালা ও নন্দিতা দাস

ঢাকা: ডিরেক্টর হিসেবে একটি মেয়েকে কেউ কল্পনা করতে পারে না। সিনেমা জগতে শতকরা ২০ জনেরও কম নারী ক্যামেরার পেছনে কাজ করেন। আর এটা শুধু ডিরেক্টর নয়, অনেক বড় জায়গাতেও ব্যাপারটা একই রকম। আমাদের উচিত নিজেদের শক্ত হাতে বিষয়টি দমন করা।

শুক্রবার (৯ নভেম্বর) ঢাকা লিট ফেস্টের দ্বিতীয় দিনে বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে 'ব্রেকিং বাদ' সেশনে এমন কথা বলেন বলিউডের সাড়া জাগানো অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা।

এসময় মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিশিষ্ট নারী নির্মাতা নন্দিতা দাস।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা লিট ফেস্টের পরিচালক সাদাফ সায্‌।

মনীষা বলেন, আমাদের নারীদের শক্ত হতে শিখতে হবে। ৯০-এর দশকে দেখতাম একই ধরনের ছবি নির্মাণের প্রবণতা বেশি। আমি এর বাইরে কিছু করতে চাইতাম। আমাকে মানুষের কাছ থেকে সব সময় বিরূপ মন্তব্য শুনতে হতো। কে এই মেয়ে, কোথা থেকে এসেছে, এসব। অনেকেই বলতো আমি কখনো স্টার হতে পারবো না। তবে আমি যেটা অনুভব করেছিলাম সেটা হচ্ছে, আমাদের শিল্পীদের সব সময় অন্যের জীবন এক্সপ্লোর করতে হয়।

‘আমার অনুভব থেকেই আমি সব সময় নিজেকে সময় দিয়েছি। নিজের জন্য কাজ করেছি। ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে আমি সব সময় নিজেকে আবিষ্কার করতে চেষ্টা করেছি। আমি আমার ক্ষমতায় বিশ্বাসী। নিজের মতো করে কাজ করার মধ্যেও এক ধরনের দারুন সুখ আছে, আলাদা একটি প্রশান্তি কাজ করে। ’

এসময় মনীষা কথা বলেন তার বহুল আলোচিত এবং এখন পর্যন্ত অপ্রকাশিত বই 'হিল্ড' নিয়ে। তিনি বলেন, ক্যানসারের সঙ্গে আমার লাড়াই, আমি কি, আমার ভাবনা, আমার কাজ, ক্যারিয়ার, কোথায় আমার অবস্থান, এসব নিয়ে লেখা হয়েছে বইটি। আমার চ্যালেঞ্জ, মানুষের মন-মানসিকতা, অন্যের প্রেক্ষাপট নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসার চ্যালেঞ্জগুলোও পাওয়া যাবে এতে।

আয়োজনে কথা বলেন ভারতীয় নির্মাতা নন্দিতা দাসও। এসময় তিনি কথা বলেন নারীদের বর্ণ-বৈষম্য নিয়ে। তিনি বলেন, কালো হওয়া কখনও মেয়েদের জন্য আশীর্বাদ ছিল না এবং এখনও নেই। মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন সব সময় বলেন, বাইরে যেও না, ফেয়ারনেস ক্রিম ব্যবহার করো, তোমাকে ফর্সা হতে হবে। কিন্তু তাদের বোঝা উচিত, একজন মেয়ে কালো হয়ে জন্মেছে, এখানে তার কিছুই করার নেই।

নন্দিত এই অভিনেত্রী বলেন, ২০১৩ সালে আমার কাছে একটি এনজিও এসেছিল তাদের একটি ক্যাম্পেইনের প্রচারণার জন্য। তখন তারা আমার কাছ থেকে একটা মন্তব্য চেয়েছিল বর্ণ-বৈষম্য নিয়ে। 'ব্ল্যাক ইজ বিউটিফুল' কথাটি এমনভাবে ভাইরাল হবে, আমি ভাবতেও পারিনি।

এসময় দৃঢ়তার সঙ্গে নন্দিতা বলেন, আমার কথা হলো একজন মানুষ যে গায়ের রং নিয়ে জন্মাবে, সে কি করে তা বদলাবে? সেই ক্যাম্পেইনের পর থেকে দেখলাম অনেকেই সোচ্চার হয়েছেন। বিজ্ঞাপনের ভাষা টেকনিক্যালি বদলানো হয়েছে। বাংলাদেশেও কয়েকদিন আগে একটা ক্যাম্পেইন চলেছে বলে জানতে পেরেছি। এটা প্রশংসনীয়, আমি তাদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে বলবো, আসলেই সুন্দর মানে ফর্সা নয়।

জেমকন সাহিত্য পুরস্কার পেলেন প্রশান্ত মৃধা-হামিম-নাঈম

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৮
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।