যুক্তরাষ্ট্র থেকে পুনরায় অবৈধ অভিবাসীবাহী ফ্লাইট চালুর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভেনেজুয়েলা। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির অবৈধ অভিবাসীদের যথাযথ কোনো প্রক্রিয়া ছাড়াই এল সালভাদরে প্রত্যর্পণ করেছিল।
এল সালভাদরের কারাগারে অবৈধ অভিবাসীদের পাঠানো হলে তাদের দুর্দশার কোনো সীমা থাকবে না বলে মনে করছে ভেনেজুয়েলা সরকার। শনিবার দেশটি ঘোষণা দেয়, তারা ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে।
চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসী বহনকারী বিমান ভেনেজুয়েলায় অবতরণ করতে পারে। প্রথম ফ্লাইটটি রোববার অবতরণ করার কথা রয়েছে।
এক বিবৃতিতে ভেনেজুয়েলা সরকারের একজন প্রতিনিধি এল সালভাদরে পাঠানো অভিবাসীদের অপহৃত বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, অভিবাসন কোনো অপরাধ নয়। আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত এল সালভাদর থেকে আমাদের অপহৃত ভাইদের উদ্ধার করতে না পারব, ততক্ষণ শান্ত হব না।
গত ১৫ মার্চ ট্রাম্প প্রশাসন ১৭৯৮ সালের যুদ্ধকালীন বিদেশি শত্রু আইনের আওতায় অবৈধ ভেনেজুয়েলান অভিবাসীদের এল সালভাদরে নির্বাসনে পাঠায়। এল সালভাদর তাদের কাগারারে বন্দি রাখতে সম্মত হয়। অথচ এই কারাগারের পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে এখানে কাউকে আটকে রাখা মানবাধিকার লঙ্ঘন করার সামিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভেনেজুয়েলাকে বেশি পরিমাণ তেল উৎপাদন ও রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল। ট্রাম্প প্রশাসন এই নীতি বাতিল করার পর ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোও অভিবাসী ফিরিয়ে নেওয়া বন্ধ করে দেন। এরপর ট্রাম্প প্রশাসনের তীব্র চাপের মুখে পড়েন তিনি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ভেনেজুয়েলা যদি তার প্রত্যাবাসিত নাগরিকদের গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়, তবে তাদের ওপর কঠোর ও ক্রমবর্ধমান নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
গত কয়েক বছরে ভেনেজুয়েলা তীব্র অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। রেকর্ডসংখ্যক ভেনেজুয়েলান যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত অতিক্রম করেছেন। সংকটের জন্য মাদুরো দেশটির ওপর মার্কিন নিয়েধাজ্ঞাকে দায়ী করেছেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার এই অভিবাসীদের সন্ত্রাসী সংগঠন ট্রেন ডি আরাগুয়ার সদস্য বলেও উল্লেখ করেছে। আর ভেনেজুয়েলা বলছে সংগঠনটি ২০২৩ সালেই বিলুপ্ত হয়ে হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৫
এসএস/আরএইচ