ঢাকা, বুধবার, ১২ চৈত্র ১৪৩১, ২৬ মার্চ ২০২৫, ২৫ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

নড়াইলে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করা মামলায় ১৬ আসামি গ্রেপ্তার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৫
নড়াইলে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করা মামলায় ১৬ আসামি গ্রেপ্তার গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা

শত্রুতার জেরে নড়াইলে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করা মামলার ১৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে কালিয়া থানা পুলিশ।

রোববার (২৩ মার্চ) রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন- উপজেলার কলাবাড়িয়া গ্রামের মুক্তি শেখ, এরশাদ শেখ, নূর মিয়া শেখ, আকিজ শেখ, রাইসুল শেখ, তারামিয়া শেখ, হাসান শেখ, মাহাবুব শেখ, রাসেল শেখ, রাশেদ শেখ, শাহিন মোল্যা, আজিজুল শেখ, আলমগীর শেখ, শিমুল মোল্যা, আজিম কাজী, রইল মোল্যা। তবে মামলার প্রধান আসামি সোহেল রানাসহ তিনজন পলাতক রয়েছে।

পুলিশ জানায়, ২৩ মার্চ কালিয়া থেকে একটি মাইক্রোবাসে আসামিরা একযোগে ঢাকা যাচ্ছিল। গোপন সূত্রের ভিত্তিতে পুলিশ এমন খবর পেয়ে ওই মাইক্রোবাসটি অনুসরণ করতে থাকে। আসামিদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানা এলাকায় পৌঁছালে কালিয়া থানা পুলিশ ভাঙ্গা থানার সহযোগিতা নিয়ে রাতে তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
সোমবার (২৪ মার্চ) আসামিদের কালিয়া থানায় হাজির করা হয়। পরে ওই দিনই নড়াইলে আদালতে পাঠানো হয়।

জানা যায়, গত ৬ মার্চ সকালে কলাবাড়িয়া থেকে অসুস্থ বাবা আবিদ শেখকে নিয়ে ইজিবাইকে করে কালিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাচ্ছিলেন শামীম শেখ। জয়পুর মোড়ে পৌঁছালে কলাবাড়িয়া গ্রামের ইউপি মেম্বার সোহেল শেখ তিনটি মোটরসাইকেলে দলবল নিয়ে তাদের গতিরোধ করেন।

এসময় দুর্বৃত্তরা বাবা-ছেলেকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছেলে শামীম শেখের হাত ও পায়ের রগ কেটে ফেলেছে সন্ত্রাসীরা, আর আবিদ শেখের ডান পা কেটে ফেলতে হয়েছে।

এ ঘটনায় আহত আবিদ শেখের অপর ছেলে সেলিম শেখ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে ১০ মার্চ কালিয়া থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদী সেলিম শেখ বাংলানিউজকে জানান, আমার বাবা ও ভাইকে সোহেল রানার নেতৃত্বে কুপিয়ে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে। বৃদ্ধ বাবার পা কেটে ফেলতে হয়েছে। আসামিরা অত্যন্ত সন্ত্রাসী প্রকৃতির। আমরা এলাকায় নিরাপত্তা চাই এবং সঠিক বিচার চাই।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানার সহযোগিতায় আসামিদের গ্রেপ্তার করে রোববার কালিয়া থানায় আনা হয়েছে। সোমবার (২৪ মার্চ) তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৫
আরএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।