ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

জীবনানন্দ: আনন্দ যাকে ভালোবাসেনি | আল আমিন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭
জীবনানন্দ: আনন্দ যাকে ভালোবাসেনি | আল আমিন জীবনানন্দ: আনন্দ যাকে ভালোবাসেনি | আল আমিন

জীবনে হতাশাই ছিলো যার জীবনের আনন্দ তিনি জীবনানন্দ দাশ (১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৯ - ২২ অক্টোবর, ১৯৫৪)। ত্রিশের দশকে আধুনিকতার ধ্বজাবাহী কল্লোলের যুগে যখন জীবনানন্দ কবিতা রচনা শুরু করেন ঠিক তখন থেকেই‘শনিবারের চিঠি’ পত্রিকায় তার কবিতার নেতিবাচক সমালোচনা শুরু হয়। তবুও কবি কিংবা তার কাব্যিকবোধ দমিত হয়নি। ২২ অক্টোবর কবির ৬৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি ক্ষণজন্মা এই মহাপুরুষকে।

‘ব্রহ্মবাদী’ পত্রিকায় কবির প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়। স্বাভাবিকভাবেই কবির জীবন চলছিল।

এম.এ. পড়া অবস্থায় কবি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার চূড়ান্ত পরীক্ষা খারাপ হয়। সেকেন্ড ক্লাস পেয়ে এম.এ. পাশ করে জীবনানন্দ ভেবেছিলেন পরবর্তীতে এই ফলাফল তাকে ভোগাবে; কিন্তু এর কোনো প্রভাব পড়েনি তার জীবনে; বরং জীবন তাকে ভুগিয়েছে অন্যভাবে। এরপর বছর পাঁচেক তিনি কোনো কবিতা রচনা করেননি। দীর্ঘ ছয় বছর পর দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের মৃত্যুতে ‘দেশবন্ধুর প্রয়াণে’ নামক কবিতা দিয়ে তিনি আবারও কাব্যভুবনে ফিরে আসেন; যদিও কবির মা কুসুমকুমারী দাশের মনঃপুত হয়নি কবিতাটি।
 
এর কিছুদিন পর কলকাতা নগরকে নিয়ে ‘নীলিমা’ নামে একটি কবিতা লিখলেন কবি। কবিতাটিতে কলকাতা নগরকে কারাগারের সঙ্গে তুলনা করেছেন। ভাষা ও মেজাজে কবিতাটি পূর্বের রচিত দু’টি কবিতার তুলনায় ছিলো একেবারেই ভিন্নধর্মী।
 
জীবনানন্দের কবিত্বের ঘোর বিরোধী ছিলেন সজনীকান্ত দাস ও নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। এছাড়াও অনেক সময় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেও কবিকে কটাক্ষ করে লিখেছেন। ইতোমধ্যে জীবনানন্দ দাশের বেশ কয়েকটি কবিতা লেখা হয়ে গেছে যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে প্রকাশিত। কবি ভাবছিলেন, সবগুলোকে একত্রিত করে বই আকারে প্রকাশ করবেন। কিন্তু, ‘নেহাতই অখ্যাত এক কবির কাব্য প্রকাশনার ভার কে নেবে?’-এ নিয়ে কবি দ্বিধায় ছিলেন। তবে কবির দ্বিধার তুলনায় তার আত্মপ্রত্যয় বেশি ছিলো বলে কারও দ্বারস্থ না হয়ে নিজের অর্থায়নেই প্রথম কাব্যগ্রন্থ (ঝরাপালক, ১৯২৭) প্রকাশ করেন।
 
বই প্রকাশের পর জীবনানন্দ অত্যন্ত সোৎসাহে সময়ের শ্রেষ্ঠ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে ডাকযোগে একটি বই পাঠালেন। কবিগুরু বই পড়ে উত্তর দিলেন। চিঠি পেয়ে জীবনানন্দ উচ্ছ্বসিত হলেও তার সেই উচ্ছ্বাস বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি কারণ কবিগুরু লিখেছিলেন, ‘‘তোমার কবিত্ববোধ আছে এতে সন্দেহ নাই। কিন্তু ভাষা প্রবৃত্তি নিয়ে এত জবরদস্তি কর কেন বুঝতে পারি নে। কাব্যের মুদ্রাদোষটা ওস্তাদীকে পরিহাসিত করে’।
 
কবির কবিত্ব আছে স্বীকার করেও- কবি ওস্তাদি করেছেন, তার মুদ্রাদোষ আছে ইত্যাদি কথা শুনে জীবনানন্দ যেখানে কবিগুরুর কাছে নিজ সম্পর্কে প্রশংসা প্রার্থনা করেছিলেন তার বদলে পরিহাসের পাত্র হয়ে গেলেন।
 
রবীন্দ্রনাথের পরিহাস উৎরে সামনে চলেছেন জীবনানন্দ। তিনি ধরে নিয়েছিলেন, ‘আমি অখ্যাত কবি বলে তো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের তিরস্কারকে শিরোধার্য করে রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই’।
 
তার প্রথম কাব্যের ব্যর্থতা কাটতে না কাটতেই সিটি কলেজের চাকরিটা চলে গেলো। বিভিন্ন কারণে তার কবিতা রচনার প্রতি আত্মবিশ্বাস কমতে লাগল। যদিও এসব কোনোকিছুই তার কবিত্বকে দমিয়ে রাখেনি বরং তিনি এই সময় জীবনঘনিষ্ঠ একটি কবিতা রচনা করেন যার নাম দেন ‘বোধ’। কবিতাটি বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত ‘প্রগতি’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় যেখানে জীবনানন্দ গভীর মমতায় ব্যক্ত করেন-
          ‘আলো-অন্ধকারে যাই- মাথার ভিতরে
          স্বপ্ন নয়- কোন এক বোধ কাজ করে!’
 
এ কবিতায় কবি নতুন এক বিচিত্র বোধের কথা শোনালেন। উদ্দেশ্যহীন কোনো বোধ মানুষকে আক্রান্ত করেছে। জীবনের এলোমেলো শত-কোটি ভাবনাগুলো বোধের রূপ ধরে যেনো খেলা করে মাথার ভেতর।
 
কবিতাটি প্রকাশের পর থেকেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। যতীন্দ্রনাথ সেন গুপ্ত জীবনানন্দকে কটাক্ষ করে বলেছেন,‘‘জীবনানন্দের এই কবিতাটি আসলে পাগলের প্রলাপ”। এখানেই শেষ নয়, ‘শনিবারের চিঠি’ পত্রিকায় সজনীকান্ত দাস তো একেবারে তুলোধুনা করে ছাড়লেন জীবনানন্দকে। সমালোচনার একপর্যায়ে তিনি বলেই ফেললেন,‘‘কবিতার নামকরণে বোধহয় কিছুটা ভুল আছে- ‘বোধ’ না হইয়া কবিতাটির নাম ‘গোদ’ হইবে”।
 
‘বোধ’ কবিতাটি নিয়ে এতো আলোচনা-সমালোচনার পর জীবনানন্দ মানসিকভাবে বেশ আহত হলেও কাব্যরচনা থেকে পিছপা হননি। এর পিছনে বুদ্ধদেব বসুর বন্ধুসুলভ আচরণ তাকে বল যুগিয়েছে। তিনি জীবনানন্দকে চিঠিতে জানালেন, ‘‘সমালোচনা যতই হোক ‘প্রগতি’ পত্রিকার দরজা সর্বদা খোলা থাকবে”। প্রবোধ পেয়ে জীবনানন্দ তার কাব্যরচনায় নতুন উদ্যম ফিরে পেলেন।
 
অনেকদিন বেকার থাকার পর দিল্লির রামযশ কলেজে চাকরির সুবাদে জীবনানন্দের বেকারত্বের অবসান হয়। পরিবার থেকে বিয়ে করার জন্য চাপ আসার দরুন কবির অভিমতেই ঢাকার মেয়ে লাবণ্য দাশের সঙ্গে ০৯ মে ১৯৩০ সালে বিয়ের দিন ধার্য হয়। রামযশ কলেজ থেকে বিয়ে উপলক্ষে কবি ছুটি নিয়েছিলেন। ছুটি শেষ হলেও দিল্লির অনাত্মীয় পরিবেশে যেতে ইচ্ছে হচ্ছিল না কবির। বাড়তি ছুটি চেয়ে কলেজে চিঠি পাঠাতেই ঘটলো বিপত্তি! কলেজ কর্তৃপক্ষ ছুটি তো দিলেনই না উল্টো কবিকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিলেন। আবারও বেকার হলেন জীবনানন্দ!
 
চাকরিটা চলে গেছে; নব দাম্পত্যের কোলে এসেছে ফুটফুটে কন্যা সন্তান। কিন্তু পরিবারে উপার্জনের যে দায়িত্ব কবির আছে সেখানে ব্যর্থ তিনি। কবির এই দিনগুলি আমরা লক্ষ্য করি ১৯৩১ সালের তার ডায়েরিতে সংক্ষেপে ইংরেজিতে লেখায় যার অর্থ, ‘‘দিনটা কেমন মাঠে মারা গেল, অপমানিত লাগছে, চাকরি খুঁজতে কত কুকুর-বিড়ালের কাছে নতজানু হতে হচ্ছে”।
 
এতো কষ্ট, ব্যর্থতা, লাঞ্ছনার মাঝেও তিনি লেখালেখি বন্ধ করেননি। তিনি নিজের বাস্তব জীবনের প্রেক্ষাপটে লিখেছেন অনেক গল্প-উপন্যাস। তার গল্প-উপন্যাসের চরিত্রগুলো যেনো সংসার জীবনের নিজের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলছিল। তার ওই সময়ের গল্প-উপন্যাসের নায়ক চরিত্রগুলোর দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় চরিত্রগুলি হয়তো নববিবাহিত অথবা নায়কের স্ত্রী গর্ভবতী কিংবা ছিলো।
 
সংসারের যাবতীয় দায়-দায়িত্ব কিংবা আনুষ্ঠানিকতা তাকে আষ্টে-পৃষ্ঠে জড়িয়ে ফেললো; জগৎ-সংসারের বেড়াজালে তিনি আটকে পড়লেন অথচ রইলেন রোজগারহীন হয়েই। এই সমস্যাটাকেই সচেতনে কিংবা অবচেতনে তিনি গল্প-উপন্যাসে নিয়ে এলেন। জীবনানন্দ তার বেশকিছু গল্প-উপন্যাস কোথাও ছাপাতে দেননি পরিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে। তবে তার আত্মবিশ্বাস ছিলো যে কোনো একদিন তার গল্প-উপন্যাস গুপ্তধনের মতো আবিষ্কার হবে। সত্যিই আজ আমাদের মাঝে তার সৃষ্টিকর্ম আবিষ্কৃত হলো সেই কালো ট্র্যাঙ্কগুলো থেকে; ঠিক যেনো ‘বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগৎ থেকে’।
 
বেকার মেসবাসী কবি যেনো সাহিত্য জগৎ থেকে একরকম নির্বাসিত। কোথাও তার কোনো গল্প-উপন্যাস কবিতা ছাপা হচ্ছে না। কিন্তু কবি থেমে থাকেননি, চলছিলো তার কলম অবিরাম।
হঠাৎ কবি ‘পরিচয়’ নামের একটি পত্রিকার খোঁজ পেলেন। পত্রিকাটির সম্পাদক নামজাদা কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত। জীবনের এই চরম পর্যায়ে এসে কবি সময়ের এক বিস্ফোরক কবিতা রচনা করলেন যার নাম ‘ক্যাম্পে’-
              ‘এখানে বনের কাছে ক্যাম্প আমি ফেলিয়াছি;
              সারারাত দখিনা বাতাসে
             আকাশের চাঁদের আলোয়
              এক ঘাই হরিণীর ডাক শুনি,
              কাহারে সে ডাকে!’
 
কবি গভীর রাতে ঘাই হরিণীর ডাক শুনছেন, সেই ডাক শুনে পুরুষ হরিণ ছুটে আসে এরই ফাঁকে শিকারিরা গুলি করে হরিণ শিকার করছে। সেই মৃত হরিণ দেখে কবির মনে হচ্ছে, আমরা সবাই এদের মতোই- এই হচ্ছে কবিতার মূল কথা। এ কবিতাটিতে প্রকাশ পায় জীবন-জগৎ সবকিছুর ভিতরে যেনো গভীর অসহায়ত্ব-আশ্রয়হীনতা যা আমরা কবির বাস্তব জীবনে লক্ষ্য করি।
 
রুক্ষ মরুভূমিতে ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত মুসাফির হঠাৎ পানির দেখা পেয়ে যেভাবে আনন্দে আপ্লুত হন, দীর্ঘ ঘাত-প্রতিঘাতের পর জীবনানন্দের মনে সেই আশার সঞ্চার হয়েছিল। কিন্তু নিন্দুকেরা পিছু ছাড়েনি তার। সমালোচনার বাক্স নিয়ে সবার আগে এগিয়ে আসলেন সজনীকান্ত-
‘মানুষ যেমন ক’রে ঘ্রাণ পেয়ে আসে তার নোনা মেয়েমানুষের কাছে...’ (ক্যাম্পে)
 
এই লাইনের ব্যাখ্যা করতে সজনীকান্ত বলেন, ‘ভাইয়েরা না হয় তাদের বোনের কাছে আসেন মানিলাম, কিন্তু‘মেয়েমানুষ’ কি করিয়া নোনা হরিণ হইল? নোনা ইলিশ খাইয়াছি বটে কিন্তু কবির দেশে মেয়েমানুষেরও কি জারক প্রস্তুত হয়? কবি যে এতদিনে হজম হইয়া যান নাই ইহাই আশ্চর্য’।
 
সাহিত্যিক মহলে এমন তিরস্কার পাওয়ার পরও কবি নিজের লেখার ওপর আত্মবিশ্বাস হারাননি। নিজের লেখায় পূর্ণ আস্থা রেখেই তিনি সব সমালোচনাকে উপেক্ষা করে সামনে এগিয়েছেন। যদিও সজনীকান্তের সমালোচনার জবাবে ক্ষোভের বশে একটি লেখা তিনি লিখেছিলেন কিন্তু ছাপাতে দেননি। কয়েক বছর পর ভূমেন্দ্র গুহকে এই লেখাটি সম্পর্কে জানালে ভূমেন্দ্র তা চাইলেন সজনীকান্তকে উচিৎ জবাব দেওয়ার জন্য। কবি বললেন, ‘এসব ছেপে কী হবে? ওরা যখন থাকবে না আমিও তখন থাকবো না, আপনারাও নির্ঘাত বুড়ো হয়ে যাবেন। তখন হয়তো ব্যাপারটা এক রকমের যথার্থ নির্ণীত হবে, হয়তো হবে না। এসব ছেপে কিছু হবে না। ছাপাবেন না’। তিনি আরও বললেন, ‘‘এসব করে আসলে কিছু হয় না, পাঠক নিজের মতো করে সময়মতো বুঝে নেবে”।
 
জীবনানন্দের এই কথাগুলি ঠিকই আজ সত্য হলো! কথাগুলোর মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে, নিজের সৃষ্টিকর্মের প্রতি কতটা গভীর আত্মবিশ্বাস ছিলো তার! তিনি বিশ্বাস করতেন কোনো না কোনো সময় পাঠক তার সৃষ্টিকর্ম মনের গহীনে তুলে রাখবে। তবে একটা ব্যাপারে জীবনানন্দ তার কবিতা নিয়ে সর্বদা হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। সেটা হলো- কবিতা প্রকাশের পর পরই শুরু হতো নানা মহলে সমালোচনা। যার ফলে তিনি অনেক কবিতা প্রকাশ করতে চেয়েও দ্বিধায় থাকতেন। তবে তার দৃঢ় প্রত্যয় ছিলো যে, একদিন তার কবিতার মর্মবাণী মানুষ ঠিকই উপলব্ধি করবে।
এছাড়াও তার বিশ্বাস ছিলো, গুপ্তধনের মতোই তার কবিতা একদিন পাঠকসম্মুখে আবিষ্কৃত হবে। সেই প্রত্যয় থেকেই জীবনানন্দ অক্লান্তভাবে লিখে গেছেন সহস্র কবিতার পংক্তি, গল্প-উপন্যাস। জীবদ্দশায় নিজেকে নিয়ে শুনে গেলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের মুখে ‘চিত্ররূপময়তার কবি’। আজ কবি আমাদের মাঝে না থাকলেও তার চির-ভাস্মর কবিতাগুলো প্রত্যহ স্মরণ করিয়ে দেয়- ‘তিনি আছেন...  
       ‘যদি আমি ঝরে যাই একদিন কার্তিকের নীল কুয়াশায়;
       যখন ঝরিছে ধান বাংলার ক্ষেতে ক্ষেতে ম্লান চোখ বুজে। ’
 
কবি তার ভবিষ্যদ্বানীকে অনুসরণ করে আমাদের মাঝ থেকে কোনো এক কার্তিকেই ব্যস্ত-ক্লান্ত পৃথিবী থেকে অবসর নিয়েছেন পূণর্বার জন্মলাভের আশায়। যেমনটি বলেছেন কবি-
             
‘আবার যেন ফিরে আসি
কোন এক শীতের রাতে
একটা হিম কমলালেবুর করুণ মাংস নিয়ে...’
 
ঠিক তাই! কবি বারবার প্রকৃতির বিভিন্ন রূপ ধরে ফিরে আসতে চেয়েছেন এই সুন্দর, নির্মল পৃথিবীতে; এই বাংলায়-
          ‘আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে এই বাংলায়
          হয়তো মানুষ নয়- হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে’
 
হতাশার কবি বলে আখ্যা পেলেও তিনি যেনো সত্যিই জীবনের আনন্দ-জীবনানন্দ। তিনি আছেন; আমাদের জীবনের আনন্দে না হোক, কোথাও না কোথাও তিনি আছেন! হয়তো ভোরের শালিক কিংবা শঙ্খচিল অথবা ভোরের ঘাস হয়ে আমাদের মাঝে চিরসবুজরূপে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭
এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।