ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

সস্তা সবজি আলু আর মিলছে না সস্তায়

শাহিদুল ইসলাম সবুজ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২৩
সস্তা সবজি আলু আর মিলছে না সস্তায়

জয়পুরহাট: আলু উৎপাদনের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা হিসেবে পরিচিত জয়পুরহাটেই প্রকারভেদে প্রতি কেজি আলুর দাম ৫৫ টাকায় উঠেছে। এতে কৃষকরা খুশি হলেও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ক্রেতারা।

 

বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ী ও হিমাগার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দফায় দফায় বসার কথা জানিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।

সস্তা সবজি হিসেবে পরিচিত আলু আর এখন সস্তায় মিলছে না। জয়পুরহাটের বিভিন্ন হাট বাজারে প্রতি কেজি স্টিক আলু ৪০ টাকা, দেশি পাকড়ী আলু ৫০ টাকা ও ভাণ্ডার পুরের আলু ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেশ কয়েক বছর পর হিমাগারে ভালো দাম পেয়ে কৃষকরা খুশি হলেও খুচরা বাজারে আসা ক্রেতারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফার আশায় হিমাগার থেকে প্রয়োজনীয় আলু বের না করে আলুর কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন বলে মনে করছেন ভোক্তারা। এ ক্ষেত্রে তারা বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

তবে এসব অভিযোগ মানতে নারাজ হিমাগার কর্তৃপক্ষ, মজুদদার ও ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এ বছরের বর্তমান সময় পর্যন্ত হিমাগার থেকে অনেক বেশি আলু বাজারে ছাড়া হয়েছে। জয়পুরহাটের হিমাগারগুলোতে প্রতি কেজি আলু ৩০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে। সেই আলু কেজি প্রতি ঢাকায় নিতে পরিবহন খরচ আরও তিন টাকা যোগ হয়। অথচ খুচরা বাজার নিয়ন্ত্রণে না থাকায় তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫৫ টাকার ওপরে।  

তাদের দাবি, দেশের বৃহত্তম আলু উৎপাদনকারী জেলা মুন্সিগঞ্জে এবার আলু উৎপাদন কম হওয়ায় এবং অতি বর্ষায় রবিশস্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আলুর দাম বাড়ছে।

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার এম ইশরাত হিমাগারের ব্যবস্থাপক রায়হান আলম বলেন, গত মৌসুমের তুলনায় এ মৌসুমে বেশি আলু খালাস হচ্ছে। অথচ হিমাগার কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীদের দোষারোপ করা হচ্ছে।

একই উপজেলার নর্থ পোল কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের মহা ব্যবস্থাপক মনোয়ারুল ইসলাম জানান, এ বছর মুন্সীগঞ্জে আলুর উৎপাদন কম হওয়ায় জয়পুরহাট থেকে আলুর চাহিদা বেড়েছে। এছাড়া অতি বর্ষায় রবিশস্য নষ্ট হওয়ায় অন্যান্য শাকসবজির দামও বেশি। যে কারণে আলুর ওপড় প্রভাব পড়েছে।

জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা রতন কুমার রায় বলেন, আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে হিমাগার মালিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করা হচ্ছে। এরপরও বাজারে আলু না ছাড়লে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা কৃষি বিপণন কার্যালয় সূত্র জানায়, জয়পুরহাটে এ বছর ৩৮ হাজার ৬২৫ হেক্টর জমিতে ৯ লাখ ২৪ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন আলু উৎপন্ন হয়েছে। কৃষক ও ব্যবসায়ীরা ১৯টি হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ১০৪ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ২০ আগস্ট পর্যন্ত ৫৪ হাজার ৫৮০ মেট্রিক টন আলু খালাস হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।