ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ চৈত্র ১৪৩১, ২০ মার্চ ২০২৫, ১৯ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

দুই পা অকেজো, হাত-হাঁটুতে ভর করে জীবনযুদ্ধে মাসুদ

আব্দুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৬ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৫
দুই পা অকেজো, হাত-হাঁটুতে ভর করে জীবনযুদ্ধে মাসুদ কাজ করছেন মাসুদ মিয়া।

নেত্রকোনা: মাসুদ মিয়া একজন সংগ্রামী মানুষ। যিনি শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে অগ্রাহ্য করে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন।

ছোটবেলায় পাঁচ বছর বয়সে টাইফয়েডে আক্রান্ত হওয়ার ফলে তার দুই পা অকেজো হয়ে যায়। তবে এই প্রতিবন্ধকতাকে তিনি কখনোই নিজের জীবনের পথচলায় বাধা হতে দেননি।

নেত্রকোনা পৌর শহরের গজীনপুর এলাকার বাসিন্দা মাসুদ। শৈশব থেকেই স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন মাসুদ। অন্যের সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজেই কিছু করার চেষ্টা করেছেন। প্রথমে তিনি অন্যের দোকানে কাজ করতেন, কিন্তু তার দক্ষতা ও পরিশ্রম তাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি নিজেই কাঠের বিভিন্ন ফার্নিচার তৈরি করেন এবং তার কাজের গুণগত মানের জন্য বেশ সুনামও অর্জন করেছেন।

গজীনপুর মোড়ে একটি ভাড়া করা ঘরে মাসুদ তার ফার্নিচারের কাজ চালান। তিনি কাঠের চেয়ার, টেবিল, পালংসহ বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র তৈরি করেন। তার হাতে তৈরি আসবাবপত্রের গুণগতমান ভালো হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে তার যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।

মাসুদ তার উপার্জন দিয়েই স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে সুখী জীবনযাপন করছেন। তার কাজে সহায়তা করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এবং কাঠ ব্যবসায়ীরাও তাকে প্রয়োজনীয় কাঠ সরবরাহ করেন। তার সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প সমাজের জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস।

শারীরিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও মাসুদ প্রমাণ করেছেন যে ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে যেকোনো প্রতিকূলতাকে জয় করা সম্ভব।  

মাসুদ জানান, সরকারি বা বেসরকারি একটু সহযোগিতা পেলে আরও অনেক দূরে এগিয়ে যাবেন বলে মনে করেন তিনি।

তার জীবনযাত্রা ও সফলতার কাহিনি সবার জন্য এক অনুপ্রেরণা বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৫
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।