ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

লাল জুতো আর গিটারের গল্প | তানজীনা নূর-ই সিদ্দিকী

গল্প ~ শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৫
লাল জুতো আর গিটারের গল্প | তানজীনা নূর-ই সিদ্দিকী

নিউজ শেষ হলো প্রায় ১৫ মিনিট। রাত দশটা বেজে পঁয়ত্রিশ।

অফিস, এর মাঝেই ফাঁকা হতে শুরু করেছে। নভেম্বরের শীতার্ত দিনগুলো তো সাড়ে তিনটায়ই সূর্যকে হারাতে শুরু করে। কুয়াশা ঝুপ করে অন্ধকার নিয়ে আসে। রাত হয়ে যায় বড়। এরকম রাতগুলোয় হাওয়া প্রচণ্ড বেগে এলোমেলো করে দেয় খোলা চুল। নিজের হাতেরই মেলে না অস্তিত্ব, আরেক হাতের আঙ্গুলে। নাক গলে শিশিরের মতো জল বেয়ে পড়ে, টেরও পাওয়া যায় না সহসা। কখনো চোখও ভেজে পাল্লা দিয়ে। আর কুণ্ডলী পাকাতে কোনো খেলুড়ে ধূমপায়ীর সিগ্রেটের প্রয়োজন পড়ে না। ঠোঁট দু’টোকে গোল করে হাঁটতে হাঁটতে একা পথে ধোঁয়ার গোলক বানানো। ওই এক খেলা জমে যায়, শীতের বাতাসে।

- রূপকথা, যাবেন না? খবর তো খারাপ! ইংল্যান্ড সিরিয়ায় যুদ্ধবিমান পাঠাবে। পার্লামেন্টে পাস হয়ে গেল...! বলে শরীফ ভাই, রূপকথার সহকর্মী।



ছেলেটার সঙ্গে আরো হয়ত কিছু গল্প বলার ছিল, হয়ত আর পনেরো মিনিট। কোন স্টেইশানে নামবে সে? নাম কি তার? কিছুই জানার নাই, জানার মতো কথার বিনিময় তো হয়নি ওদের। ভাবতে ভাবতে একা একাই হাসে রূপকথা। ওকে দেখে অনেকেই ভাবে প্ল্যাটফর্মে, মেয়েটা একা একা এরকম মধুর হাসি কেন হাসছে?
... সেই হাসির রেশেই কোথাও আফসোস মিশে রয়। আর কিছুটা সময়! ওর নিশ্চিত মনে হয়, ছেলেটাও ভাবছে সেটাই



রূপকথা মোবাইলে সময় দেখে। চটজলদি মেসেইজ করে জেনে নেয় পরবর্তী বাসের সময়। আর ১২ মিনিট। এখুনি বেরিয়ে গেলে বাসটা পাওয়া যাবে। ধীরপায়ে হেঁটে গেলেও বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছুতে সাত থেকে আট মিনিট, ঠাণ্ডায় দাঁড়িয়েও থাকতে হবে না খুব বেশি সময়।

- আমি সেটাই ভাবছিলাম। সাড়ে দশ ঘণ্টার মতো হয়ে গেল এই নিয়ে বিতর্ক পার্লামেন্টে। ভোটাভুটি তো দশটায় শুরু হলো না? আসলে ভোট যে যুদ্ধবিমান পাঠানোর পক্ষেই যাবে, কেন যেন ইনটুইশান সেটাই ইঙ্গিত করছিল। কিছু করার নাই, বুঝলেন? নিরীহ মানুষ নিয়ে কেউ ভাবে নারে ভাই! বাচ্চাটাকে দেখেছিলেন ফেইসবুকে, ঘাস খাচ্ছে খাবারের অভাবে, তবুও বলছিল ‘আল্লাহ মহান!’ ইদানীং খেতে গেলেই মনে হয় কত ভালো আছি! যা হোক, ভালো থাকেন, আমি বের হব। বাস মিস করব নয়ত। বাই।

এই এক পৃথিবীর কোণায় কোণায় কতকিছু ঘটে যায় বেলায় বেলায়, সব ভুলে পা বাড়ায় মানুষ। এর নাম জীবন, এর নাম বেঁচে থাকা, ভাবে রূপকথা। জ্যাকেট জড়িয়ে দ্রুত বেরিয়ে পড়ে রাস্তায়। বিকেলে যেমন ঠাণ্ডা ছিল এখন তেমন লাগছে না। যদিও দু’এক ফোঁটা বৃষ্টির ফোঁটা শরীরে এসে লাগছে। পা ফেললে মনে হচ্ছে, বৃষ্টির ফোঁটারা কেউ হয়ত কষ্ট পেল খুব! বাসস্ট্যান্ডে কোনো মানুষই নেই আজ। মিনিট দু’এক পরে দূর থেকে এক বন্ধুকে তাড়া করে আরেক বন্ধু স্কেইটবোর্ডে চেপে ঝড়োগতিতে পাশ কাটিয়ে গেল রূপকথার। পেছন দিক থেকে তিনজন রোম্যানিয়ান গল্প করতে করতে মৃদুস্বরে বলে গেল ‘প্রিটি গার্ল। ’ রাত বাড়ছে। বাসায় ফিরতে ফিরতে বৃষ্টি বেড়ে যায় কিনা, তা নিয়ে ভাবছে রূপকথা। ছাতাটা ব্যাগেই থাকে, কাল ব্যাগ থেকে বের করে আর ঢোকানো হয়নি। হুডিই ভরসা, বিড়বিড় করে সে।

বাস এসে গেছে। গোটা বাসে রূপকথা আর একেবারে পেছনের সিটে অল্পবয়েসী এক ছেলে। গাঁজা খেয়ে উঠেছে বাসে। সামনের দিকে প্রায়োরিটি সিটে বসলেও সেই ঝাঁঝ এসে লাগল ওর নাকে। বাস চলতে শুরু করেছে। তিন চার স্টপ পেরিয়েই নেমে গেল ছেলেটা। পুরো বাসে এখন শুধু চালক আর রূপকথা। ওর হঠাৎ মনে হয়, ঠিকঠাক স্টেইশানে পৌঁছুতে পারবে তো? ড্রাইভার যদি হুট করেই কোথাও থামিয়ে দেয়, যদি অঘটন কিছু ঘটে যায়? রূপকথার মা-কে মনে পড়ে। মা এরকম রাজ্যের দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে বসে থাকত ঘরে না ফেরা পর্যন্ত। এখন তো দেশে গভীর রাত, মা-বাবা সবাই ঘুমোচ্ছে। কতদিন ওদের ঘুমন্ত মুখ দেখে না রূপকথা!

যাক, বাস পৌঁছে গেছে লেইটনস্টোন আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেইশানে। উচ্চস্বরে ড্রাইভারকে ধন্যবাদ জানিয়ে রূপকথা নেমে যায়। ট্রেইন ধরে প্ল্যাটফর্ম টু থেকে। তাড়াহুড়ো করে প্রথম বগিতেই ওঠে সে। বেশ কয়েকজন বসেছে এই বগিতে। রূপকথার ডানপাশে দুই আসন পরেই বসেছে একজন ত্রিশোর্ধ্ব নারী। ওর ঠিক মুখোমুখি আসনে বসেছে যে, রূপকথা ধারণা করে, সমবয়স্কই হবে ছেলেটা। ট্রেইন চলতে শুরু করে। আর সেই সঙ্গে গলা চড়ে যায় ছেলেটার। বিকট চিৎকার করতে থাকে ছেলেটা। কী বলছে, কিছুই উদ্ধার করতে পারে না রূপকথা। শুধু বুঝতে পারে, সে বলছে, ‘জিজাজ ইজ সান অভ গড!’

চোখ বন্ধ করে হেলান দেয় রূপকথা। ওকে অনেকেই এখানে টার্কিশ বা স্প্যানিস ভাবে। কেউ কেউ জিজ্ঞেস করে, ‘আর ইউ ফ্রম ইন্ডিয়া? ক্যান ইউ স্পিক হিন্দি?’ রূপকথা শুরুর দিকে না বলত। ইদানীং কেউ ওরকম বললে ও পাল্টা জিজ্ঞেস করে, ‘ওহ! আই থট ইউ আর ফ্রম বাংলাদেশ! ক্যান ইউ স্পিক বাংলা?’ থতমত খেয়ে যায় কেউ কেউ। রূপকথা গায়ে মাখে না এসব আর। ট্রেইন চলে এসেছে পরবর্তী স্টেইশানে। এবার রূপকথার মুখোমুখি বসে নতুন এক যাত্রী। দেখেই বোঝা যাচ্ছে সারাদিন বিষম পরিশ্রম করে বাড়ি ফিরছে।

ট্রেইন চলতে শুরু করে। সেই একনাগাড়ে জিজাজের স্তুতিবাক্যে হাবুডুবু ছেলেটা, চিৎকারে রূপকথাকে চমকে চমকে দিচ্ছিল, সে এবার নতুন যাত্রীকে জিজ্ঞেস করে, ‘হেই, আর ইউ সান অভ জিজাজ মেইট? ইউ নোউ, জিজাজ ইজ সান অভ গড! হোয়্যার আর ইউ ফ্রম মেইট?’ যাত্রী মুচকি হেসে বলে, ‘আই অ্যাম ফ্রম বুলগেরিয়া। ’ বলেই মুখ ফেরায় অন্যদিকে। কিন্তু জিজাজ ভক্ত তো দমে যাবার নয়, সে দ্বিগুণ উদ্যমে জানতে চায়, ‘আর ইউ অ্যা সিনার? টেল মি, আর ইউ ফ্রম হেইভেন অর হেল? আই অ্যাম ফ্রম হেইভেন ইউ নোউ?’ বলে অট্টহাসিতে যেন গড়িয়ে পড়ে। তারপর বলে, ‘আই অ্যাম ফ্রম সাউথ অ্যাফ্রিকা। ’

রূপকথা মনে মনে প্রস্তুতি নিতে থাকে এরপর হয়ত ওর দিকেই আসছে তার প্রশ্ন, একবার শুধু তাকায় ওর দিকে। কী কাণ্ড! রূপকথাকেই দেখছে সেই সাউথ অ্যাফ্রিকান! রূপকথা আবার চোখ বন্ধ করে হেলান দেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। এর মাঝেই ওর মনে হয়, দূর থেকে অন্য কেউ ওকে দেখছে হয়ত। চোখ বন্ধ করে রূপকথা। পরবর্তী স্টেইশান চলে আসে। নারীকণ্ঠে ভেসে আসে ‘দিস, ইজ স্ট্র্যাটফোর্ড। প্লিইজ, মাইন্ড দ্যা গ্যাপ বিটউইন দ্যা ট্রেইন অ্যান্ড দ্যা প্ল্যাটফর্ম। চেইঞ্জ হিয়ার ফর দ্যা জুবিলি লাইন, দ্যা ডিএলআর অ্যান্ড ন্যাশনাল রেইল সার্ভিসেস। ’ বন্ধ চোখে রূপকথার মনে হয় জিজাজ ভক্ত বুঝি নেমে গেছে, চোখ খোলে সে। হুম, ওর আশেপাশের আসনে কেউ নেই আর। মৃদু নিঃশ্বাস নেয় সে। আবার চোখ বন্ধ করবে এমন সময় দূর থেকে সেই একজন হেঁটে এসে বসে ওর মুখোমুখি আসনের ডানদিকের দুই আসন পরে।

রুপকথার দিকে তাকিয়ে হেসে বলে, ‘নাইস রেড শুউজ!’

রূপকথাও হেসে ওঠে। সচরাচর লন্ডনে কেউ অমন আন্তরিক ভঙ্গিতে দূর থেকে উঠে এসে গল্প করতে চায় না। জুতোর প্রশংসা করতে তো নয়ই! এরকম ট্রিভিয়াল ইস্যু যে খেয়াল করেছে ছেলেটা, পারফরমার অথবা পুরোদমে আর্টিস্ট হবে হয়ত, হেসে উত্তর দেয় রূপকথা, ‘থ্যাংক ইউ!’

ট্রেইন চলতে শুরু করে। ছেলেটার কাঁধ থেকে গিটার নামায় সে কোলে।

রূপকথা জিজ্ঞেস করে, ‘আর ইউ এই গিটারিস্ট?’

ট্রেইনের শব্দে শুনতে পায় না ছেলে।

ছেলেটা পাল্টা বলে ওঠে, ‘দ্যা ফ্লাওয়ারস অন ইওর শুউজ রিজেম্বলস এই ফ্লাওয়ার ইন পোল্যান্ড। ’ রূপকথা আবারও জিজ্ঞেস করে, ‘ডু ইউ সিং?’ ছেলেটা মাথাটা ডানে বামে দুইবার দোলায়। মানে হচ্ছে ‘না। ’

রূপকথা শব্দ বোনে, ‘ডু ইউ প্লেই গিটার?’ হাতের আঙ্গুলগুলো গিটারের ছয় তারে সুর বুনছে এমন দৃশ্য এঁকে জানতে চায় ইশারায় ‘তুমি কি গিটার বাজাও?’ ছেলেটা এবার হাসে, বলে, ‘ইয়েস। আই হ্যাড এই শো দিস ইভনিং, নাও গোয়িং ব্যাক টু হোম। ’

রূপকথা আর ছেলেটা হাসি বিনিময় করে। অন্যদিকে চোখ ফিরিয়ে নেয় রূপকথা। কিন্তু ও বুঝতে পারে, ছেলেটা ওর সঙ্গে কথা বলতে চাইছে। রূপকথা মনে মনে ভাবে, ছেলেটার হাসি ভীষণ সুন্দর। সেটা ওকে বলবে কিনা বুঝতে পারে না।

ঝকঝকে চোখ পুরু ফ্রেইমের চশমায় ঢাকা, নীল চোখের মণি। মাঝারি ছাঁটে কাটা পরিপাটি চুল, কিন্তু এলোমেলো হয়ে কপালের একপাশে এসে থেমে গেছে, বাদামিঘেঁষা সোনালি তার রঙ। ক্যাজুয়াল শার্ট আর প্যান্ট পরে আছে। সবকিছু ছাপিয়ে ছেলেটার আন্তরিক হাসিটা আরো গল্পের আহ্বান জানাচ্ছে ওকে।

রূপকথাকে দেখে আগের সব মানুষের করা প্রেডিকশানকে ছাপিয়ে এই প্রথম কেউ জিজ্ঞেস করে, ‘আর ইউ ইংলিশ?’ রূপকথা না হেসে পারে না।

- ‘নোউ, আই অ্যাম নট। হোয়্যার আর ইউ ফ্রম?’ জানতে চায় রূপকথা।

- ‘আই অ্যাম ফ্রম পোল্যান্ড। হুইচ কান্ট্রি ডু ইউ বিলং টু?’

রূপকথা হাতের ইশারায় জানায়, শুনতে পাচ্ছি না তোমার কথা। ছেলেটা আবার জিজ্ঞেস করে, ‘হোয়্যার আর ইউ ফ্রম?’

রূপকথা জানায়, ‘আই অ্যাম ফ্রম বাংলাদেশ। ’

আবারো দু’জন হাসতে থাকে একসাথে।

ছেলেটা বলে, ‘ মাই ল্যান্ডলর্ড ইজ ফ্রম শ্রীলাংকা। ’

রূপকথা বলে, ‘ওউ, আই সিই! শ্রীলাংকা, বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, নেপাল’ ...

... ছেলেটা যোগ করে ‘এন্ড পাকিস্তান’ দিইস কান্ট্রিস আর ফ্রম ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট, আই নোউ। ’

ট্রেইনের গতিতে চাপা পড়ে যায় আরো শব্দেরা। কিন্তু ওদের হাসি বিনিময় হয়।

ছেলেটা আবারও বলে ওঠে, ‘ইউ নোউ নুসরাত ফাতেহ আলি?’

রূপকথা মুচকি হাসে, বলে, ‘হাউ ডু ইউ নোউ হিম?’

ছেলেটা গেয়ে শোনায় গুনগুনিয়ে ‘সাসোঁকি মালাপে সিমরু মে পিই কা নাম’ ...

আবার সেই হাসি বিনিময়।

ট্রেইন এসে থামে পরবর্তী স্টেইশানে। রূপকথা উঠে দাঁড়ায়। বলে, ‘আই নিইড টু গেট অফ হিয়ার। ’

ছেলেটা হাসে, বলে, ‘এনজয় ইওর সুউজ। ’

রূপকথা বলে, ‘টেইক কেয়ার, বাই। ’

ছেলেটার সঙ্গে আরো হয়ত কিছু গল্প বলার ছিল, হয়ত আর পনেরো মিনিট। কোন স্টেইশানে নামবে সে? নাম কি তার? কিছুই জানার নাই, জানার মতো কথার বিনিময় তো হয়নি ওদের। ভাবতে ভাবতে একা একাই হাসে রূপকথা। ওকে দেখে অনেকেই ভাবে প্ল্যাটফর্মে, মেয়েটা একা একা এরকম মধুর হাসি কেন হাসছে?

... সেই হাসির রেশেই কোথাও আফসোস মিশে রয়। আর কিছুটা সময়! ওর নিশ্চিত মনে হয়, ছেলেটাও ভাবছে সেটাই!

রূপকথা সিদ্ধান্ত নেয় পরিচয়টা লিখে রাখবে সে। নামহীম পরিচয়, আর দেখা হবে না কোনোদিন। তবু রয়ে যাবে হাসি বিনিময়ের মুহূর্তেরা, গল্প করতে চাওয়ার গল্পটা। লাল জুতো আর গিটারের গল্প, যা আরো একটু সময় বাড়তে পারত এই অপরিচিতের শহরে! শুধু ছেলেটাকে জানানো যাবে না কখনোই, ‘আই ডেডিকেইট দিস রাইট আপ টু ইউ, ডিয়ার গিটারিস্ট!’ যেমনটা বলা হয়নি, ‘ইউ হ্যাভ দ্যা বেস্ট স্মাইল ইন দ্যা উয়র্ল্ড!’

বাড়ি ফেরার ট্রেইন রূপকথার সামনে দাঁড়ায় এসে।



বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।