ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

চা বাগানের পরিত্যক্ত জায়গায় বহু প্রজাতির ধানের সফল চাষ

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২৪
চা বাগানের পরিত্যক্ত জায়গায় বহু প্রজাতির ধানের সফল চাষ কৃষক মোহন রবিদাস এবং অন্যান্যরা। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার একটি চা বাগানের পরিত্যক্ত জমিতে সফল জাতের ধান চাষ করেছেন এক কৃষক। শুধু একটি বা দুটি জাতে আবদ্ধ থাকেননি তিনি।

এগারোটি জাতের সফল ফলন ঘটিয়েছেন।

সম্প্রতি শমশেরনগর চা বাগানে ধান চাষে সফলতায় সেই সার্থক ধান নামগুলো হলো- ব্ল্যাক রাইস, পার্পেল রাইস, সুগন্ধি বাসমতি, সুগন্ধি কস্তুরি, রড (পাকিস্তানি), তুলসী মালা, বাংলাদেশের ব্রি-ধান-১০৩ সহ এগারোটি জাত।  চা বাগানের পতিত তিনশ’ শতাংশ জায়গায় এগারো জাতের ধান চাষাবাদ করেছেন মোহন রবিদাস।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, বিভিন্ন ধরনের ১১ জাতের ধান রোপণ করেছেন মোহন রবিদাস। এসব ফলনে কৃষকরা ভালো লাভবান হবেন। এই জাতের ধানের আবাদগুলো ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশে ধানের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে এই ধান অবদান রাখবে।

কৃষক মোহন রবিদাস বলেন, আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাংলাদেশ ও দেশের বাইরে ভারত থেকে সব মিলিয়ে ১৩ জাতের ধানের বীজ সংগ্রহ করি। বীজগুলো হলো- ব্ল্যাক রাইস, পার্পেল রাইস, সুগন্ধি বাসমতি, সুগন্ধি কস্তুরি, রড (পাকিস্তানি), তুলসীমালা, ব্রি-ধান-১০৩ সহ বিভিন্ন জাতের বীজগুলো সংগ্রহ করে চাষ করেছি। এসব চাষের ফলাফল আশানুরূপ ফলন ভালো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সার-কীটনাশক একদম দেওয়া হয়নি। আমাদের এলাকায় যে উঁচু জমি এই ধানগুলো এসব জমিতে চাষ করার মতো খুবই উপযোগী। আমি এই ধান চাষ করে সফলতা পেয়েছি। আমি অন্যান্য কৃষক ভাইদের বলবো তারা আমার কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে চাষাবাদ করলে ভালো লাভবান হবেন।  

অপর কৃষক অমলিক রবিদাস বলেন, নতুন জাতের ব্রি-ধান-১০৩ হাইব্রিড। আবার লম্বা ও চিকন। নতুন এ জাতের ধান ফলনও বেশি দিয়েছে। বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আগামী বছর এ জাতের ধান আবাদ করবো।

রোববার (৩ নভেম্বর) কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়েন্ত কুমার রায় বলেন, মোহন রবিদাস শমশেরনগর চা বাগানে প্রতিকূল পরিবেশে এই ধান চাষ করায় তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি প্রায় ১১ জাতের ধানের সফল প্রয়োগ ঘটিয়েছেন। এই জাতের ধানগুলো এই উপজেলার জন্য খুবই বিরল। এখানে অনেক গবেষণার সুযোগ রয়েছে। এখান থেকে বিভিন্ন জার্ম কালেকশন করে যারা ধান গবেষণার বিজ্ঞানী রয়েছেন তাদের সুযোগ রয়েছে এই জাতের ধানগুলো সংগ্রহের মাধ্যমে পরীক্ষা করে হয়তো দেখবেন বাংলাদেশে ভবিষ্যতে এই ভ্যারাইটির ধানগুলোকে কীভাবে পুষ্টিজাত তৈরি করা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২৪
বিবিবি/আরএ                                 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।