ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

তিনটি কবিতা | ফারাহ্‌ সাঈদ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
তিনটি কবিতা | ফারাহ্‌ সাঈদ তিনটি কবিতা | ফারাহ্‌ সাঈদ

দাদিজান

সোয়েটারে দাদিজান আদর পাঠান

তার খানিক লাইলাক

আমার গায়ে লেগে থাকে

এভাবে জমাট বাঁধে মন

বরফের লেইভাতে আমি ঘরে ফিরি

এভাবেই রিপু করি বিভূঁই-সময়

মৃদু-মৃদু কোনো এক পায়েসদিনে

পেস্তাবাদাম পকেটে পুরে চলে যাই

শৈশব গড়িয়ে নেমে আসে রাবেয়া খাতুন

হঠাৎ কোনো শীতের নামে খাম পাঠালে

আমি তারে আলগোছে খুলে দেখি।

ভয় হয় কোনো একদিন

বিস্ময়কর এক পানের বাটা

আমাকে ছুঁয়ে চলে যাবে দূরে

সড়ক ছেড়ে দুটাকার খামে

পৃথিবীর শেষ কোনো সুপুরির ঘ্রাণ!

 

আর্তনাদ

সে ভাসে মন্তর, নিদ্রিত সাপের আধারে। নদী আমার দেহের যাতনা নেয় না তুলে।

সহস্র কান্নার সুরে এসে থেমে যায় বৈঠকি গান। ভগ্ন এ তাপে কোনো কোনো কাচের সকাল পাখিদের কুয়াশায় লীন। পরিবাহী কোনো উত্তাপ পালক সমেত যোগীদের পাশ ফিরে চলে যায় দূর। ভূমির চৌকাঠ—অনুভবে বেঁধে দেওয়া পাখিদের পা। কী এক সুরের খেয়ালে ভেসে আসে চিরকূট—মৌন প্রতিম। আঙুলের শূন্য চিতায় নিভে যায়, নিভে যায় সেতারের আর্তনাদ।

 

মনোজ

শুনে নাও খুরধ্বনি

ঘরমুখো মানুষের শূন্য দেয়াল।

ফারসি-রেহেলে তার নবাগত বোতামের ছাপ

আস্তাবলের কাছে একটি জলাধার

ঘুম ভেঙে অহেতুক

ঘুঘুদের ধারে কাছে খুটে খায় জল

নিপুণ ঘোড়ার পিঠে

নির্জলা পুকুরের খোঁজ

ঈষৎ সন্ধ্যায় যে করে সিদ্ধিলাভ

আজন্ম রাধা তার খুলে নেয় সকল সন্তাপ!

 

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।