ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

শেকড়ের খোঁজে গুণীজনরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৫
শেকড়ের খোঁজে গুণীজনরা ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: মেঘনা-গোমতী বেষ্টিত ছোট্ট একটি জনপদ গজারিয়া। এটি মুন্সিগঞ্জ জেলার অন্তর্ভুক্ত একটি উপজেলা।

প্রায় ৪০০ বছর আগে মেঘনার বুকে জেগে উঠেছিলো যে চর। মুঘল আমলে তা ভব চর নামেই পরিচিতি পায়।

গজারিয়ার এমন নানা অজানা ইতিহাসের গল্প নিয়ে গাঁথা হয়েছে ‘শেকড়ের খোঁজে’ গ্রন্থটি। লেখক সাহাদাত পারভেজ একে ঠিক ইতিহাস গ্রন্থ হিসেবে আখ্যা দিতে না চাইলেও গজারিয়ার বিবর্তনের গল্পই এতে বলা হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্রের মিলনায়তনে যে বইটির মোড়ক উন্মোচন করতে এসেছিলেন দেশবরেণ্য গুণীজনরা। বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন বাংলাপিডিয়ার প্রণেতা ইতিহাসবিদ সিরাজুল ইসলাম, আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, লেখক, নাট্যকার ও সাংবাদিক আনিসুল হক, শিক্ষানুরাগী হাফিজ আহমেদ ও বইটির প্রকাশ পারভেজ হোসেন।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, শেকড়ের খোঁজে গ্রন্থটিতে ইতিহাস রচনার শাস্ত্রীয় সব রকম পদ্ধতিই অনুসরণ করা হয়েছে। এতে তথ্যের বিন্যাসেও কোনো ঘাটতি নেই।

তিনি বলেন, ইতিহাস রচনা তখনই সার্থক হয়, যখন কল্পনা আর মেধা এক হয়ে যায়। শেকড়ের খোঁজে বইটিতে যার স্বাক্ষর রেখেছেন লেখক। এর মাধ্যমে তিনি ইতিহাসের ছাত্র না হয়েও ঐতিহাসিক হয়েছেন।

অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, ইতিহাস তখনই সফল হয়, যখন তাতে সাহিত্যের চেতনা কাজ করে। শিল্প প্রতিভার হাতেই সত্যিকারের ইতিহাস রচিত হয়। শেকড়ের খোঁজে লেখক তার ভালবাসার স্বাক্ষর রেখেছেন। কেননা, গজারিয়ার মতো এতো ছোট জায়গার ইতিহাস রচনা খুব দেখিনি। ভালবাসা না থাকলে এটা হয় না।

তিনি আরো বলেন, ইতিহাস বলতে সাম্রাজ্যের উত্থান-পতন বা শুধু রাজা-রানীর ইতিহাসকে বোঝায় না। ইতিহাস হচ্ছে মানুষের ইতিহাস।

শেকড়ের খোঁজে গ্রন্থটির লেখক একটি পত্রিকার ফটোসাংবাদিক। সব্যসাচী হাজরার করা প্রচ্ছদে ৭ ফর্মার ১১২ পৃষ্ঠার বইটি বাজারে এনেছে সংবেদ প্রকাশনী। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজনও করে সংবেদ।

বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৫
ইইউডি/আরআই

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।